সোমবার, ১৫ মে, ২০২৩ ০০:০০ টা

জিয়াই কর্নেল নাজমুল হুদাকে রক্ষার নির্দেশ দেন : ফখরুল

নিজস্ব প্রতিবেদক

বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, ১৯৭৫ সালের ৭ নভেম্বর সেনা বিদ্রোহে কর্নেল নাজমুল হুদা হত্যাকান্ডের ঘটনায় ৪৮ বছর পর নাহিদ ইজাহার খান তার বাবা হত্যার হুকুমদাতা হিসেবে জিয়াউর রহমানকে আসামি করে মামলা করেছেন। বর্তমান আওয়ামী গোষ্ঠীর একজন ক্রীড়নক হিসেবে তিনি এটা করেছেন। এর পেছনে রয়েছে সুদূরপ্রসারী রাজনৈতিক ষড়যন্ত্র। অথচ জিয়াউর রহমানই নাজমুল হুদাকে সেদিন রক্ষা করার নির্দেশ দিয়েছিলেন।

গতকাল রাজধানীর গুলশানে বিএনপি চেয়ারপারসনের রাজনৈতিক কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে এ কথা বলেন মির্জা ফখরুল। এ সময় বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য নজরুল ইসলাম খান উপস্থিত ছিলেন। মির্জা ফখরুল আশঙ্কা প্রকাশ করেন যে, সরকার পতনের সময়কাল যত এগিয়ে আসবে জিয়াউর রহমান, খালেদা জিয়া ও তারেক রহমানসহ বিএনপির বিরুদ্ধে এ ধরনের ষড়যন্ত্র আরও বাড়বে। এক প্রশ্নের জবাবে চলমান আন্দোলন-কর্মসূচিতে বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার কোনো পরামর্শ নেই বলে দাবি করেন মির্জা ফখরুল। তিনি বলেন, বিএনপি চেয়ারপারসন গৃহবন্দি। সুতরাং দলের কর্মসূচি গ্রহণ ও পালনের ক্ষেত্রে তার পরামর্শ নেওয়ার সুযোগ নেই। তাকে বারবার ভিন্ন ট্র্যাকে নিয়ে আসছেন কেন? বিএনপি মহাসচিব বলেন, ১৯৭৫ সালের ৩ নভেম্বর খালেদ মোশাররফের নেতৃত্বে সংঘটিত সামরিক অভ্যুত্থানের অন্যতম সহযোগী ছিলেন কর্নেল নাজমুল হুদা। কর্নেল তাহের-ইনু গংয়ের নেতৃত্বে সেনাছাউনিতে বিপ্লবী সৈনিক সংস্থা ও জাসদ গণবাহিনীর নেতৃত্বে পাল্টা-অভ্যুত্থান সংঘটিত করে বাহিনীতে সেনা অফিসার-সৈনিক বিরোধ সৃষ্টির মাধ্যমে নির্মমভাবে সেনা অফিসার হত্যার চক্রান্তে শামিল হয়। যার নির্মম শিকার হচ্ছেন- খালেদ মোশাররফের নেতৃত্বে সংঘটিত অভ্যুত্থানের অন্যতম সহযোগী কর্নেল নাজমুল হুদা।

সর্বশেষ খবর