রবিবার, ১১ জুন, ২০২৩ ০০:০০ টা

ইভিএমে কোনো ভূত প্রেত নেই : সিইসি

নিজস্ব প্রতিবেদক, সিলেট

ইভিএমে কোনো ভূত প্রেত নেই : সিইসি

‘ইভিএমে কোনো ভূত-প্রেত নেই। এটাই সবচেয়ে নিরাপদ পদ্ধতি। পরীক্ষা-নিরীক্ষা করেও ইভিএমে কোনো নেতিবাচক কিছু পাওয়া যায়নি। সুষ্ঠু নির্বাচনের ক্ষেত্রে ইভিএম অনিরাপদ এটা কেউ প্রমাণ করতে পারলে আমি নিজেই এর দায়ভার নেব। ইভিএম নিয়ে দুশ্চিন্তা না করে সবাই সময়মতো কেন্দ্রে গিয়ে ভোটাধিকার প্রয়োগ করবেন।’

কথাগুলো বলেছেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কাজী হাবিবুল আউয়াল। গতকাল নগরীর মেন্দিবাগের জালালাবাদ গ্যাস অডিটরিয়ামে  সিলেট সিটি করপোরেশন (সিসিক) নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতাকারী প্রার্থীদের নিয়ে মতবিনিময়কালে তিনি ইভিএম নিয়ে এসব কথা বলেন। সিইসি বলেন, ‘এবার সব সিটি নির্বাচনে ইভিএমের মাধ্যমে ভোটগ্রহণ হবে। ইভিএমে একজনকে ভোট দিলে অন্যজনের প্রতীকে যায় না। ১০০ পাতার একটা ব্যালট পেপারের বান্ডিল যে কেউ ছিনিয়ে নিয়ে সিল মারতে পারে, বাক্সে ঢোকাতে পারে। কিন্তু ইভিএমে সেটা কোনোভাবেই সম্ভব নয়। ফিঙ্গারপ্রিন্ট দিয়ে এটি ওপেন করতে হয়।’ কাজী হাবিবুল আউয়াল বলেন, ‘ইভিএম নিয়ে অনেক পরীক্ষা-নিরীক্ষা হয়েছে। অনেকে বলেন এর (ইভিএম) ভিতরে ভূত-প্রেত-জিন অনেক কিছু থাকে। কিন্তু আমরা খুঁজে কিছুই পাইনি। অনেক ওঝা দিয়ে-টিয়ে ঝাড়ফুঁক করেও আমরা এটা পাইনি।’ সিইসি জানান, সিলেট সিটি করপোরেশন নির্বাচনে সব ভোট কেন্দ্র সিসি ক্যামেরার আওতায় এনে ঢাকা থেকে পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করা হবে। কোনো ভোটার যদি সঠিকভাবে ভোট দিতে না পারেন তাহলে আপনারা চিৎকার করে জানাবেন। আমরা সেখান থেকে বসে ব্যবস্থা নেব। কাজেই কেউ চাইলেই অনিয়ম করতে পারবে না। তাই নির্বাচন কমিশনের প্রতি আস্থা রাখুন। অবশ্যই একটি ভালো নির্বাচন উপহার পাবেন। আসন্ন সিলেট সিটি করপোরেশন নির্বাচনে প্রার্থীদের সতর্ক করে প্রধান নির্বাচন কমিশনার বলেন, ‘আচরণবিধি লঙ্ঘনের অভিযোগ এলে প্রার্থিতা বাতিল হবে। আপনারা এমন কিছু করবেন না, যাতে প্রার্থিতা বাতিল হয়ে যায়। এর আগে গাজীপুর সিটি নির্বাচনে আমরা সুনির্দিষ্ট অভিযোগের ভিত্তিতে একজনের প্রার্থিতা বাতিল করেছি। আমরা চেষ্টা করছি লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড তৈরি করতে। কেউ যদি নির্বাচনের দিন বা আগে আচরণবিধি লঙ্ঘন করেন তবে সংশ্লিষ্ট প্রার্থীর বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’ সিটি করপোরেশনের ৭ নম্বর ওয়ার্ডের বর্তমান কাউন্সিলর ও মহানগর স্বেচ্ছাসেবক লীগের সভাপতি আফতাব হোসেন খানের বিরুদ্ধে প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী সাঈদ মো. আবদুল্লাহর বাসার সামনে বন্দুক নিয়ে মহড়া বিষয়ে সিইসি বলেন, ঢাকায় গিয়ে কমিশনের অন্য সদস্যদের নিয়ে বৈঠক করে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। একই সঙ্গে তাকে প্রধান আসামি করে মামলা হয়েছে। ইতোমধ্যে তিনজন আসামিকে গ্রেফতার করা হয়েছে। অস্ত্র উদ্ধারে পুলিশ কাজ করছে। প্রচারণায় ব্যাপারে কাজী হাবিবুল আউয়াল বলেন, ‘ভবিষ্যতে প্রচারণার ধরনও পাল্টে যেতে পারে। নেপালে আমি গিয়ে দেখেছি, তাদের নির্বাচনে কোনো ব্যানার-পোস্টার নেই। তারা শুধু ঘরে ঘরে গিয়ে লিফলেট দিয়ে আসেন। আমাদেরও প্রচারণা নিয়ে ভাবতে হবে।’ সিলেটের বিভাগীয় কমিশনার ড. মুহাম্মদ মোশাররফ হোসেনের সভাপতিত্বে মতবিনিময় সভায় বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন নির্বাচন কমিশনের সচিব মো. জাহাঙ্গীর আলম, সিলেট মহানগর পুলিশ কমিশনার ইলিয়াছ শরীফ, সিলেট জেলা প্রশাসক মো. মজিবর রহমান, সিলেট আঞ্চলিক নির্বাচন কর্মকর্তা ও সিটি করপোরেশন নির্বাচনের রিটার্নিং কর্মকর্তা ফয়সল কাদের, জেলা পুলিশ সুপার আবদুল্লাহ আল মামুন প্রমুখ।

সর্বশেষ খবর