শুক্রবার, ২৩ জুন, ২০২৩ ০০:০০ টা
ড. ইউনূসের গ্রামীণ কল্যাণ

শ্রমিকদের আবেদনের ওপর শুনানি ১০ জুলাই

নিজস্ব প্রতিবেদক

ড. মুহাম্মদ ইউনূসের মালিকানাধীন গ্রামীণ কল্যাণ থেকে চাকরিচ্যুত ১০৬ শ্রমিককে শ্রম আইন অনুযায়ী কোম্পানির লভ্যাংশ দিতে শ্রম অ্যাপিলেট ট্রাইব্যুনালের দেওয়া রায়ের ওপর হাই কোর্টের আদেশ স্থগিত করেছেন আপিল বিভাগের চেম্বার আদালত। পাশাপাশি হাই কোর্টের আদেশের বিরুদ্ধে শ্রমিকদের করা আবেদন আসছে ১০ জুলাই আপিল বিভাগের নিয়মিত বেঞ্চে শুনানির জন্য দিন ধার্য করা হয়েছে। গতকাল আপিল বিভাগের চেম্বার আদালতের বিচারপতি আবু জাফর সিদ্দিকী এ আদেশ দেন। এর ফলে শ্রম আইন অনুযায়ী ১০৬ শ্রমিককে কোম্পানির লভ্যাংশ দিতে শ্রম অ্যাপিলেট ট্রাইব্যুনালের দেওয়া রায় বহাল হয়েছে বলে জানিয়েছেন সংশ্লিষ্ট আইনজীবীরা। আদালতে শ্রমিকদের পক্ষে শুনানি করেন জ্যেষ্ঠ আইনজীবী মোহাম্মদ খুরশীদ আলম খান। সঙ্গে ছিলেন আইনজীবী গোলাম রব্বানী শরীফ। গত ৩ এপ্রিল ড. মুহাম্মদ ইউনূসের মালিকানাধীন গ্রামীণ কল্যাণ থেকে চাকরিচ্যুত ১০৬ শ্রমিককে শ্রম আইন অনুযায়ী কোম্পানির লভ্যাংশ পরিশোধ করতে রায় দেন শ্রম অ্যাপিলেট ট্রাইব্যুনাল। পরে ওই রায় চ্যালেঞ্জ করে হাই কোর্টে রিট করেন ড. ইউনূস। এরপর ৩০ মে হাই কোর্ট এক আদেশে শ্রম আপিলেট ট্রাইব্যুনালের রায়ের ওপর স্থিতাবস্থা জারি করেন। পাশাপাশি রুলও জারি করা হয়। এ পর্যায়ে হাই কোর্টের রায় স্থগিতের জন্য আপিল বিভাগে আবেদন করেন শ্রমিকরা। মামলার বিবরণে জানা যায়, ১০৬ কর্মকর্তা ও কর্মচারী ২০০৬ থেকে ২০১৩ সাল পর্যন্ত গ্রামীণ কল্যাণে কর্মরত ছিলেন। ২০০৬-২০১৩ অর্থবছরে কোম্পানির লভ্যাংশ থেকে তাদের বঞ্চিত করা হয়। শ্রম আইনে বলা আছে, শ্রম আইন কার্যকর হওয়ার দিন থেকে কোম্পানির লভ্যাংশের ৫ শতাংশ শ্রমিকদের কল্যাণ ও অংশগ্রহণ তহবিল দিতে হবে। এ লভ্যাংশ না পাওয়ার কারণে প্রথমে তারা গ্রামীণ কল্যাণকে লিগ্যাল নোটিস পাঠান। কিন্তু লিগ্যাল নোটিস দেওয়ার পরও ব্যবস্থা গ্রহণ না করায় তারা মামলা করেন।

সর্বশেষ খবর