মঙ্গলবার, ১৩ জুন, ২০২৩ ০০:০০ টা

ষড়যন্ত্র হলেও নৌকার বিজয় ঠেকানো যাবে না : কাদের

নিজস্ব প্রতিবেদক

আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, যত ষড়যন্ত্রই হোক নৌকার বিজয় ঠেকানো যাবে না। তিনি বলেন, ‘বিএনপি নির্বাচনে না এলে জনগণ ভোট দিতে আসবে না’- এমন দুঃস্বপ্ন দেখে লাভ নেই। দেশের সাম্প্রতিক নির্বাচনে ভোটারদের রয়েছে সরব উপস্থিতি। তিনি বলেন, আমি আশাবাদী যত চক্রান্তই হোক না কেন নৌকা আবার বিজয়ী হবে।

গতকাল বিকালে রাজধানীর পল্লবীতে ঢাকা মহানগর উত্তর যুবলীগের ছয়টি ওয়ার্ডের ত্রিবার্ষিক সম্মেলনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন। সম্মেলনে সভাপতিত্ব করেন ঢাকা মহানগর উত্তর যুবলীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি জাকির হোসেন। প্রধান বক্তা ছিলেন আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক মির্জা আজম। বিশেষ অতিথির বক্তব্য দেন আওয়ামী যুবলীগের চেয়ারম্যান শেখ ফজলে শামস পরশ, সাধারণ সম্পাদক মাইনুল হোসেন খান নিখিল, ঢাকা মহানগর উত্তর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এস এম মান্নান কচি, স্থানীয় সংসদ সদস্য ইলিয়াস উদ্দিন মোল্লাহ, ঢাকা মহানগর উত্তর যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক ইসমাইল হোসেন প্রমুখ। তত্ত্বাবধায়ক সরকারের বিষয়টি আদালতে গিয়ে ফয়সালা করতে মির্জা ফখরুলের প্রতি আহ্বান জানান ওবায়দুল কাদের। তিনি বলেন, বিএনপি বলেছে, আওয়ামী লীগ ৩০টা আসনও পাবে না। ২০০৮ সালে তো তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনেই নির্বাচন হয়েছিল। তখন আপনারা পেয়েছিলেন ২৯ আসন। সেই তত্ত্বাবধায়ক আর আসবে না, আদালত তাকে কবরে পাঠিয়ে দিয়েছে। আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক বলেন, লোডশেডিং নিয়ে বিএনপি কিছুদিন আগে তুলকালাম করেছে। অথচ ওরা দিল খাম্বা, আমরা দিলাম বিদ্যুৎ। তাদের আমলে ছিল ৩ হাজার ২০০ মেগাওয়াট। আমরা সেটা নিয়ে এসেছি ২৭ হাজার মেগাওয়াটে। লোডশেডিং নিয়ে বিএনপি বলেছে, শেখ হাসিনার গদি নাকি আর নাই। শেখ হাসিনার ওপর আল্লাহর রহমত আছে। যে নেতা দিনরাত জনগণের কথা ভাবেন, সেই নেতাকে হটানো এত সহজ নয়। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ওপর ভরসা রাখার আহ্বান জানিয়ে ওবায়দুল কাদের বলেন, কয়েক দিনের মধ্যে লোডশেডিং থাকবে না, দ্রব্যমূল্যও কমবে। আওয়ামী লীগ মরে যাবে কিন্তু জনগণের সঙ্গে বেইমানি করবে না। প্রধান বক্তার বক্তব্যে মির্জা আজম এমপি বলেন, বিএনপি আজ প্রকাশ্যে প্রধানমন্ত্রীর বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করছে। তারা বলে, খালেদা জিয়া নাকি প্রথম মহিলা মুক্তিযোদ্ধা। অথচ মুক্তিযুদ্ধের সময় সে ক্যান্টনমেন্টে ছিল। মুক্তিযুদ্ধের সময় তারেক জিয়ার বয়স ছিল ছয়-সাত বছর। তাকে বলা হয় শিশু মুক্তিযোদ্ধা। বিএনপির এসব মিথ্যাচারের বিরুদ্ধে যুবলীগকে কাজ করতে হবে এবং উন্নত বাংলাদেশ বিনির্মাণে ভূমিকা রাখতে হবে।

 

সর্বশেষ খবর