রবিবার, ১৮ জুন, ২০২৩ ০০:০০ টা
সরগরম সিটি নির্বাচনের মাঠ

ইভিএমে শঙ্কা জাপার, কেন্দ্রে যাওয়ার আহ্বান লিটনের

নিজস্ব প্রতিবেদক, রাজশাহী

ইভিএমে শঙ্কা জাপার, কেন্দ্রে যাওয়ার আহ্বান লিটনের

ভোটের আর তিন দিন বাকি। শেষ সময়ে প্রচারণায় নেমে ভোটারদের কেন্দ্রে যাওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন আওয়ামী লীগের প্রার্থী এ এইচ এম খায়রুজ্জামান লিটন। তিনি উপস্থিত নাগরিকদের দেখান কীভাবে ভোট দিতে হবে ইভিএমে। অন্যদিকে প্রচারণায় নেমে ইভিএম নিয়ে শঙ্কা প্রকাশ করেছেন জাতীয় পার্টির প্রার্থী সাইফুল ইসলাম স্বপন।

আওয়ামী লীগ প্রার্থী লিটন বলেন, ‘২১ তারিখ সকাল সকাল কেন্দ্রে যাবেন, নিজের ভোটটি নিশ্চিত করবেন আগে।

এরপর পরিবারের ভোটটি নিশ্চিত করবেন। আপনারা দয়া করে কেন্দ্রে গিয়ে ভোট প্রদান করবেন। এ কথা মনে করবেন না, তেমন শক্তিশালী কোনো প্রার্থী নেই, আমরা জিতেই গেছি। এটা মনে করা ঠিক হবে না, ভুল হবে।’ তিনি গতকাল বিকাল থেকে রাত পর্যন্ত ৩০ নম্বর ওয়ার্ডে গণসংযোগ ও পথসভা, আরবান ক্লিনিক মোড়, চার রাস্তার মোড়, পশ্চিম বুধপাড়া মসজিদ, নাজিরের মোড়, মোহনপুর, চৌদ্দপাই, মির্জাপুর আনিসের মোড় ও বিনোদনপুর মোড়ে পথসভায় অংশ নেন। এ এইচ এম খায়রুজ্জামান লিটন বলেন, ‘গত পাঁচ বছরের মধ্যে মাত্র আড়াই বছর কাজ করতে পেরেছি। কারণ করোনার কারণে দেড় বছর সারা পৃথিবীর মতো বাংলাদেশ অচল হয়ে ছিল। রাজশাহীও অচল হয়ে ছিল। তখন কোনো কাজ করতে পারিনি। সে সময় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশে নগরবাসীকে দফায় দফায় খাদ্য, নগদ অর্থ প্রদান, ওষুধ ও অক্সিজেন সিলিন্ডার বাড়ি বাড়ি পৌঁছে দিয়েছি। এরপর রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ, নির্মাণসামগ্রী ও ডলারের দাম বৃদ্ধি ইত্যাদি কারণে আড়াই বছর তেমন উন্নয়ন কাজ করা সম্ভব হয়নি। তবে আড়াই বছরে যে অল্প সময় কাজ করতে পেরেছি, তার উন্নয়ন আপনারা দেখতে পাচ্ছেন।’ তিনি আরও বলেন, ‘রাজশাহীতে কর্মের সংকট। তেমন শিল্পকারখানা নেই। সরকারি কারখানা বন্ধ হয়ে আছে। এবার কর্মসংস্থান দিতে চাই। প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশে বিসিক শিল্পনগরী-২ নির্মিত হয়েছে। সেখানে ২৮৭টি প্লটে ক্ষুদ্র ও মাঝারি কারখানা করা যাবে। ঢাকা, চট্টগ্রাম, গাজীপুর থেকে শিল্পপতিদের নিয়ে এসে শিল্পকারখানা করব।’ জাতীয় পার্টির প্রার্থী সাইফুল ইসলাম স্বপন গণসংযোগ করেন বড়কুঠি, কুমারপাড়া, মহিলা কলেজ, সাগরপাড়ায়। এ সময় তিনি আওয়ামী লীগ প্রার্থীর বিরুদ্ধে নির্বাচনী আচরণবিধি লঙ্ঘনের অভিযোগ তোলেন। তিনি বলেন, ‘যে পরিমাণ পোস্টার ও বিলবোর্ড আওয়ামী লীগ প্রার্থী টানিয়েছেন, তার দাম কোটি টাকার বেশি। এটা তো আচরণবিধি মেনে হচ্ছে না। তার পরও আমরা অভিযোগ করছি না নির্বাচন কমিশনে। কারণ আমরা শান্তিপূর্ণ ভোট চাই।’ তিনি আরও বলেন, ‘আমরা শুরু থেকে ইভিএম নিয়ে কথা বলে আসছি। প্রথমবারের মতো এখানকার মানুষ ইভিএমে ভোট দেবেন। এ সম্পর্কে মানুষের ধারণা তৈরি করতে নির্বাচন কমিশনকে বলেছিলাম। কিন্তু কমিশন তো কিছুই করছে না। এত কথা বলা হচ্ছে, তারা তো কোনো কাজই করছে না।’

সর্বশেষ খবর