বুধবার, ২১ জুন, ২০২৩ ০০:০০ টা
বন্যার অবনতি

ভেসে যাওয়া নারীর লাশ উদ্ধার, নিখোঁজ দুই সন্তান

প্রতিদিন ডেস্ক

সিলেটের গোয়াইনঘাট ও কোম্পানীগঞ্জ এবং কুড়িগ্রামে নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হওয়ার খবর পাওয়া গেছে।

সুনামগঞ্জে স্রোতে ভেসে যাওয়া নারীর লাশ উদ্ধার করেছে ফায়ার সার্ভিস। নিখোঁজ রয়েছে তার দুই শিশু সন্তান। লালমনিরহাটে তিস্তার পানি কমলেও দেখা দিয়েছে তীব্র ভাঙন। নিজস্ব প্রতিবেদক ও প্রতিনিধিদের পাঠানো খবরÑ
সুনামগগঞ্জ : জেলার শাল্লায় ঢলের পানির স্রোতে ভেসে যাওয়া নিখোঁজ মায়ের লাশ উদ্ধার হয়েছে। তবে এখনো তার দুই শিশু সন্তান জবা দাস (৭) ও বিজয় দাস (৫) নিখোঁজ রয়েছে। গতকাল সকাল ১০টায় দুর্লভ রানী দাসের (৩০) লাশ উদ্ধার করে ফায়ার সার্ভিসের ডুবুরি দল। দুর্লভ উপজেলার বিলপুর গ্রামের রথিন্দ দাসের স্ত্রী।
জানা গেছেম দুর্ঘটনাস্থলের অদূরে মাউতি বিল থেকে নিখোঁজ নারীর লাশ উদ্ধার করা হয়। সোমবার সন্ধ্যা ৭টায় শাল্লা উপজেলায় ডুবন্ত সড়ক পার হওয়ার সময় দুর্লভ রানী দাস পানির স্রোতে দুই সন্তানসহ ভেসে যান।
এদিকে সুনামগঞ্জে বৃষ্টি চলতে থাকায় নদনদী ও হাওরের পানি বৃদ্ধি অব্যাহত রয়েছে। গত ২৪ ঘণ্টায় সুরমা, যাদুকাটা, রক্তি, বৌলাই, চেলাসহ জেলার প্রধান প্রধান নদীর পানি বেড়েছে।
সিলেট : কুশিয়ারা নদীর সবকটি পয়েন্টে পানি বৃদ্ধি পেয়েছে। গোয়াইনঘাট উপজেলা পরিষদের সঙ্গে সাত ইউনিয়নের সড়ক যোগাযোগ এখনো বিচ্ছিন্ন রয়েছে। বিভিন্ন স্থানে সড়ক ও নির্মাণাধীন কালভার্টের সংযোগসড়ক তলিয়ে যাওয়ায় গোয়াইনঘাট উপজেলা পরিষদের সঙ্গে তোয়াকুল, নন্দিরগাঁও, রুস্তমপুর, পশ্চিম জাফলং, সদর, পূর্ব জাফলং ও মধ্য জাফলং ইউনিয়নের সড়ক যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন রয়েছে। জরুরি কাজে উপজেলা সদরে যেতে হলে ওইসব এলাকার লোকজনকে এখন যোগাযোগের মাধ্যম হিসেবে নৌকা ব্যবহার করতে হচ্ছে।
কোম্পানীগঞ্জ উপজেলার নিম্নাঞ্চলও প্লাবিত হওয়ার খবর পাওয়া গেছে। গ্রামীণ সড়ক পানিতে তলিয়ে গেছে। ইতোমধ্যে উপজেলার পূর্ব ও পশ্চিম ইসলামপুর, উত্তর ও দক্ষিণ রণিখাই, তেলিখাল এবং ইছাকলস ইউনিয়নের নিম্নাঞ্চলে পানি ওঠেছে।
কুড়িগ্রাম : টানা বর্ষণ ও উজানের ঢলে কুড়িগ্রামে সবগুলো নদনদীর পানি বৃদ্ধি পেয়ে নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হয়েছে। সবচেয়ে পানি বাড়ছে তিস্তা ও দুধকুমার নদীতে এবং নদীর চরসমূহে পানি উঠে চরে বসবাসকারীদের বাড়িতে পানি ঢুকে পড়েছে। এসব এলাকার মানুষজন বন্যার আশঙ্কায় প্রতি বছরের ন্যায় এবারেও কষ্টে পড়ার চিন্তায় রয়েছেন। জেলার সদর, নাগেশ্বরী, রাজারহাট ও চিলমারী উপজেলার নদনদী অববাহিকায় কয়েক শতাধিক পরিবারের বাড়িঘরে পানি প্রবেশ করেছে। এ ছাড়াও বন্যার পানি পটল, ঢেঁড়শ, ঝিঙে ও পাটখেতসহ বিভিন্ন ফসলের খেতে প্রবেশ করে অনেক জায়গায় নিমজ্জিত হয়েছে।
লালমনিরহাট : তিস্তার পানি কমতে শুরু করেছে। তিস্তার চরাঞ্চল ও তীরবর্তী নিম্নাঞ্চলের ঘরবাড়ি থেকেও পানি নেমে গেছে। তবে পানি কমার সঙ্গে সঙ্গে তিস্তার দুই তীরে দেখা দিয়েছে তীব্র ভাঙন। পাউবো বলছে, জেলার অন্তত ১৩টি পয়েন্টে তিস্তা ভাঙছে। গত ২৪ ঘণ্টায় ১২টি বসতবাড়ি নদীগর্ভে বিলীন হয়েছে।

সর্বশেষ খবর