আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, কাউকে বাদ দিয়ে নির্বাচন করার ইচ্ছা সরকারের নেই। আমরা অংশগ্রহণমূলক ও প্রতিদ্বন্দ্বিতামূলক নির্বাচন চাই।

গতকাল পদ্মা সেতু উদ্বোধনের বর্ষপূর্তি উপলক্ষে রাজধানীর সেতু ভবনে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে তিনি এসব কথা বলেন।

ওবায়দুল কাদের বলেন, সংবিধানে কোথাও লেখা নেই এটা হলে একতরফা হবে, ওটা হলে অংশগ্রহণমূলক হবে। ইলেকশন ইলেকশনই। নিয়মটা সংবিধানে আছে। নিয়ম অনুযায়ী ইলেকশন হবে। দেশের বর্তমান অর্থনৈতিক সংকটকে সাময়িক বিপদ উল্লেখ করে তিনি বলেন, পদ্মা সেতু নির্মাণের পরপরই সবচেয়ে কঠিন চ্যালেঞ্জ ছিল বিশ্ব সংকটে নিজেদের টিকিয়ে রাখা। আগামী ৪ থেকে সাড়ে ৪ মাসের মধ্যে দেশের অর্থনীতি ঘুরে দাঁড়াবে ইনশা আল্লাহ। আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক বলেন, বিএনপির দাবি আসছে নির্বাচনে আওয়ামী লীগের নাকি ১০টি আসনও জুটবে না। নেতিবাচক রাজনীতির জন্য বিএনপির জনসমর্থন ১০ শতাংশে নেমে এসেছে কি না, তা ভেবে দেখা উচিত।

তিনি বলেন, গত ১৪ বছরে বিএনপির আন্দোলনকে ম্লান করে দিয়েছে এক পদ্মা সেতু। বাংলাদেশের সক্ষমতার প্রতীক এই সেতু সম্প্রসারিত করেছে দেশের অর্থনৈতিক সম্ভাবনার দিগন্ত। নিজস্ব অর্থায়নে পদ্মা সেতু নির্মাণ করে শেখ হাসিনা দেখিয়ে দিয়েছেন আমরাও পারি। সেতুমন্ত্রী বলেন, ৩৫ বছর বাংলাদেশ সরকারের কাছে পদ্মা সেতু নির্মাণ ব্যয় পরিশোধ করতে হবে। ইতোমধ্যে চার কিস্তিতে প্রায় ৬৩২ কোটি ৯৪ লাখ টাকা সরকারি কোষাগারে জমা দেওয়া হয়েছে।