রবিবার, ১১ জুন, ২০২৩ ০০:০০ টা

পরিবেশে আশ্বস্ত আনোয়ার আপত্তি বাবুল মাহমুদুলের

সিলেট

নিজস্ব প্রতিবেদক, সিলেট

পরিবেশে আশ্বস্ত আনোয়ার আপত্তি বাবুল মাহমুদুলের

সিলেট সিটি করপোরেশন নির্বাচনের ১০ দিন আগে গতকাল প্রধান নির্বাচন কমিশনার কাজী হাবিবুল আউয়াল মেয়র ও কাউন্সিলর প্রার্থীদের সঙ্গে মতবিনিময় করেছেন। মহানগরের মেন্দিবাগ জালালাবাদ গ্যাস অডিটরিয়ামে এ মতবিনিময় সভায় বিভিন্ন প্রশ্ন ও দাবি উত্থাপন করেন প্রার্থীরা। সেগুলোর জবাব দেন সিইসি। আওয়ামী লীগ মেয়র প্রার্থী আনোয়ারুজ্জামান চৌধুরী মতবিনিময়কালে বলেন, এখন পর্যন্ত সিলেটে নির্বাচনের পরিবেশ বেশ ভালো। তিনি বলেন, ‘অতি উৎসাহী’ এক কর্মীর কারণে একটি ব্যানারের বিষয়ে রিটার্নিং কর্মকর্তার কাছ থেকে তিনি কারণ দর্শানো নোটিশ পান। এরপর থেকে নির্বাচনী আচরণবিধি মানার ব্যাপারে সতর্ক রয়েছেন তিনি।’ আনোয়ারুজ্জামান ভোটের পরিবেশ নিয়ে আশ্বস্ত থাকলেও বিধি লঙ্ঘনের অভিযোগ করেন জাতীয় পার্টি প্রার্থী নজরুল ইসলাম বাবুল। ইসলামী আন্দোলনের প্রার্থী হাফিজ মাওলানা মাহমুদুল হাসান ব্যালটের মাধ্যমে সিসিক নির্বাচনের দাবির সঙ্গে নানা অনিয়মের অভিযোগ করেন। জাতীয় পার্টি প্রার্থী বাবুল বলেন, সিলেটে অনেকেই আচরণবিধি লঙ্ঘন করছেন। একজন মেয়র প্রার্থী দিনে ৫টি গাড়িতে মাইক ব্যবহারের নিয়ম থাকলেও কোনো কোনো প্রার্থী ১০টিও ব্যবহার করছেন। কোনো কোনো মেয়র প্রার্থী অবৈধভাবে ব্যানার-পোস্টার লাগিয়েছেন। মহানগরের ছয়টি থানায় একটি করে ছয়টি নির্বাচনী অফিস করার নিয়ম থাকলেও কোনো প্রার্থীর একই থানায় একধিক কার্যালয় রয়েছে। সব থেকে বেশি অভিযোগ ছিলো ইসলামী আন্দোলনের প্রার্থী হাফিজ মাওলানা মাহমুদুল হাসানের। তিনি সিসিক নির্বাচনে ব্যালটে ভোটগ্রহণের দাবি জানিয়ে বলেন, ভোটাররা এখনও ইভিএমে অভ্যস্ত নন। ইভিএম মেশিনগুলো যখন-তখন নষ্ট হয়ে ভোটগ্রহণে বেশ বিলম্ব হয়। সর্বোপরি প্রভাবশালী প্রার্থীর এজেন্টরা সাধারণ ভোটারের ফিঙ্গার নেওয়ার পর নিজেরাই টিপ দিয়ে তাদের প্রার্থীর মার্কায় ভোট দিয়ে দেন। সিলেটে নির্বাচন কমিশনের সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা পক্ষপাতমূলক আচরণ করছেন অভিযোগ করে ইসলামী আন্দোলনের প্রার্থী বলেন, তার নির্বাচনী অফিসগুলোতে সব আইন মানা হচ্ছে। কিন্তু দায়িত্বশীল ম্যাজিস্ট্রেট বার বার তার অফিসেই হানা দিয়ে হয়রানিমূলক আচরণ করেছেন। এছাড়া সম্প্রতি সিলেটে বিভিন্ন পর্যায়ের নির্বাচনে যেসব অনিয়ম পরিলক্ষিত হয়েছে তা রোধ করতে ইসি কী পদক্ষেপ নেবে তা জানতে চান মাওলানা মাহমুদুল হাসান। প্রার্থীদের প্রশ্ন ও দাবি উত্থাপন শেষে কাজী হাবিবুল আউয়াল বলেন- আমরা ঢাকায় বসে সিসিটিভিতে সিলেট সিটি নির্বাচনের সব কেন্দ্রের পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করবো। কোনো ভোটার যদি সঠিকভাবে ভোট দিতে না পারেন তাহলে চিৎকার দেবেন। আমরা সেখান থেকে বসে ব্যবস্থা নেব। সিইসি বলেন, আচরণবিধি লঙ্ঘনের অভিযোগ এলে প্রার্থিতা বাতিল হবে। সিইসি আরও বলেন, অদৃশ্য খরচ অনেকেই করে থাকেন, সেটা আমরা বুঝি। কিন্তু তথ্যপ্রমাণ না থাকায় আমরা ব্যবস্থা নিতে পারি না। আপনারা যথাযত প্রমাণ দিতে পারলে আমরা সেভাবেই ব্যবস্থা নেব। তিনি বলেন- আমরা দুইটা পদ্ধতি বিশ্বাস করি। শরিয়ত ও মারিফত। শরিয়তের পদ্ধতিতে ভোট কোথাও যায় না। আমি মারিফত বুঝি কম। কাজেই শরিয়তের পদ্ধতিতে কোনোভাবেই একজনের ভোট অন্যজন দিতে পারে না। কেউ প্রমাণ করতে পারলে আমি এর দায়ভার নেব। এদিকে, প্রধান নির্বাচন কমিশনারের সঙ্গে মতবিনিময় শেষে প্রচারণায় নামেন মেয়র ও কাউন্সিলর প্রার্থীরা। আওয়ামী লীগ মেয়র প্রার্থী আনোয়ারুজ্জামান চৌধুরী, জাতীয় পার্টির নজরুল ইসলাম বাবুল ও ইসলামী আন্দোলনের হাফেজ মাওলানা মাহমুদুল হাসান দিনভর প্রচারণা চালিয়েছেন। নগরীর বিভিন্ন স্থানে মতবিনিময় ও গণসংযোগ করেন তারা।

সর্বশেষ খবর