আনোয়ার খান মডার্ন মেডিকেল কলেজ অ্যান্ড হাসপাতালের অধ্যক্ষ অধ্যাপক ডা. মো. এখলাসুর রহমান বলেন, রোগী দেখার আন্তর্জাতিক গাইডলাইন অনুযায়ী কিছু নিয়ম আছে। রোগীর সমস্যা শোনা, শারীরিক কিছু বিষয় পরীক্ষা করে দেখা, পরামর্শ দেওয়া, প্রেসক্রিপশনসহ বেশ কিছু কাজ থাকে। রোগীর সন্তুষ্টি নিশ্চিত করতে গেলে দিনে ২০ জনের বেশি রোগী দেখা সম্ভব নয়। অনেক চিকিৎসক এসব নিয়ম মানেন না। দিনে কয়েক শ রোগী দেখলে সেবার মান ঠিক রাখা অসম্ভব। গতকাল তিনি বাংলাদেশ প্রতিদিনকে বলেন, চিকিৎসক কতজন রোগী দেখবেন এর নির্দিষ্ট কোনো নীতিমালা কিংবা নির্দেশনা নেই। রোগীর সন্তুষ্টি বজায় রেখে দিনে ১৫-২০ জন রোগী দেখা সম্ভব। দেশে প্রায় ১৮ হাজার ডাক্তার আছেন। এর মধ্যে ব্যস্ত ডাক্তারের সংখ্যা খুব কম। ১০০-২০০ রোগী দেখলে কোনোভাবেই সঠিকভাবে সেবা দেওয়া সম্ভব না। রোগীরাও অনেক সময় নির্দিষ্ট চিকিৎসককে দেখাতে ভিড় করেন, সিরিয়ালের জন্য অনুরোধ করেন। এই জ্যেষ্ঠ চিকিৎসক বলেন, স্কিনের কিছু চিকিৎসা যেমন হেয়ার ট্রান্সপ্লান্ট কিংবা চেহারায় বয়স্কভাব দূর করার কিছু চিকিৎসা আছে সেখানে সচরাচর ভিড় বেশি থাকে। বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকের চেম্বারেও অনেক সময় রোগীর ভিড় থাকে। দেশে কিছু বিষয়ে বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকের সংকট আছে। এ বিষয়ে নজর দিতে হবে বিএমডিসিকে। বিএমডিসির হাতে অনেক ক্ষমতা। তারা চাইলে যে কোনো চিকিৎসকের সনদ বাতিল করে দিতে পারে। কিন্তু তারা নীরব দর্শকের ভূমিকা পালন করে।