শিরোনাম
রবিবার, ৪ জুন, ২০২৩ ০০:০০ টা
সরগরম সিটি নির্বাচনের মাঠ

কর্মমুখী স্মার্ট নগরী গড়তে লিটনের ১০৫ দফা ঘোষণা

রাজশাহী

নিজস্ব প্রতিবেদক, রাজশাহী

কর্মমুখী স্মার্ট নগরী গড়তে লিটনের ১০৫ দফা ঘোষণা

কর্মমুখী স্মার্ট নগরী গড়ে তুলতে ছয়টি ক্যাটাগরিতে ১০৫ দফার নির্বাচনী ইশতেহার ঘোষণা করেছেন রাজশাহী সিটি করপোরেশন নির্বাচনে আওয়ামী লীগের মেয়র প্রার্থী এ এইচ এম খায়রুজ্জামান লিটন। গতকাল দুপুরে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ মিলনায়তনে সংবাদ সম্মেলন করে নির্বাচনী ইশতেহার ঘোষণা করেন তিনি। ইশতেহার ঘোষণার সংবাদ সম্মেলনে ২০১৮ সালে মেয়র নির্বাচিত হওয়ার পর পাঁচ বছরে তার উন্নয়ন চিত্র তুলে ধরেন খায়রুজ্জামান লিটন। তিনি আগামীতে নির্বাচিত হলে ব্যাপক কর্মসংস্থান এবং বেকারত্ব হ্রাস ও উদ্যোক্তা সৃষ্টি, অর্থনৈতিক, সামাজিক, মানবিক, শান্তিময় ও সমৃদ্ধ মহানগরী গড়ে তোলা, মহানগরীকে বরেন্দ্র অঞ্চলভিত্তিক আকর্ষণীয় পর্যটন কেন্দ্র হিসেবে প্রতিষ্ঠা করা, শিক্ষা ও সংস্কৃতি সমৃদ্ধ মহানগরীর বিশেষত্ব অর্জন, মহানগরীর ভৌগোলিক আয়তন ৯৬ বর্গকিলোমিটার থেকে ৩৫০ বর্গকিলোমিটার পর্যন্ত সম্প্রসারণ করা এবং রাজশাহী শহরের পাশে জেগে ওঠা পদ্মার চরে রিভারসিটি নির্মাণে কাজ করবেন বলে প্রতিশ্রুতি দেন।

ইশতেহার ঘোষণার সময় আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য অধ্যাপক আবদুল খালেক, কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য বেগম আকতার জাহান, নগর আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা মোহাম্মদ আলী কামাল, জেলার ভারপ্রাপ্ত সভাপতি অনিল কুমার সরকারসহ ১৪ দলের নেতারা উপস্থিত ছিলেন।

লিটন বলেন, ক্রমবর্ধমান এই শহরের নাগরিক সুবিধা ও কর্মসংস্থান সৃষ্টি করা এবার আমার লক্ষ্য ও অঙ্গীকার। আমার জন্মশহরে কাজের আগ্রহ ও আনন্দ পাই তারুণ্যের প্রাণস্পন্দন দেখে। এ শহরে বিশ্ববিদ্যালয়, মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়, প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় ও কর্মমুখী অনেক কারিগরি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান আছে, যেখান থেকে তরুণ-তরুণীরা শিক্ষা গ্রহণ করে কর্মসংস্থানের জন্য উন্মুখ হয়ে আছেন। আমি এ বিষয়ে সম্পূর্ণ সচেতন ও আন্তরিক। তাই উন্নয়নের গতি অব্যাহত রাখতে নেতৃত্বের ধারাবাহিকতা প্রয়োজন। পরিবেশবান্ধব, স্বাস্থ্য, শিক্ষা, সুশাসনসমৃদ্ধ একটি মহানগর গড়ে তোলা আমার স্বপ্ন।

লিটনের ইশতেহারে অঙ্গীকারের মধ্যে আরও আছে- আগামীতে মেয়র নির্বাচিত হলে ব্যাপক কর্মসংস্থান এবং বেকারত্ব হ্রাস ও উদ্যোক্তা সৃষ্টি, অর্থনৈতিক-সামাজিক-মানবিক শান্তিময় ও সমৃদ্ধ মহানগরী গড়ে তোলা, নগরীকে সমগ্র বরেন্দ্র অঞ্চলভিত্তিক আকর্ষণীয় পর্যটন কেন্দ্র হিসেবে প্রতিষ্ঠা করা, শিক্ষা ও সংস্কৃতি সমৃদ্ধ মহানগরীর বিশেষত্ব অর্জন, নগরীর ভৌগোলিক আয়তন ৯৬ বর্গকিলোমিটার থেকে ৩৫০ বর্গকিলোমিটার পর্যন্ত সম্প্রসারণ, রাজশাহী শহরের পাশে জেগে ওঠা পদ্মার চরে রিভারসিটি নির্মাণ করা হবে। নগরীতে শিক্ষার বুনিয়াদ সমৃদ্ধ হলেও জনসংখ্যার অনুপাতে আরও প্রতিষ্ঠান ও সমন্বিত শিক্ষা চালু করতে রাজশাহীতে পূর্ণাঙ্গ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠা, ব্রিটিশ অথবা আমেরিকান কারিকুলামের আদলে রাজশাহীতে একটি ইংলিশ মাধ্যম ‘ও’ লেভেল, ‘এ’ লেভেল পর্যায়ের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান স্থাপন, মাধ্যমিক পর্যায়ে দুটি সরকারি স্কুল প্রতিষ্ঠার কাজ চলমান, দ্রুততম সময়ে স্কুল দুটি চালু করার ব্যবস্থা গ্রহণ, উচ্চমাধ্যমিক স্তরের শিক্ষার জন্য একটি গার্লস ক্যাডেট কলেজ স্থাপন, কারিগরি শিক্ষার জন্য স্বল্পমেয়াদি কোর্স চালু করে কম্পিউটার, ভোকেশনাল, নার্সিং প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা গ্রহণ এবং একটি পূর্ণাঙ্গ কারিগরি ইনস্টিটিউট প্রতিষ্ঠা করা হবে। ইংরেজি, আরবি, কোরিয়ান ও জাপানি ভাষা শিক্ষার জন্য ভাষা প্রশিক্ষণ ইনস্টিটিউট গড়ে তোলা হবে। রাজশাহীতে সংগীত, নাট্য ও নৃত্যকলার সমন্বয়ে একটি ললিতকলা একাডেমি প্রতিষ্ঠা, নগরীতে একটি আর্কাইভ, আর্ট গ্যালারি ও সিটি মিউজিয়াম স্থাপন করা হবে।

সর্বশেষ খবর