শুক্রবার, ১৬ জুন, ২০২৩ ০০:০০ টা

ওসি ১৮ কোটি টাকার মালিক

নিজস্ব প্রতিবেদক

পরস্পর যোগসাজশে ১৮ কোটি টাকার জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদ অর্জনের অভিযোগে এক পুলিশ পরিদর্শকের বিরুদ্ধে মামলা করেছে দুদক। মামলায় তার স্ত্রী ও শাশুড়িকেও আসামি করা হয়েছে। ওই পুলিশ পরিদর্শক হলেন সৈয়দ আবদুল্লাহ। তিনি ফেনী পুলিশ সুপার কার্যালয়ের ক্রাইম শাখায় কর্মরত।

গতকাল সকালে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) সমন্বিত জেলা কার্যালয় পিরোজপুরে মানি লন্ডারিংয়ের এই মামলা করা হয়। মামলাটি করেন দুদকের সহকারী পরিচালক মো. মোস্তাফিজ। জানা গেছে, সৈয়দ আবদুল্লাহর বাড়ি নড়াইলের লোহাগড়া উপজেলার লাহুড়িয়া তালুকপাড়া গ্রামে।  দুদকের জনসংযোগ কর্মকর্তা মুহাম্মদ আরিফ সাদেক জানান, আসামি সৈয়দ আবদুল্লাহ, তার স্ত্রী ফারহানা আক্তার এবং শাশুড়ি কারিমা খাতুন জ্ঞাত আয়ের উৎসের সঙ্গে অসঙ্গতিপূর্ণ ১৮ কোটি ১৬ হাজার ৫৬৩ টাকা মূল্যের অধিক স্থাবর ও অস্থাবর সম্পদ অর্জন এবং দখলে রেখেছেন। অপরাধলব্ধ আয়ের অবৈধ প্রকৃতি, উৎস, অবস্থান, মালিকানা ও নিয়ন্ত্রণ গোপন ও ছদ্মাবৃত্ত করা তথা মানি লন্ডারিংয়ের উদ্দেশ্যে স্ত্রী ফারহানা আক্তারের নামে প্রতারণার মাধ্যমে একাধিক জাতীয় পরিচয়পত্র তৈরি করে ব্যবহার করেন। সেগুলো দিয়ে বিভিন্ন ব্যাংক হিসাব খোলেন। এসব ব্যাংক হিসাবে মোট ২৬ কোটি ৫০ লাখ টাকার অধিক সন্দেহজনক লেনদেন করেন। স্ত্রী ফারহানা আক্তার ও শাশুড়ি মিসেস কারিমা খাতুন আসামির সঙ্গে যোগসাজশে অপরাধলব্ধ সম্পত্তি নিজ নামে নেন এবং ভোগ করেন। মামলার এজাহার সূত্রে জানা গেছে, সৈয়দ আবদুল্লাহ স্ত্রী ফারহানা আক্তারের নামে দুটি জাতীয় পরিচয়পত্র (এনআইডি) তৈরি করেন। এগুলো ব্যবহার করে তিনি ১ কোটি টাকা মূল্যের সঞ্চয়পত্র কেনেন। ফারহানা আক্তারের নামে বিভিন্ন ব্যাংকে ১ কোটি ৭৬ লাখ ৯৫ হাজার ৮৫৪ টাকার আমানত গচ্ছিত রাখা এবং ৩১ লাখ টাকায় গাড়ি কেনার তথ্য পাওয়া গেছে। এ ছাড়া সৈয়দ আবদুল্লাহর নিজ নামে দুটি প্লট, ফারহানা আক্তারের নামে দুটি আবাসিক ফ্ল্যাট, একটি বাণিজ্যিক স্পেস কেনা হয়েছে। ফারহানা আক্তারের ব্যাংক হিসাব থেকে টাকা পরিশোধ করে তার মা কারিমা খাতুনের নামে আবাসিক ফ্ল্যাট কেনা হয়েছে। সব মিলিয়ে আসামিরা অবৈধভাবে ১৮ কোটি ১৫ লাখ ৬০ হাজার ২৮৬ টাকার স্থাবর ও অস্থাবর সম্পদ অর্জন করেছেন। দুদক সূত্র জানায়, গত ২৮ মে ঢাকা মহানগর সিনিয়র স্পেশাল জজ আদালতের আদেশে সৈয়দ আবদুল্লাহর অপরাধলব্ধ আয়ের মাধ্যমে অর্জিত স্থাবর সম্পদ ক্রোক এবং অস্থাবর সম্পদ অবরুদ্ধ করা হয়েছে। একই সঙ্গে সৈয়দ আবদুল্লাহ ও তার স্ত্রী ফারহানা আক্তারের ট্যাক্স ফাইল জব্দ করা হয়েছে।

এই রকম আরও টপিক

সর্বশেষ খবর