শুক্রবার, ৯ জুন, ২০২৩ ০০:০০ টা

শিশুর হাত ছিঁড়ে নিল হায়েনা

নিজস্ব প্রতিবেদক

ঢাকার জাতীয় চিড়িয়াখানায় বেড়াতে এসে হায়েনার আক্রমণে কনুই থেকে হাত হারিয়েছে দুই বছরের শিশু সাইফ। প্রাণী দেখার সময় বাবা-মার অসতর্কতায় শিশুটি বেড়ার ফাঁক দিয়ে খাঁচায় হাত ঢুকিয়ে দিলে কামড়ে ধরে হায়েনা। মানুষ ও হায়েনার টানাটানিতে সেই হাত কনুই থেকে ছিঁড়ে নেয় হায়েনা। শিশুটি এখন পঙ্গু হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। ঘটনা তদন্তে দুটি কমিটি গঠন করা হয়েছে।

ডিএমপির মিরপুর বিভাগের সহকারী পুলিশ কমিশনার (এসি) মফিজুর রহমান পলাশ জানিয়েছেন, গতকাল বেলা পৌনে ১২টার দিকে ঢাকার মিরপুরে জাতীয় চিড়িয়াখানায় এ ঘটনা ঘটে। তিনি জানান, হায়েনার খাঁচাটি সাত ফুট উঁচু লোহার রড ও বেড়া দিয়ে ঘেরা। এর একফুট সামনে লোহার রডের একটি নিরাপত্তা বেষ্টনী আছে। ওই নিরাপত্তা বেষ্টনী অতিক্রম না করার বিষয়ে নির্দেশনা টানানো আছে। তিনি বলেন, শিশুটি কোনোভাবে নিরাপত্তা বেষ্টনী অতিক্রম করে বেড়ার ফাঁক দিয়ে ডান হাত এগিয়ে দিলে হায়েনা তা কামড়ে ছিঁড়ে নেয়। শিশুটিকে পঙ্গু হাসপাতালে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে। শিশুটি বাবা সুমন মিয়া ও মা শিউলিসহ সাত স্বজনের সঙ্গে গাজীপুর চৌরাস্তা থেকে গতকাল সকালে মিরপুরে জাতীয় চিড়িয়াখানায় বেড়াতে এসেছিল। শিশুটির গ্রামের বাড়ি রংপুরের পীরগঞ্জের হরিরামপুর শাহাপুরে।

এ বিষয়ে মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের জনসংযোগ কর্মকর্তা জানান, বর্তমানে শিশুটি পঙ্গু হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছে। মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয় এবং জাতীয় চিড়িয়াখানা কর্তৃপক্ষ শিশুটির পাশে আছে। তিনি আরও জানান, কর্তৃপক্ষ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে। যুগ্ম সচিবের নেতৃত্বে মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয় থেকে একটি এবং প্রাণিসম্পদ অধিদফতর আরেকটি তদন্ত কমিটি গঠন করেছে। তাদের দ্রুত সময়ের মধ্যে প্রতিবেদন দিতে বলা হয়েছে।

জাতীয় চিড়িয়াখানার পরিচালক মো. রফিকুল ইসলাম তালুকদার জানান, সকালে পরিবারের সঙ্গে শিশুটি চিড়িয়াখানায় বেড়াতে আসে। শিশুটির মা-বাবাই নিরাপত্তা বেষ্টনী পার হয়ে শিশুটিকে নিয়ে হায়েনার খাঁচার কাছে চলে আসেন। যদিও খাঁচায় নেট দেওয়া ছিল। কিন্তু ছোট বাচ্চা নেটের ভিতর দিয়ে হাত ঢুকিয়ে দেয়। তখনই বাচ্চাটার হাত কামড়ে কনুই থেকে বিচ্ছিন্ন করে ফেলে হায়েনা এবং বিচ্ছিন্ন হাতটি খেয়ে ফেলে। ঘটনার সঙ্গে সঙ্গেই নিরাপত্তাকর্মী বাচ্চাটাকে চিড়িয়াখানার ভেটেরিনারি হাসপাতালে নিয়ে যান। দ্রুততার সঙ্গে প্রাথমিক চিকিৎসা দেন চিকিৎসক। এরপর পঙ্গু হাসপাতালে পাঠানো হয়।

 

সর্বশেষ খবর