রবিবার, ১৪ মে, ২০২৩ ০০:০০ টা
ফের পাল্টাপাল্টি দুই দলের

সেফ এক্সিট চাইলে ভোটে আসুন : কাদের

শান্তি সমাবেশ

নিজস্ব প্রতিবেদক

সেফ এক্সিট চাইলে ভোটে আসুন : কাদের

জাতীয় সংসদ নির্বাচনের আগে আবারও রাজপথে শক্তি দেখাল আওয়ামী লীগ। ঢাকা মহানগর উত্তর আওয়ামী লীগের আয়োজনে গতকাল ‘বিএনপির দেশবিরোধী ষড়যন্ত্র মিথ্যাচার ও অপপ্রচারের বিরুদ্ধে প্রতিবাদে’ বিশাল শান্তি সমাবেশ করে এই শক্তি দেখায় ক্ষমতাসীন দলটি।

এতে প্রধান অতিথির বক্তব্যে আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক, সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বিএনপি নেতাদের উদ্দেশে বলেন, সেফ এক্সিট চাইলে নির্বাচনে আসুন। আপনাদের মিনমিনে আন্দোলনে সেফ এক্সিট হয় না। তিনি বলেন, যতই হাঁকডাক দেন, আমরা বেঁচে থাকতে বাংলাদেশের মাটিতে আর তত্ত্বাবধায়ক সরকার আসবে না। ওটা এখন মিউজিয়ামে চলে গেছে।

গতকাল বিকালে রাজধানীর মিরপুর শহীদ বুদ্ধিজীবী কবরস্থান প্রাঙ্গণে শান্তি সমাবেশে তিনি এসব কথা বলেন।

ঢাকা মহানগর উত্তর আওয়ামী লীগের সভাপতি শেখ বজলুর রহমানের সভাপতিত্বে বক্তব্য রাখেন, আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আ ফ ম বাহাউদ্দীন নাছিম, সাংগঠনিক সম্পাদক মির্জা আজম, দফতর সম্পাদক ব্যারিস্টার বিপ্লব বড়ুয়া, মহানগর উত্তর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এস এম মান্নান কচি, শিল্প প্রতিমন্ত্রী কামাল আহমেদ মজুমদার, স্থানীয় এমপি আগা খান মিন্টুসহ মহানগর আওয়ামী লীগের নেতৃবৃন্দ।

সম্প্রতি প্রধানমন্ত্রীর বিদেশ সফর নিয়ে বিএনপি নেতারা মিথ্যাচার করছে বলে অভিযোগ করে ওবায়দুল কাদের বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বাংলাদেশের জনগণের জন্য বিদেশে গিয়েছেন, নিজের ভাগ্যোন্নয়নের জন্য যাননি। শেখ হাসিনা বিদেশে ক্ষমতার জন্য যাননি, নালিশ করতে যাননি। তিনি বিএনপি নেতাদের উদ্দেশে বলেন, আপনাদের তো আমন্ত্রণ করার প্রয়োজন নেই, সকালে ঘুম থেকে উঠে, মুখ না ধুয়েই আমেরিকান দূতাবাসে গিয়ে হাজির হন নালিশ করার জন্য। আপনারা নিজেরা গিয়ে গায়ে পড়ে নালিশ করেন। তিনি বলেন, আমরা সেই পার্টি করি, যে পার্টি কৃষকের ধান কেটে দেয়, নিজেরা ইফতার না করে সেই টাকায় জনগণের মধ্যে ইফতার বিতরণ করি, করোনায় মানুষের মুখে খাবার তুলে দেই-শেখ হাসিনার নির্দেশে। এ জন্যই ঋষি সুনাক শেখ হাসিনাকে বলেছেন, তিনি এবং তার পরিবার শেখ হাসিনাকে অনুসরণ করেন। কীভাবে অস্বীকার করবেন যে, শেখ হাসিনার সঙ্গে বৈঠক হয়নি।

ওবায়দুল কাদের বলেন, বাংলাদেশে আন্দোলন হয়, আর আন্দোলনের ডাক আসে টেমস নদীর পাড় থেকে। ডাক দেয় দণ্ডিত পলাতক আসামি যে মুচলেকা দিয়ে বলে গেছে আর রাজনীতি করব না। আদালতের নিষেধ আছে-দণ্ডিত আসামি অনলাইনে বক্তৃতা করতে পারবে না। কিন্তু প্রতিনিয়ত তারেক রহমান অনলাইনে কথা বলে যাচ্ছেন। আমরা বিষয়টির জন্য আদালতের দৃষ্টি আকর্ষণ করছি। কারণ এভাবে অপরাধ করে যাচ্ছে তারেক। আর অপরাধের সঙ্গে তাল মিলাচ্ছেন ফখরুল।

বিএনপি নেতাদের বিষয়ে ওবায়দুল কাদের আরও বলেন, আওয়ামী লীগ সরকারের নাকি পালিয়ে যাওয়ার কথা। কে পালিয়ে গেছে। বাংলাদেশের একমাত্র পালিয়ে গেছে তারেক রহমান। আওয়ামী লীগ পালিয়ে যাওয়ার দল নয়। আওয়ামী লীগ দেশের মাটি ও মানুষের সঙ্গে আছে। ক্ষমতায় থাকলেও জনগণের সঙ্গে আছি, ক্ষমতায় না থাকলেও আছি।

আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আ ফ ম বাহাউদ্দিন নাছিম বলেন, বাংলাদেশের মানুষ নির্বাচনে অংশগ্রহণ করবে। অনেক রাজনৈতিক দল আছে, তারাও নির্বাচনে অংশগ্রহণ করবে। এই নির্বাচন হবেই হবে। নির্বাচন ভন্ডুল করার ক্ষমতা জামায়াত-বিএনপির নেই। সাংগঠনিক সম্পাদক মির্জা আজম বলেন, বিএনপি আজকে দেশবিরোধী ষড়যন্ত্রে লিপ্ত। প্রতিদিন তারা মিথ্যাচার করছে। তার প্রতিদিন বিভিন্ন গুজব ছড়াচ্ছে। প্রধানমন্ত্রীর সফর নিয়েও বিএনপি মিথ্যাচার করছে অভিযোগ করে তিনি অভিযোগ করেন।

কমিটির বিষয়ে সাত দিনের সময় চেয়েছে ঢাকা মহানগর আওয়ামী লীগ : শান্তি সমাবেশ চলাকালে মহানগরের কমিটি কেন দেওয়া হচ্ছে না এ বিষয়ে জানতে চান দলের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের। এ সময় নগরের নেতারা সাত দিনের সময় চান বলে জানা গেছে।

সর্বশেষ খবর