মঙ্গলবার, ১৩ জুন, ২০২৩ ০০:০০ টা

পাওনা টাকা না পেয়ে হাত-পা বেঁধে নদীতে ফেলে বন্ধুকে হত্যা

নিজস্ব প্রতিবেদক

পাঠাও চালক রিফাত ও কাজল পূর্বপরিচিত এবং তাদের মধ্যে বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক ছিল। তবে মাসখানেক আগে ব্যবসায়িক দেনা-পাওনা নিয়ে তাদের মধ্যে দ্বন্দ্বের সৃষ্টি হয়। রিফাত পাওনা টাকা ফেরত দিতে অস্বীকৃতি জানান। এতে ক্ষিপ্ত হন কাজল। ক্ষোভ থেকেই রিফাতকে হত্যার পরিকল্পনা করেন কাজল।

পরিকল্পনা অনুযায়ী ৫ জুন তুরাগ নদে রিফাতকে নিয়ে ঘুরতে যান কাজল। সেখান থেকে রাতে ফেরার আগে তর্ক-বিতর্কের মধ্যে রিফাতকে মারধর করা হয়। এরপর মাঝির সহযোগিতায় রিফাতকে হাত-পা বেঁধে তুরাগ নদে ফেলে দেওয়া হয়। ৬ জুন বিকালে ঢাকার আশুলিয়ার রোদ্রপুর এলাকায় তুরাগ নদে একটি লাশ ভাসমান অবস্থায় উদ্ধার করা হয়। পরে জানা যায়, লাশটি রিফাতের। ওই ঘটনার মূল পরিকল্পনাকারী কাজলসহ দুজনকে গ্রেফতার করেছে র‌্যাব। 

গতকাল দুপুরে রাজধানীর উত্তরায় র‌্যাব-১ কার্যালয়ে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এসব জানান র‌্যাব-১ অধিনায়ক (সিও) লে. কর্নেল মুহাম্মদ মোসতাক আহমদ। তিনি বলেন, ওই ঘটনায় রিফাতের বাবা ফারুক বাদী হয়ে গাজীপুর মহানগরের (জিএমপি) গাছা থানায় মামলা করেন। ঘটনার রহস্য উন্মোচনের জন্য র‌্যাব-১ ছায়াতদন্ত শুরু করে। রবিবার রাতে র‌্যাব-১-এর একটি দল ময়মনসিংহের ফুলবাড়ীয়া উপজেলায় অভিযান চালিয়ে হত্যার মূল পরিকল্পনাকারী তাইজুল ইসলাম ওরফে কাজলকে (৩২) গ্রেফতার করে।টঙ্গী পূর্ব থানার আবদুর রশিদের ছেলে কাজল। কাজলের দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতে রিফাত হত্যায় সহযোগী নৌকার মাঝি এমারত হোসেনকে (৩৮) গাজীপুরের গাছা থানার পলাশোনা খেয়াঘাট থেকে একই রাতে গ্রেফতার করা হয়। রিফাত ও কাজল পূর্বপরিচিত এবং তাদের মধ্যে বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক ছিল। আনুমানিক এক মাস আগে থেকে তাদের মধ্যে ব্যবসায়িক দেনা-পাওনা নিয়ে দ্বন্দ্বের সৃষ্টি হয়। রিফাতের পরিবারের বক্তব্য, কাজল ২০ হাজার টাকা পেতেন। আর কাজলের দাবি, পাওনা টাকার পরিমাণ ২৭ হাজার। রিফাত পাওনা টাকা দিতে অস্বীকৃতি জানালে কাজল ক্ষিপ্ত হন। রিফাতকে শায়েস্তা করতে হত্যার পরিকল্পনা করেন তিনি।

 

সর্বশেষ খবর