বৃহস্পতিবার, ১৫ জুন, ২০২৩ ০০:০০ টা

ঘুমের ওষুধ খাইয়ে স্ত্রী-সন্তানকে হত্যা অভিযুক্ত আটক

নিজস্ব প্রতিবেদক

রাজধানীতে দুধের সঙ্গে ৩০টি ঘুমের ওষুধ খাইয়ে স্ত্রী বৃষ্টি ও তাদের শিশু সন্তান সানজা মারওয়াকে হত্যার অভিযোগ পাওয়া গেছে। এ ঘটনায় অভিযুক্ত সেলিমকে (৪০) আটক করা হলে তিনি প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে পুলিশের কাছে এই হত্যার পরিকল্পনার কথা স্বীকার করেছেন।

মঙ্গলবার রাত ৩টায় রাজধানীর বনশ্রীর ফরাজী হাসপাতাল থেকে বৃষ্টি আক্তার (৩৩) ও তার মেয়ে সানজা মারওয়ার (১০) লাশ উদ্ধার করা হয়। পরে লাশ দুটি ময়নাতদন্তের জন্য ঢামেক মর্গে পাঠানো হয়। সানজা স্থানীয় একটি মাদরাসায় ইংলিশ ভার্সনে পড়াশোনা করত। গতকাল বিকালে লাশ দুটি উদ্ধারের বিষয়ে ঢাকা মহানগর পুলিশের গুলশান বিভাগের উপ-কমিশনার (ডিসি) মো. শহীদুল্লাহ বলেন, বৃষ্টির স্বামী সেলিমের অন্য মেয়েদের সঙ্গে সম্পর্ক থাকায় প্রায়ই স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে ঝগড়া হতো। আটক সেলিম পুলিশের কাছে প্রাথমিকভাবে স্বীকার করেছে যে, পরিকল্পনা অনুযায়ী মঙ্গলবার রাতে বাইরে থেকে সে দুধ কিনে আনে। সেই দুধে ৩০টি ঘুমের ওষুধ মিশিয়ে তার স্ত্রী বৃষ্টি ও শিশু সন্তানকে খাইয়ে দেয়। এরপরই তারা আস্তে আস্তে নিস্তেজ হয়ে যায়। পরে রাতে ওই অবস্থায় একপর্যায়ে বনশ্রী ফরাজী হাসপাতালে দুজনকে নিয়ে যায়। সেখান থেকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়। বাড্ডা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবুল কালাম আজাদ জানান, এ ব্যাপারে মামলা প্রক্রিয়াধীন। আপাতত মামলায় শুধু সেলিমকেই আসামি করা হতে পারে। তবে এর আগে হাসপাতালে মৃতের পরিবারের লোকজন দাবি করেছিল পরনারীর ঘটনাকে কেন্দ্র করে স্ত্রী ও সন্তানকে সেলিম শ্বাসরোধ করে হত্যা করেছে। এদিকে ঢামেকে বৃষ্টির মামা সোহেল সিকদার জানান, তাদের বাড়ি মুন্সীগঞ্জের টুঙ্গিবাড়ী উপজেলার চাষিরা গ্রামে। পশ্চিম মেরুল বাড্ডার জামশেদ টাওয়ারের অষ্টম তলায় থাকতেন তারা। এটি বৃষ্টির স্বামী সেলিমের নিজের বাড়ি। তার অভিযোগ, সেলিম মঙ্গলবার রাত আনুমানিক ২টায় বৃষ্টির গ্রামের বাড়িতে ফোন করে খবর দেন যে, বৃষ্টি ও তার মেয়ের অবস্থা ভালো না। তখন গ্রাম থেকে ফোন করে তাকে বিষয়টি জানানো হয়। তিনি তাৎক্ষণিকভাবে ওই বাসায় গিয়ে বৃষ্টিকে এক রুমে এবং পাশের রুমে সানজাকে অচেতন অবস্থায় পড়ে থাকতে দেখেন। এ সময় বাসায় ছিলেন সেলিম। ৯ মাসের ছেলে সারিন ছিল প্রতিবেশী এক ভাড়াটিয়ার কোলে। সোহেল সঙ্গে সঙ্গে বৃষ্টি ও সানজাকে ফরাজী হাসপাতালে নিয়ে যান।

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর