বৃহস্পতিবার, ২২ জুন, ২০২৩ ০০:০০ টা

প্রার্থী বেশি, মনোনয়ন নিয়ে টেনশন

আবদুর রহমান টুলু, বগুড়া

প্রার্থী বেশি, মনোনয়ন নিয়ে টেনশন

আসন্ন দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন ঘিরে বগুড়া-১ (সারিয়াকান্দি-সোনাতলা) আসনে সম্ভাব্য প্রার্থীদের ছড়াছড়ি। বগুড়া জেলার সারিয়াকান্দি ও সোনাতলা উপজেলা নিয়ে গঠিত এই আসনের মানুষ কৃষিকর্ম ও রাজনীতিপ্রিয়। যে কারণে এই আসনে আওয়ামী লীগ, বিএনপি, জাতীয় পার্টির প্রার্থী একাধিক। নির্বাচনের প্রার্থীরা বিভিন্ন দেয়ালে ও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে আসনভিত্তিক শুভেচ্ছা জানানো শুরু করেছেন। বগুড়ায় রাজনীতিপ্রিয় মানুষের মধ্যে কেউ বলছেন বিএনপি ভোটে আসবে। আবার কেউ বলছেন তত্ত্বাবধায়ক সরকার ছাড়া বিএনপি নির্বাচনে গিয়ে কোনো সুবিধা করতে পারবে না। লেভেল প্লেইং ফিল্ড ছাড়া মাঠে নামবে না বিএনপি। তবে দলীয় সিদ্ধান্ত যেমনই হোক, বিএনপির মধ্যেও অনেক নেতা জাতীয় সংসদ নির্বাচনে অংশগ্রহণ করতে মুখিয়ে আছেন। শুধু দলীয় সিদ্ধান্তের অপেক্ষায় আছেন স্থানীয় নেতারা। এরই ধারাবাহিকতায় বগুড়া-১ আসনেও চলছে নির্বাচনী আমেজ। এ আসনটি যমুনা, বাঙালিসহ কয়েকটি নদী দিয়ে ঘেরা।  সংসদ নির্বাচন যত কাছে আসছে ততটায় আলোচনা বাড়ছে। কে পাবেন মনোনয়ন আর কে পাবেন না। এ আসনে বর্তমান সংসদ সদস্য হিসেবে রয়েছেন আওয়ামী লীগ মনোনীত সাহাদারা মান্নান। এলাকায় আলোচনা আছে আগামী নির্বাচনে তিনি আবারও প্রার্থী হচ্ছেন। সাহাদারা মান্নানের স্বামী প্রয়াত সংসদ সদস্য আবদুল মান্নান ছিলেন কেন্দ্রীয় আওয়ামী লীগের সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক। তার মৃত্যুর পর উপ-নির্বাচনে আওয়ামী লীগ থেকে মনোনয়ন নিয়ে সাহাদারা মান্নান নির্বাচিত হন। তিনি সারিয়াকান্দি উপজেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সভাপতি। সংসদ সদস্য সাহাদারা মান্নান বাংলাদেশ প্রতিদিনকে বলেন, জনগণ যেভাবে এলাকার উন্নয়ন চাইছেন, সেভাবেই করা হচ্ছে। আগমীতে আরও দ্বিগুণ উন্নয়ন করা হাবে। শিক্ষা, চাকরিসহ নতুন প্রজন্মের জন্য নানা সুযোগ-সুবিধার ব্যবস্থা করা হয়েছে এবং এই ধারা চলমান থাকবে। এ ছাড়া আওয়ামী লীগ থেকে প্রার্থী হতে পারেন স্বেচ্ছাসেবক লীগের কেন্দ্রীয় সিনিয়র সহসভাপতি ম. আবদুর রাজ্জাক। তিনি এলাকায় সাধারণ মানুষের সঙ্গে শুভেচ্ছা বিনিময় করে যাচ্ছেন।জানতে চাইলে ম. আবদুর রাজ্জাক বাংলাদেশ প্রতিদিনকে বলেন, দলের জন্য কাজ করে যাচ্ছি। এলাকার মানুষের জন্য কাজ করছি। দল থেকে মনোনয়ন পেলে এই কাজগুলো আরও বেশি করে করা সম্ভব। আমি মনোনয়ন প্রত্যাশী।

এ ছাড়া ঢাকাস্থ বগুড়া সমিতির সভাপতি ও শস্যচিত্রে বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতি প্রকল্পের সদস্যসচিব কে এস এম মোস্তাফিজুর রহমান শ্যামল মাঠে নেমেছেন। গান গেয়ে নিজের পরিচয় তুলে ধরছেন পুলিশের এডিশনাল ডিআইজি হামিদুল আলম মিলনের স্ত্রী ও ব্যবসায়ী শাহজাদী আলম লিপি। তিনি মাঠেঘাটে গণসংযোগ করছেন। ভোটারের সঙ্গে কথা বলছেন ও বিভিন্ন শিক্ষা ও ধর্মীয় প্রতিষ্ঠানে নানাভাবে সহযোগিতা করছেন। তিনি ভোটারের অনুরোধে নানা ধরনের অনুষ্ঠানে গান পরিবেশন করে আলোচনায় রয়েছেন। মাঠে নেমেছেন প্রয়াত সংসদ সদস্য এম সিরাজুল ইসলাম সুরুজের পুত্র মুজাহিদুল ইসলাম বিপ্লব। তিনিও আওয়ামী লীগ থেকে প্রার্থী হতে চান। বিএনপি থেকে সাবেক সংসদ সদস্য ও কেন্দ্রীয় সদস্য কাজী রফিকুল ইসলাম, জিয়া শিশু কিশোর সংগঠনের কেন্দ্রীয় সাধারণ সম্পাদক মোশাররফ হোসেন চৌধুরী, সোনাতলা উপজেলা বিএনপির সভাপতি এ কে এম আহসানুল তৈয়ব জাকির নির্বাচনী প্রস্তুতি নিচ্ছেন। তারা প্রত্যেকে দলীয় মনোনয়ন পেতে চেষ্টা করছেন। বিএনপির কেন্দ্রীয় সদস্য এবং সাবেক সংসদ সদস্য কাজী রফিকুল ইসলাম বাংলাদেশ প্রতিদিনকে বলেন, বিএনপির সময় সারিয়াকান্দি সোনাতলার মানুষের কল্যাণে উন্নয়নমূলক কাজ করেছি। বিএনপি সরকার এই এলাকার মানুষের জন্য আলাদা করে বরাদ্দ প্রদান করত। কিন্তু বর্তমানে এই এলাকার কোনো উন্নয়ন চোখে পড়ে না। উন্নয়নবঞ্চিত মানুষের জন্য কাজ করতে আবারও মনোনয়ন নিয়ে কাজ করতে চাই। এ ছাড়া জাতীয় পার্টির কেন্দ্রীয় সদস্য ও সারিয়াকান্দি উপজেলা সভাপতি মো. মোকছেদুল আলম, জামায়াতে ইসলামী বগুড়া জেলা শাখার সাবেক আমির অধ্যক্ষ মো. শাহাবুদ্দীন, বাংলাদেশ কমিউনিস্ট পার্টির নেতা আমিনুল ইসলাম হিরু প্রার্থী নিজ নিজ দল থেকে হতে পারেন।

সর্বশেষ খবর