সোমবার, ১৯ জুন, ২০২৩ ০০:০০ টা

বাস থেকে ফেলে দেওয়া সেই নারীর মৃত্যু

ভালুকা (ময়মনসিংহ) প্রতিনিধি

ধর্ষণে ব্যর্থ হয়ে চলন্ত বাস থেকে ফেলে দেওয়া নারী শামছুন্নাহার (৪৫) অবশেষে মারা গেছেন। গতকাল সকালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে তার মৃত্যু হয়। শুক্রবার রাত ১০টার দিকে পোশাক কারখানায় কাজ শেষে হাইওয়ে মিনিবাসে বাসায় ফিরছিলেন শামছুন্নাহার। পথে ভালুকা মাস্টারবাড়ি এলাকায় অন্য যাত্রীরা নেমে গেলে একা পেয়ে তাকে চলন্ত বাসে ধর্ষণের চেষ্টা চালান ওই মিনিবাসের চালক ও দুই সহকারী। প্রতিরোধের চেষ্টা করলে তাকে মারধর করে চলন্ত বাস থেকে রাস্তায় ফেলে দেওয়া হয়। এরপর লোকজন গুরুতর অবস্থায় তাকে উদ্ধার করে হাসপাতালে পাঠান।

নিহত শামছুন্নাহার কিশোরগঞ্জ জেলার করিমগঞ্জ উপজেলার জয়কা গ্রামের মৃত শাহজাহান মিয়ার স্ত্রী। তিনি শ্রীপুর উপজেলার রিদিশা গার্মেন্টস লিমিটেডের কর্মী ছিলেন। এ ঘটনায় শনিবার বিকালে ভালুকা থানায় ভুক্তভোগীর ভাই মোজাম্মেল বাদী হয়ে মামলা দায়ের করেন। এদিকে ঘটনার পরপরই হাইওয়ে পুলিশ বাসটি আটক করে। ওই রাতেই পুলিশ চালকের দুই সহকারীকে ভালুকা ও চালককে ত্রিশাল থেকে গ্রেফতার করে। তারা হলেন টাঙ্গাইল ধনবাড়ী উপজেলার মুশুর্দ্দি কুমারপাড়ার গ্রামের আমির হোসেনের ছেলে বাস চালক রাকিব (২১), ত্রিশাল উপজেলার রায়মণি গ্রামের আরফান আলীর ছেলে বাসের সহকারী আরিফ (২০) ও ত্রিশালের কাশিগঞ্জ গ্রামের রবিদাসের ছেলে বাসের সুপারভাইজার আনন্দ দাস (১৯)। আসামিদের আদালতের মাধ্যমে জেলহাজতে পাঠানো হয়েছে।

ভালুকা মডেল থানার ওসি কামাল হোসেন জানান, চলন্ত বাস থেকে ফেলে দেওয়া শামছুন্নাহার মাথায় গুরুতর আঘাত পান। তাকে স্থানীয়রা প্রথমে ভালুকা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করেন। সেখানে অবস্থার অবনতি হলে শনিবার ভোরে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। গতকাল সকালে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের আইসিইউতে চিকিৎসাধীন অবস্থানয় তার মৃত্যু হয়। ঘটনার সঙ্গে জড়িত আসামিদের গ্রেফতার করে রিমান্ড চেয়ে আদালতে প্রেরণ করা হয়েছে।

সর্বশেষ খবর