রবিবার, ১১ জুন, ২০২৩ ০০:০০ টা

১০ বছর পর জামায়াতের সমাবেশ

নিজস্ব প্রতিবেদক

দীর্ঘ এক দশক পর রাজধানীতে ঘরোয়াভাবে সমাবেশ করেছে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী। দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতি রোধ, জামায়াত আমির ডা. শফিকুর রহমানসহ জাতীয় নেতৃবৃন্দ ও ওলামায়ে কেরামের মুক্তি এবং কেয়ারটেকার সরকারব্যবস্থা প্রতিষ্ঠার দাবিতে এই সমাবেশের আয়োজন করে ঢাকা মহানগর দক্ষিণ জামায়াত। শুক্রবার রাতে কিছু মৌখিক শর্তে সমাবেশের অনুমতি দেয় ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ (ডিএমপি)। গতকাল বেলা ২টায় রাজধানীর ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশন মিলনায়তনে কোরআন তিলাওয়াত ও দেশাত্মবোধক গান পরিবেশনের মাধ্যমে এই সমাবেশ শুরু হয়। ইনস্টিটিউশনের মিলনায়তনে জায়গা সংকুলান না হওয়ায় বাইরের খোলা জায়গায়, সোহরাওয়ার্দী উদ্যান এবং ফুটপাতে অসংখ্য নেতা-কর্মী অবস্থান নেন। একপর্যায়ে নেতা-কর্মীদের উপস্থিতি মূল সড়কে গিয়ে ঠেকে। ফলে মৎস্য ভবন ক্রসিং থেকে শাহবাগ অভিমুখী সড়কটিতে যান চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। নেতা-কর্মীরা জামায়াতের আমির ডা. শফিকুর রহমানসহ দলের কেন্দ্রীয় নেতাদের মুক্তির দাবিতে স্লোগান দেন। ঢাকা মহানগর দক্ষিণ জামায়াতের আমির নূরুল ইসলাম বুলবুলের সভাপতিত্বে ও সেক্রেটারি জেনারেল ড. শফিকুল ইসলাম মাসুদের সঞ্চালনায় প্রধান অতিথি হিসেবে এতে বক্তব্য দেন জামায়াতে ইসলামীর কেন্দ্রীয় নায়েবে আমির ও সাবেক সংসদ সদস্য ডা. সৈয়দ আবদুল্লাহ মো. তাহের। এ সময় জামায়াতের ভারপ্রাপ্ত কেন্দ্রীয় আমির অধ্যাপক মুজিবুর রহমানের বক্তব্য পড়ে শোনানো হয়। আরও বক্তব্য রাখেন জামায়াতের সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল এ এইচ এম হামিদুর রহমান আযাদ, সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল মাওলানা আবদুল হালিম, প্রচার সম্পাদক অ্যাডভোকেট মতিউর রহমান আকন্দ প্রমুখ। প্রধান অতিথির বক্তব্যে ডা. সৈয়দ আবদুল্লাহ মোহাম্মদ তাহের বলেন, সংবিধান পরিবর্তন করে জনগণের দাবি মেনে তাদের অধিকার নিশ্চিত করতে হবে। গণতন্ত্রের অপরিহার্য উপাদান নির্বাচন। সেটি হতে হবে অবাধ ও সুষ্ঠু। সেটি করতে হলে কেয়ারটেকার সরকারের অধীনে করতে হবে। কিন্তু এরা দিনের ভোট রাতে করে। লজ্জা তো ইমানের অঙ্গ। কিছুটা তো লজ্জা থাকা উচিত নেতাদের। সুতরাং বলব, ২০১৪ ও ২০১৮ গেছে যাক। এবার ২০২৪ আর সেভাবে যাবে না। যদি আওয়ামী লীগ বোঝে তাহলে আসুন, আলোচনা করুন। এবারের নির্বাচন হবে তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে। সে দাবি আদায়ে যা করা দরকার আমরা সেই আন্দোলন করব ইনশা আল্লাহ। তিনি বলেন, আজকে দেশের শাসক ও মানুষ সৎ হলে সোনার দেশ হতাম। কিন্তু সেটা করতে পারিনি। আপনারা না পারলে আমাদের সহযোগিতা করুন। তাহলেই দেশের পরিবর্তন হবে। সব ঠিক হয়ে যাবে ইনশা আল্লাহ। ডা. তাহের দলের আমির ডা. শফিকুর রহমানসহ সব নেতা-কর্মীর মুক্তি দাবি করেন। সেই সঙ্গে তিনি মিথ্যা মামলা প্রত্যাহারের দাবি জানান। তিনি হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেন, তা না হলে জামায়াতই মুক্ত করবে এবং পরিস্থিতি আরও উত্তপ্ত হবে। একই সঙ্গে নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের মূল্য সহনীয় পর্যায়ে আনার দাবি এবং একটি নৈতিকতাসম্পন্ন ও বাসযোগ্য বাংলাদেশ তৈরির জন্য জাতীয় ঐক্য গড়ে তোলার আহ্বান জানান ডা. আবদুল্লাহ মোহাম্মদ তাহের।

সর্বশেষ খবর