শিরোনাম
শুক্রবার, ১২ মে, ২০২৩ ০০:০০ টা

নানা চাপে নাজুক পোশাক খাত : বিজিএমইএ

নিজস্ব প্রতিবেদক

বাংলাদেশ পোশাক প্রস্তুত ও রপ্তানিকারক সমিতির (বিজিএমইএ) সভাপতি ফারুক হাসান বলেছেন, বেসরকারি খাতে সর্ববৃহৎ কর্মসংস্থান সৃষ্টিকারী পোশাক শিল্প খাত বর্তমানে নানা চাপের কারণে নাজুক। এ অবস্থায় পোশাকশিল্পের ইতিবাচক প্রবৃদ্ধি ধরে রাখতে সরকারের অব্যাহত সহায়তার কোনো বিকল্প নেই। গতকাল উত্তরায় বিজিএমইএ কমপ্লেক্সে ‘পোশাক শিল্পের সার্বিক পরিস্থিতি’ নিয়ে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে তিনি এসব কথা বলেন। এ সময় বিজিএমইএর ভাইস প্রেসিডেন্ট শহিদুল্লা আজিমসহ পর্ষদ সদস্য ও অন্য উদ্যোক্তারা উপস্থিত ছিলেন।

বিজিএমইএ সভাপতি বলেন, আমাদের পোশাকশিল্প নানা কারণে চাপে রয়েছে। এর মধ্যে রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের কারণে মূল্যস্ফীতি বেড়েছে, সে তুলনায় পণ্যের দাম বাড়েনি। করোনায় সরকার বিভিন্ন প্রণোদনা দিয়েছিল। রপ্তানির ক্ষেত্রে যেসব প্রণোদনা আছে, তা আরও বাড়ানো দরকার। আমরা বিশ্বাস করি, আমাদের সুপারিশগুলো আসন্ন অর্থবছরের বাজেটে প্রতিফলিত হবে। ফারুক হাসান বলেন, নন-কটন পণ্যের বৈশ্বিক বাজার এবং আমাদের রপ্তানি সম্ভাব্যতা বিবেচনায় নিয়ে এ খাতে বিনিয়োগ ও রপ্তানিতে উৎসাহিত করতে হবে। পাশাপাশি প্রতিযোগিতার সক্ষমতা ধরে রাখতে নন-কটন পোশাক রপ্তানির ওপর ১০ শতাংশ (রপ্তানি মূল্যের) হারে বিশেষ প্রণোদনা দিতে আগামী ২০২৩-২৪ অর্থবছরের বাজেটে বিশেষ অর্থ বরাদ্দ প্রয়োজন। তিনি আরও বলেন, এ বিশেষ প্রণোদনা পাওয়া গেলে রপ্তানি যেমন বাড়বে, নতুন বিনিয়োগও আসবে, বাড়বে কর্মসংস্থান। এর সঙ্গে সংশ্লিষ্ট সেবা খাতে ব্যাপক সুযোগ তৈরি হবে। সর্বোপরি সরকারের প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষ রাজস্ব আহরণের পরিমাণ বাড়বে। তিনি বলেন, রপ্তানির বিপরীতে প্রযোজ্য উৎসে কর ১ শতাংশ থেকে কমিয়ে আগের মতো দশমিক ৫০ শতাংশ করে আগামী পাঁচ বছর পর্যন্ত কার্যকর করতে হবে। এটা করা হলে উদ্যোক্তারা মধ্য মেয়াদি ব্যবসায়িক ও বিনিয়োগ পরিকল্পনা করতে পারবেন। তিনি বিবিধ খরচ অগ্রহণযোগ্য হিসেবে গণ্য করে স্বাভাবিক হারে (৩০ শতাংশ) কর আরোপ না করে করপোরেট করহার ১২ শতাংশ হারে আরোপের দাবি জানান। আসন্ন বাজেটে রপ্তানি প্রবৃদ্ধি ও উন্নয়নের জন্য পরিশোধিত ফি হতে উৎসে আয়কর কর্তনের হার ২০ শতাংশ থেকে কমিয়ে ১০ শতাংশ করার দাবি জানান বিজিএমইএ সভাপতি। তিনি একইভাবে আমরা তৈরি পোশাক রপ্তানিতে নগদ সহায়তার ওপর ১০ শতাংশ কর প্রত্যাহারের দাবি জানান। বলেন, যেহেতু নগদ সহায়তা কোনো ব্যবসায়িক আয় নয়, তাই নগদ সহায়তার অর্থকে করের আওতার বাইরে রাখাই যুক্তি সঙ্গত।

 

সর্বশেষ খবর