শুক্রবার, ১৬ জুন, ২০২৩ ০০:০০ টা

পশুর জন্য বিশেষ ফেরি, লঞ্চে নেওয়া যাবে মোটরসাইকেল

রুকনুজ্জামান অঞ্জন

আসছে ঈদে কোরবানির পশুবাহী ট্রাক পারাপারের জন্য ডেডিকেটেড ফেরির ব্যবস্থা থাকবে। এ ছাড়া ঈদের আগের তিন দিন ও পরের তিন দিন কোরবানির পশু ও নিত্যপ্রয়োজনীয় পচনশীল পণ্যবাহী ট্রাকছাড়া সাধারণ ট্রাক ও কাভার্ড ভ্যান ফেরিতে পারাপার বন্ধ থাকবে। গত ঈদে যাত্রীবাহী লঞ্চে মোটরসাইকেলসহ সব ধরনের মালামাল পরিবহন বন্ধ থাকলেও কোরবানির ঈদে মোটরসাইকেল পরিবহনের সুবিধা দিতে যাচ্ছে সরকার। তবে ঈদের আগে ও পরে পাঁচ দিন করে মোট ১০ দিন এসব লঞ্চে অন্য কোনো মালামাল পরিবহন করা যাবে না। ঈদযাত্রা নির্বিঘ্ন করতে নৌপরিবহন মন্ত্রণালয় এসব সিদ্ধান্ত নিয়েছে। মন্ত্রণালয় সূত্র জানায়, ঈদুল আজহা উপলক্ষে ফেরি সার্ভিস ও দেশের বিভিন্ন নৌপথে স্টিমার, লঞ্চসহ জলযান সুষ্ঠুভাবে চলাচল এবং যাত্রীদের নির্বিঘ্নে যাতায়াত নিশ্চিত করতে সম্প্রতি একটি সভা করে নৌপরিবহন মন্ত্রণালয়। ওই সভায় নৌপথে ঈদযাত্রা নিরাপদ ও নির্বিঘ্ন করতে সংশ্লিষ্ট জেলা প্রশাসক ও পুলিশ সুপারদের বিশেষ নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। সভার কার্যবিরণী গত ৮ জুন সংশ্লিষ্ট সংস্থাগুলোতে পাঠানো হয়েছে। কার্যবিবরণীর তথ্য বলছে, সভায় গৃহীত সিদ্ধান্ত অনুযায়ী নৌপথে যাত্রী সাধারণের চলাচলের সুবিধার জন্য গুলিস্তান থেকে সদরঘাট পর্যন্ত এলাকার রাস্তা, নদীবন্দর, ফেরিঘাটসহ গুরুত্বপূর্ণ ঘাটপয়েন্ট এলাকায় কোরবানির পশুর হাট বসানো যাবে না; ফেরিঘাট, লঞ্চঘাট ও স্পিডবোটে অতিরিক্ত ভাড়া আদায় রোধে মোবাইল কোর্ট পরিচালিত হবে; লঞ্চে অগ্নি দুর্ঘটনা প্রতিরোধে ভাসমান নৌ ফায়ার স্টেশন স্থাপন করতে হবে; নদীর মাঝপথে নৌকা দিয়ে লঞ্চে ও নৌযানে যাত্রী ওঠানামা করা যাবে না; মাঝপথে যাত্রী তোলা হলে লঞ্চমালিক ও চালকের বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেওয়া হবে; নৌপথে ডাকাতি, চাঁদাবাজি, শ্রমিক ও যাত্রীদের হয়রানি প্রতিরোধে রাতে পুলিশ টহল দেবে; ঈদের আগে-পরে ১০ দিন অর্থাৎ ২৪ জুন থেকে ৪ জুলাই পর্যন্ত নৌপথে বাল্কহেড চলাচল বন্ধ থাকবে; রাতে স্পিডবোট চালানো যাবে না; দিনের বেলায় স্পিডবোটের যাত্রীদের লাইফ জ্যাকেট নিশ্চিত করতে হবে; যাত্রী পরিবহন নির্বিঘ্ন করতে সদরঘাট থেকে বাহাদুরশাহ পার্ক পর্যন্ত রাস্তা যানজটমুক্ত এবং সদরঘাট টার্মিনাল ও লঞ্চসমূহ হকারমুক্ত রাখতে হবে; ঈদের পর ফিরতি যাত্রীদের চলাচল নির্বিঘ্ন করতে সদরঘাট টার্মিনালের সামনের রাস্তা হতে, জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় পর্যন্ত রাস্তার দুই পাশে মধ্যরাতের পর মিনিবাস, লেগুনা, অটোরিকশা ও টেম্পো যাতে এলোমেলোভাবে অবস্থান না করে সেজন্য নির্ধারিত স্ট্যান্ড ও পার্কিং নিশ্চিত করতে হবে। নৌপরিবহন মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরী সভায় বলেন, সবার সম্মিলিত প্রচেষ্টায় ঈদে নৌপথ নিরাপদ ও নির্বিঘ্ন রাখা হবে। ঈদের সময় ফেরির মাধ্যমে কোরবানির পশু ও পচনশীল পণ্য পরিবহন উন্মুক্ত থাকবে। লঞ্চের মাধ্যমে মোটরসাইকেল যত সম্ভব পরিবহন করা যাবে। যাত্রী সুবিধার জন্য বালাসি-বাহাদুরাবাদ ফেরিঘাটে লঞ্চ চলাচলের ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। নৌপথে কোরবানির পশু যাতে জোর করে অন্য হাটে নামাতে না পারে সে ব্যবস্থা নিতে হবে। টাকা ছিনতাই রোধ ও জাল টাকার শনাক্তকরণে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

 

সর্বশেষ খবর