বাংলাদেশ ব্যাংকের সাবেক গভর্নর ড. সালেহউদ্দিন আহমেদ বলেছেন, বাংলাদেশে টাকা পাচারে বিভিন্ন ধরন আছে। মাদকের মাধ্যমে টাকা পাচার এর মধ্যে বেশি উদ্বেগজনক। মাদক এখানে উৎপাদন হয় না। অধিকাংশই বাইরে থেকে আসে। বাংলাদেশ মাদকের রুট হিসেবে ব্যবহৃত হয়। এর মাধ্যমে টাকা পাচার হলে সেটা ব্যাংকিং থেকে তেমন কিছু করার থাকে না। এ জন্য সরকারকেই কঠোরভাবে মাদকের অবৈধ বাণিজ্য বন্ধ করার পদক্ষেপ নিতে হবে। বাংলাদেশ প্রতিদিনকে তিনি বলেন, বেশির ভাগ মাদকের ঘটনায় দেখা যায়, বাংলাদেশ একটি রুট হিসেবে ব্যবহার হয়। অন্য দেশ থেকে মাদক এনে সেটা আরেক দেশে পাচার হয়। তাই সরাসরি নগদ টাকার লেনদেন ব্যাংকিং পদ্ধতিতে নাও হতে পারে। হলেও সেটা মোট বাণিজ্য থেকে কম। তাই ব্যাংকিং কার্যক্রম থেকে মাদক অর্থ পাচার বন্ধ করা সহজ নয়। তিনি আরও বলেন, আমাদের এমনিতেই ডলার সংকট চলছে। তার মধ্যে প্রায় ৫ হাজার কোটি টাকা পাচার হয়ে যায় দেশ থেকে। সেটা অর্থনীতির জন্য বড় ধরনের হুমকি। অন্যান্য ক্ষেত্রে টাকা পাচার একটি সমস্যা। কিন্তু মাদকের মাধ্যমে টাকা পাচার শুধু অর্থনীতিতে নয়, সামাজিক খাতে বড় ধরনের নেতিবাচক প্রভাব ফেলে। তাই আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীকে তৎপর হতে হবে। পুরো মাদকবাণিজ্য বন্ধ করতে কঠোর পদক্ষেপ নিতে হবে।