সোমবার, ১৯ জুন, ২০২৩ ০০:০০ টা

উত্তরা থেকে মতিঝিল মেট্রোরেল অক্টোবরে

নিজস্ব প্রতিবেদক

উত্তরা থেকে মতিঝিল মেট্রোরেল অক্টোবরে

আসছে অক্টোবরে এমআরটি লাইন-সিক্সের আগারগাঁও থেকে মতিঝিল অংশের উদ্বোধন করবেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। ফলে উত্তরা থেকে মতিঝিল পর্যন্ত খুলে যাবে মেট্রোরেলের পথ। এমনটাই জানিয়েছেন সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের।

গতকাল সকালে রাজধানীর বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে ঢাকা ম্যাস ট্রানজিট কোম্পানি লিমিটেড (ডিএমটিসিএল) আয়োজিত এক সেমিনারে এ তথ্য জানান তিনি। মেট্রোরেলের এমআরটি লাইন সিক্সের আগারগাঁও থেকে মতিঝিল অংশ পরিচালন বিষয়ক এই সেমিনারে উপস্থিত ছিলেন জাইকার বাংলাদেশের প্রধান প্রতিনিধি ইচিগুচি তমোহিদে ও বাংলাদেশে নিযুক্ত জাপানের রাষ্ট্রদূত ইয়োমাকি মিনোওরি।

এর আগে মতিঝিল পর্যন্ত মেট্রোরেলপথ আগামী ডিসেম্বরের আগেই খুলে দেওয়ার কথা জানিয়েছিল ডিএমটিসিএল। ১৮ মে ডিএমটিসিএলের এমডি এম এ এন ছিদ্দিক বলেন, ওই সময়সীমা ধরেই জুলাইয়ে এই পথে পরীক্ষামূলকভাবে চালু হবে মেট্রোরেল।

এর আগে গত বছর ২৮ ডিসেম্বর প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা মেট্রোরেলের উত্তরা উত্তর স্টেশন থেকে আগারগাঁও পর্যন্ত অংশের উদ্বোধন করেন। পর দিন থেকেই যাত্রী চলাচল শুরু হয় দেশের প্রথম এই বৈদ্যুতিক ট্রেনে। পরে ধাপে ধাপে এই পথের মাঝের নয়টি স্টেশন খুলে দেওয়া হয়।

উল্লেখ্য, এমআরটি লাইন-সিক্স প্রকল্পের নির্মাণকাজ শুরু হয় ২০১৬ সালের ২৬ জুন। ৩৩ হাজার  ৪৭১ কোটি ৯৯ লাখ টাকা ব্যয়ে উত্তরা থেকে কমলাপুর পর্যন্ত ২১ দশমিক ১৬ কিলোমিটার দীর্ঘ এই মেট্রোরেলের নির্মাণকাজ চলছে জাপানের উন্নয়ন সংস্থা জাইকার সহযোগিতায়। সেমিনারে জাইকার ইচিগুচি তমোহিদে বলেন, ‘ঢাকা আমারও খুব প্রিয় শহর। ঢাকার মতো জনবহুল শহরে এ রকম প্রকল্প সম্পন্ন করা বেশ চ্যালেঞ্জিং। ভবিষ্যতেও বাংলাদেশে জাইকার সব ধরনের সহযোগিতা অব্যাহত থাকবে। এমআরটি সিক্স বাংলাদেশ-জাপানের পারস্পরিক বিশ্বাস-বন্ধুত্বের এক অনন্য উদাহরণ।’ তিনি বলেন, ডিএমটিসিএলের প্রকৌশলীরা প্রতিবছর জাপান যেতে পারবেন। এ ছাড়া জাইকা থেকে সব ধরনের কারিগরি সহায়তাও অব্যাহত থাকবে। জাপানি রাষ্ট্রদূত ইয়োমাকি মিনোওরি বলেন, এমআরটি লাইন-সিক্স প্রমাণ করে যোগাযোগ খাতে জাপান-বাংলাদেশ কতটা অঙ্গাঙ্গিভাবে জড়িত। ঢাকার জীবনযাত্রার মান উন্নয়নে বড় ভূমিকা রাখবে এই মেট্রোরেল। বাংলাদেশের উন্নয়নে ভবিষ্যতেও ‘উইন-উইন’ সিচুয়েশনের ভিত্তিতে বিভিন্ন প্রকল্প গ্রহণ করা হবে। মেট্রোরেলের আইনশৃঙ্খলা রক্ষা এবং পরিচ্ছন্নতার ওপর জোর দিয়ে সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘জাতীয় সম্পদ রক্ষায় সবাকেই দায়িত্ববান হতে হবে। মেট্রোরেলের পিলারগুলোতে যেভাবে পোস্টার লাগানো শুরু হয়েছিল, আমরা ভয় পেয়ে যাচ্ছি। এটুকু সৌন্দর্য আমাদের থাকবে না? রুচিবোধের এতই কি ঘাটতি বাংলাদেশে! এখানে জরিমানা করে হলেও পোস্টার লাগানো বন্ধ করতে হবে।’ অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন সড়ক ও মহাসড়ক বিভাগের সচিব এ বি এম আমিন উল্লাহ নুরী। আরও বক্তব্য রাখেন সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি রওশন আরা মান্নান, ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের মেয়র আতিকুল ইসলাম, দক্ষিণ সিটি মেয়র শেখ ফজলে নূর তাপস ও বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ডা. শরফুদ্দীন আহমেদ প্রমুখ।

সর্বশেষ খবর