সিলেট সিটি করপোরেশন নির্বাচনে আওয়ামী লীগের মেয়র প্রার্থী আনোয়ারুজ্জামান চৌধুরী গতকাল বৃষ্টি উপেক্ষা করে দিনভর প্রচারণা চালিয়েছেন। নগরীর বিভিন্ন স্থানে জলাবদ্ধতার কবলে পড়া মানুষের কাছে গিয়ে খোঁজখবর নেন তিনি। জাতীয় পার্টির প্রার্থী নজরুল ইসলাম বাবুল প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী ও তাঁর কর্মী-সমর্থকদের বিরুদ্ধে অপপ্রচার, হুমকি-ধমকি ও প্রচারণায় বাধা দেওয়ার অভিযোগ করেছেন।
গতকাল সকালে ভারী বর্ষণে নগরীতে জলাবদ্ধতার সৃষ্টি হয়। নগরীর কাজীরবাজার, শিবগঞ্জ, সোনারপাড়া ও বাদাঘাটসহ বিভিন্ন জলাবদ্ধ এলাকা পরিদর্শন করেন আনোয়ারুজ্জামান চৌধুরী। তিনি ভুক্তভোগী মানুষের খোঁজখবর নেন। তিনি বলেন, ‘নির্বাচিত হলে প্রথমেই আমি জলাবদ্ধতা নিরসন করব। পরিকল্পিত উন্নয়নের মাধ্যমে জনদুর্ভোগ লাঘব করব। সরকারের বরাদ্দ ও জনগণের ট্যাক্সের টাকার শতভাগ সদ্ব্যবহার হবে। সিলেট জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ও জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট নাসির উদ্দিন খান, আওয়ামী লীগ নেতা অসিত শ্যাম সজল, রজত কান্তি গুপ্ত, আজিজুর হক মঞ্জু, সিলেট চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রিজের সভাপতি তাহমিন আহমদ তার সঙ্গে ছিলেন। জাতীয় পার্টির মেয়র প্রার্থী নজরুল ইসলাম বাবুল নগরীর কুমারপাড়ায় প্রধান নির্বাচনী কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলনে অভিযোগ করেন, এডিটিং করে তার নামে আপত্তিকর ভিডিও প্রচার করা হচ্ছে। নির্বাচনের সুষ্ঠু পরিবেশ নেই দাবি করেন বাবুল। তিনি বলেন, ‘সুষ্ঠু হবে না ভেবে বর্তমান মেয়র আরিফুল হক চৌধুরী নির্বাচনে অংশই নেননি। বরিশালের ঘটনার পর ইসলামী আন্দোলন প্রার্থী মাওলানা মাহমুদুল হাসানও নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়িয়েছেন। এখন সরকার দলীয় প্রার্থীর টার্গেট আমি। নির্বাচন থেকে আমাকে সরিয়ে দিতে নানামুখী চাপে রাখা হচ্ছে। আমার কর্মসূচিতে বাধা দেওয়া হচ্ছে। ব্যানার-ফেস্টুন ও পোস্টার ছিঁড়ে ফেলা হচ্ছে। কিন্তু কোনো বাধা আমাকে নির্বাচন থেকে সরাতে পারবে না।’ নির্বাচন কমিশন কোনো অভিযোগ আমলে নিচ্ছে না দাবি করে বাবুল বলেন, ‘আমার বিচার দেওয়ার জায়গা নেই। রিটার্নিং অফিসার ও তার অফিসে বার বার ধরনা দিয়ে একাধিক অভিযোগ করলেও কোনো লাভ হয়নি।