বৃহস্পতিবার, ২২ জুন, ২০২৩ ০০:০০ টা

রোগ ও চিকিৎসকের সক্ষমতার ওপর নির্ভর করে

-ডা. এ বি এম আবদুল্লাহ

রোগ ও চিকিৎসকের সক্ষমতার ওপর নির্ভর করে

প্রধানমন্ত্রীর ব্যক্তিগত চিকিৎসক ইমেরিটাস অধ্যাপক ডা এ বি এম আবদুল্লাহ বলেছেন, রোগীর সমস্যা এবং চিকিৎসকের সক্ষমতা অনুযায়ী একজন রোগী দেখতে কত সময় লাগবে তা নির্ভর করে। তাই একজন চিকিৎসক দিনে কতজন রোগী দেখবেন তা নির্দিষ্ট করে বেঁধে দেওয়া সম্ভব না। এখানে রোগীর সন্তুষ্টি গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। রোগীকে সেবা দিয়ে সন্তুষ্ট করাই চিকিৎসকের নৈতিক দায়িত্ব। গতকাল তিনি বাংলাদেশ প্রতিদিনকে বলেন, মেডিসিন বিভাগে রোগী দেখতে কিছুটা সময় বেশি লাগে, গাইনিতে সময় বেশি লাগে। সার্জারি কিংবা ইএনটিতে তুলনামূলক কম সময় লাগে। কিন্তু রোগী যদি জটিল সমস্যায় ভোগেন তাহলে সেখানেও সময় বেশি লাগতে পারে। অনেক চিকিৎসক দ্রুত রোগীর সমস্যা বুঝতে পারেন এটা তার মেধা ও সক্ষমতা। আবার অনেকের কিছুটা বেশি সময় লাগে। রোগীর কথা মনোযোগ দিয়ে শোনা, সমস্যা শুনে চিকিৎসা ও ওষুধ বুঝিয়ে দেওয়া চিকিৎসকের দায়িত্ব। জটিল, দুরারোগ্য রোগের রোগী হলে তার স্বজনকে প্রয়োজনে কাউন্সেলিং করতে হবে। প্রয়োজনীয় সেবা দিতে যেটুকু সময় লাগে সেটা চিকিৎসককে দিতে হবে। এখানে অবহেলা চলবে না। এটা একজন চিকিৎসকের নৈতিকতা এবং পেশার প্রতি দায়বদ্ধতা। জ্যেষ্ঠ স্বনামধন্য এই মেডিসিন বিশেষজ্ঞ আরও বলেন, অনেক সময় চিকিৎসকরা রোগী পেতে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমসহ বিভিন্ন উপায়ে বিজ্ঞাপন দেন। এটা মোটেই উচিত নয়। ভালো সেবা দিলে তার প্রসার রোগীর মাধ্যমে এমনিতেই হবে। এজন্য বিজ্ঞাপন দেওয়া অনৈতিক। দেশে রোগী অনেক, সে অনুযায়ী বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকের সংকট রয়েছে। অনেক চিকিৎসকের চেম্বারে দূরদূরান্ত থেকে রোগী আসেন। চেম্বারের সামনে ভিড় করে থাকেন রোগী। অনেক রোগী নির্দিষ্ট চিকিৎসক ছাড়া চিকিৎসা করাতে আস্থা পান না। অনেক সময় অনুরোধের কারণে কিছু রোগী দেখতে হয় চিকিৎসকদের। দেশে রেফারেল সিস্টেম গড়ে না ওঠায় বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকের কাছে রোগীর ভিড় বেশি হয়। রোগীরা ব্যক্তি, ইনস্টিটিউট দেখে চিকিৎসা করান। বিদেশে গেলেও বাংলাদেশের রোগীরা পরিচিত চিকিৎসকদের চেম্বারে সিরিয়াল দেন, তাদের দেখান। তাই, শুধু একতরফা চিকিৎসকদের দোষ দিলে হবে না।

সর্বশেষ খবর