মঙ্গলবার, ২৭ জুন, ২০২৩ ০০:০০ টা

সব দলেই একাধিক মনোনয়নপ্রত্যাশী

নজরুল মৃধা, রংপুর

সব দলেই একাধিক মনোনয়নপ্রত্যাশী

রংপুর-১ (গঙ্গাচড়া) আসনে আওয়ামী লীগ ও বিএনপির একাধিক প্রার্থী ভোটের মাঠে লড়তে প্রস্তুতি নিয়েছেন। এদের অনেকেই প্রচারণা চালাচ্ছেন।

এ আসনের সংসদ সদস্য জাতীয় পার্টির সাবেক মহাসচিব বর্তমানে দল থেকে অব্যাহতি প্রাপ্ত মসিউর রহমান রাঙ্গা। তিনি দুবার এখান থেকে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হয়েছেন। বর্তমানে তিনি জাতীয় সংসদের বিরোধীদলীয় চিফ হুইপ। তাই তাকে নিয়ে গঙ্গাচড়ায় নানা জল্পনা-কল্পনা চলছে। অনেকেই মনে করছেন, জাতীয় পার্টি থেকে রাঙ্গার দলীয় মনোনয়ন পাওয়ার সম্ভাবনা কম। নির্বাচন করতে হলে তাকে স্বতন্ত্রভাবে করতে হবে। লাঙ্গলের ঘাঁটিতে স্বতন্ত্র নির্বাচন করে কতটুকু লাভবান হবেন তা নিয়ে সাধারণ ভোটারদের মাঝে আছে নানা আলোচনা। তবে রাঙ্গা বলেছেন, ‘আমি এলাকায় ব্যাপক উন্নয়ন করেছি। আশাকরি জনগণ আমাকে বিমুখ করবে না।’

গঙ্গাচড়া আসনের সাবেক সংসদ সদস্য জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান জি এম কাদেরের ভাতিজা আসিফ শাহরিয়ারও রয়েছেন আলোচনায়। তিনি আশা করেন, দল এবার তাকে মনোনয়ন দেবে। এর আগে এই আসনের সংসদ সদস্য ছিলেন আসিফ। এখন তিনি দলের সিদ্ধান্তের অপেক্ষায় রয়েছেন। এই আসনে জাতীয় পার্টির জেলা সদস্যসচিব হাজি আবদুর রাজ্জাক নির্বাচন করতে আগ্রহ প্রকাশ করেছেন। তিনি প্রচারণায়ও রয়েছেন। জাতীয় পার্টির দ্বন্দ্ব নিরসন না হলে এখানে দলটি রাঙ্গার পরিবর্তে অন্য প্রার্থী দেবে মনে করছে জনগণ। তাই এই আসনে আওয়ামী লীগের একাধিক প্রার্থী নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করার জন্য মুখিয়ে রয়েছেন। এখানে রংপুর জেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক রেজাউল করিম রাজুসহ একাধিক নেতার নাম শোনা যাচ্ছে। তবে বিএনপির উপজেলা সভাপতি ওয়াহিদুজ্জামান মাবু, জেলার সাবেক যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মোকারম হোসেন সুজন, সাবেক যুবদল সভাপতি মিজানুর রহমান লুলু মাঠে কাজ করে যাচ্ছেন। স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে মাঠে রয়েছেন শিল্পপতি সাহেদুল ইসলাম।

জানতে চাইলে মসিউর রহমান রাঙ্গা বাংলাদেশ প্রতিদিনকে বলেন, গুটি কয়েক মানুষের স্বার্থের জন্য আমাকে দল থেকে বিচ্ছিন্ন করা হয়েছে। আমি জাতীয় পার্টির প্রতিষ্ঠাতা এইচ এম এরশাদের রাজনীতি করি। যতদিন বাঁচব এরশাদের রাজনীতি করে যাব। লাঙ্গল প্রতীক না পেলে অন্য কোনো দলের হয়ে নির্বাচনে অংশ গ্রহণ করবেন কিনা জানতে চাইলে তিনি বলেন, আমি অন্য কোনো দলের হয়ে নির্বাচন করব না। জাতীয় পার্টিতে থাকব। সময় সব কিছু বলে দেবে।

জেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক রেজাউল করিম রাজু বাংলাদেশ প্রতিদিনকে বলেন, ‘উন্নয়নের ধারাবাহিকতা বজায় রাখতে নৌকা মার্কার বিকল্প নেই। আমি দীর্ঘদিন থেকে গঙ্গাচড়ায় সরকারের উন্নয়ন কর্মকাণ্ড প্রচার করে নৌকা মার্কায় ভোট চেয়ে আসছি। আশা করি, দল মনোনয়ন দেবে।’

বিএনপির উপজেলা সভাপতি ওয়াহিদুজ্জামান মাবু বলেন, দল যদি নির্বাচনে অংশ নেয় তাহলে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করব এবং বিপুল ভোটে বিজয়ী হব।

 

সর্বশেষ খবর