বৃহস্পতিবার, ২২ জুন, ২০২৩ ০০:০০ টা

কলা-মাল্টা খেয়ে প্রস্তুত ৩৮ মণের রাজাবাবু

চাঁপাইনবাবগঞ্জ প্রতিনিধি

কলা-মাল্টা খেয়ে  প্রস্তুত ৩৮ মণের রাজাবাবু

নাম রাজাবাবু হওয়ায় খাওয়া-দাওয়াও রাজাবাবুর মতো। আর নামের সঙ্গে মিশে রয়েছে আচার-ব্যবহার। হাঁটাচলা,  নম্র-ভদ্র ও লাজুক প্রকৃতির হওয়ায় কলা-মাল্টা খাইয়ে তাকে কোরবানির জন্য প্রস্তুত করা হয়েছে। বর্তমানে তার ওজন ৩৮ মণ। চাঁপাইনবাবগঞ্জের শিবগঞ্জ উপজেলার শাহাবাজপুর ইউনিয়নের হাজারবিঘি চাঁদপুর গ্রামের প্রান্তিক খামারি ও সাবেক ইউপি সদস্য জুলফিকার আলী হলস্টেইন ফ্রিজিয়ান জাতের এই ষাঁড়টি (রাজাবাবু) এক বছর ধরে লালন-পালন করে আসছেন। বছর ধরে প্রাকৃতিক উপায়ে খাবার ও ঘাস খাইয়ে পরম মমতায় বেড়ে তুলেছেন রাজাবাবুকে। জুলফিকার আলী বলেন, রাজাবাবুর খাবার মেনুতে রয়েছে প্রাকৃতিক খাবারের পাশাপাশি কলা, আপেল, কমলা, বেদানা ও মৌসুমী ফল আম। প্রতিদিন রাজাবাবুর পেছনে ব্যয় হয় প্রায় ১২০০ টাকা। লম্বা ও উচ্চতায় ফিতার মাপে রাজাবাবুর ওজন ধরা হয়েছে প্রায় ৩৮ মণ এবং কোরবানির ঈদকে সামনে রেখে তার দাম হাঁকা হচ্ছে ১৭ থেকে ১৮ লাখ টাকা। জুলফিকার আলী বলেন, কোনো প্রকার ওষুধ ছাড়াই প্রাকৃতিক উপায়ে লালন-পালন করা হচ্ছে তার ষাঁড়টি। যার নাম রাখা হয়েছে রাজাবাবু। এ বছর রাজাবাবুকে কোরবানির ঈদে বিক্রি করার চেষ্টা করছেন তিনি। জুলফিকার আলী বলেন, কোরবানির ঈদকে ঘিরে ইতোমধ্যেই দেশের বিভিন্ন স্থান থেকে পাইকাররা রাজাবাবুকে দেখতে আসছেন এবং একেকজন একেক দাম বলছেন। তবে কাক্সিক্ষত দাম এখনো কেউ বলেননি। তবে স্থানীয়ভাবে দাম না পেলে চট্টগ্রামের বাজারে পাঠানো হবে ষাঁড়টি। জেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ডা. মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, রাজাবাবু জেলার মধ্যে সবচেয়ে বড় ষাঁড়। তাই ষাঁড়টিকে বিক্রির জন্য সর্বাত্মক চেষ্টা করা হবে প্রাণিসম্পদ দফতরের পক্ষ থেকে। তিনি বলেন, খামারি জুলফিকার আলীকে তার দফতরের পক্ষে সর্বাত্মক সহযোগিতা করা হয়ে থাকে।

সর্বশেষ খবর