সোমবার, ২৬ জুন, ২০২৩ ০০:০০ টা

চামড়ায় কারসাজি করে দাম কমালেই রপ্তানির অনুমতি

বর্গফুটে দাম বাড়ল ৩ টাকা

নিজস্ব প্রতিবেদক

আসন্ন কোরবানির ঈদে পশুর চামড়ার দাম প্রতি বর্গফুটে ৩  টাকা বাড়িয়ে নির্ধারণ করা হয়েছে। এর ফলে ঢাকায় প্রতি বর্গফুট লবণযুক্ত গরুর চামড়া ন্যূনতম ৫০ থেকে ৫৫ টাকা এবং ঢাকার বাইরে ৪৫ থেকে ৪৮ টাকা দরে কিনতে হবে।

গত ঈদে লবণযুক্ত গরুর চামড়ার দাম ছিল ৪৭ থেকে ৫২ টাকা। লবণযুক্ত বকরি ও খাসির চামড়ার ক্ষেত্রে গত বছরের নির্ধারিত দাম বহাল রাখা হয়েছে। অর্থাৎ প্রতি বর্গফুট খাসির চামড়া ১৮ থেকে ২০ টাকা এবং বকরির চামড়া ১২ থেকে ১৪ টাকা দরে কিনতে হবে। গতকাল বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের সম্মেলন কক্ষে কাঁচা চামড়ার মূল্য নির্ধারণ ও সুষ্ঠু ব্যবস্থাপনাসহ সংশ্লিষ্ট বিষয়ে পর্যালোচনার সভা শেষে এ দাম ঘোষণা করেন বাণিজ্যমন্ত্রী। এ সময় মন্ত্রী ট্যানারি মালিক, মধ্যস্বত্বভোগীসহ চামড়া ব্যবসায়ীদের হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেন, কারসাজি করে কেউ চামড়ার দাম কমালে কাঁচা (ওয়েট ব্লু) চামড়া রপ্তানির অনুমতি দেবে সরকার। চামড়ার দাম কমাতে ট্যানারি ব্যবসায়ীরা অনেক ক্ষেত্রে নিজেরাই সমস্যা তৈরি করে বাজারে অস্থিরতা তৈরি করে। তাদের বিষয়ে কোনো ব্যবস্থা নেওয়া হবে কি না- সাংবাদিকরা জানতে চাইলে মন্ত্রী বলেন, ট্যানারি ব্যবসায়ীরা যদি ইচ্ছা করে দাম কমানোর জন্য কারসাজি করে তাহলে আমরা কাঁচা চামড়া বিদেশে রপ্তানির অনুমতি দেব। বাংলাদেশ ট্যানার্স অ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক সাখাওয়াতউল্লাহ সভা শেষে সাংবাদিকদের জানান, আসন্ন ঈদুল আজহায় প্রায় ১ কোটি পিস কোরবানির পশুর চামড়া সংগ্রহের লক্ষ্য নিয়েছেন তারা। চামড়া প্রক্রিয়াজাত করতে সাভারের শিল্প নগরীতে প্রয়োজনীয় লবণ, কেমিক্যাল এবং অতিরিক্ত শ্রমিকের ব্যবস্থা রেখেছেন। তবে শিল্পনগরীতে বর্জ্য ব্যবস্থাপনা নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করে তিনি বলেন, কেন্ত্রীয় বর্জ্যশোধনাগার (সিইটিপি) পুরোপুরি কার্যকর না হওয়ায় তারা লেদার ওয়ার্কিং গ্রুপের (এলডাব্লিউজি) সনদ পাচ্ছেন না। ফলে ইউরোপসহ উন্নত দেশগুলোতে প্রক্রিয়াজাত ফিনিশড চামড়া রপ্তানির সুযোগ পাচ্ছেন না। সনদ পেলে কাঁচা চামড়ার দাম আরও বাড়ত বলে জানান তিনি। সভায় বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব তপন কান্তি ঘোষসহ বিভিন্ন মন্ত্রণালয় ও সংস্থার প্রতিনিধি ও চামড়া সংক্রান্ত বাণিজ্য সংগঠনগুলোর নেতারা অংশ নেন। সভায় জানানো হয়, চামড়ার ন্যায্যমূল্য ও সুষ্ঠু ব্যবস্থাপনা নিশ্চিত করতে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের সচিবের নেতৃত্বে মনিটরিং টিম গঠন করা হয়েছে। এ ছাড়া বাণিজ্য মন্ত্রণালয়, স্থানীয় সরকার বিভাগ, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়সহ সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়, বিভাগ, দফতর ও সংস্থা থেকে সম্মিলিতভাবে মনিটরিংয়ের ব্যবস্থা রাখা হয়েছে। স্থানীয় পর্যায়ে মনিটরিং করতে জেলা প্রশাসক, বিভাগীয় কমিশনার, পুলিশসহ সংশ্লিষ্টদের সমন্বয়েও মনিটরিং কমিটি করা আছে।

সর্বশেষ খবর