বুধবার, ২৮ জুন, ২০২৩ ০০:০০ টা

ঈদের দিন থাকতে পারে বৃষ্টি

নিজস্ব প্রতিবেদক

ঢাকাসহ দেশের প্রায় সব জায়গায় গত কয়েকদিন ধরেই কম-বেশি বৃষ্টি ঝরছে। আষাঢ়ের মাঝখানে এবার কোরবানির ঈদ পড়ায় সবারই কৌতূহল সেদিনও কি এমন বৃষ্টি হবে? আবহাওয়া অধিদফতর বলেছে, ঈদের দিন বৃহস্পতিবার সারা দেশেই কম-বেশি বৃষ্টি থাকবে। তবে দেশের মধ্যাঞ্চল, অর্থাৎ ঢাকা ও তার আশপাশের অঞ্চল- যেমন ফরিদপুর, পাবনা, কুমিল্লা এসব এলাকায় বৃষ্টির পরিমাণটা বেশি হবে। উত্তরাঞ্চল এবং দক্ষিণাঞ্চলে তুলনামূলক বৃষ্টি কম থাকবে। ঈদের দিনসহ আগামী তিন দিনের আবহাওয়া পরিস্থিতি নিয়ে গণমাধ্যমের সঙ্গে বিস্তারিত আলাপ করেছেন আবহাওয়াবিদরা। তারা বলেছেন, বৃষ্টিভেজা ঈদে গরম থেকে স্বস্তি পাবেন দেশবাসী। ঈদের দিনের আবহাওয়া পরিস্থিতি নিয়ে আবহাওয়াবিদ এ কে এম নাজমুল হক বলেন, ঢাকার ঈদ বৃষ্টিতেই কাটবে। রাজশাহী বিভাগে বৃষ্টি কম হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে, বাকি বিভাগগুলোতে বৃষ্টিপাতের প্রবণতা বাড়বে। যেমন বুধবার পর্যন্ত খুলনা, বরিশাল ও চট্টগ্রাম বিভাগে বৃষ্টিপাত বেশি থাকবে বলেই আমাদের সিস্টেমে দেখা যাচ্ছে। এ আবহাওয়াবিদ বলেন, ‘ঈদের দিন অর্থাৎ ২৯ জুন উপকূলীয় অঞ্চলে বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনা একটু কমলেও দেশের উত্তরের দিকে বৃষ্টিপাতের প্রবণতা বেশি থাকবে। ঈদের দিন রংপুর, ময়মনসিংহ, সিলেট ও ঢাকা বিভাগে বৃষ্টি বেশি থাকার সম্ভাবনা রয়েছে। তবে দেশের দক্ষিণাঞ্চলে এখন বৃষ্টি থাকলেও ঈদের দিন তা কিছুটা কম হতে পারে। মানে ঈদের দিন দেশের দক্ষিণাঞ্চলের বৃষ্টিপাত কমে উত্তরের দিকে বাড়বে।’ তিনি বলেন, ‘সিস্টেম পর্যালোচনা করে দেখা গেছে; কিছু কিছু জায়গায় ভারী বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনা রয়েছে। বিশেষ করে খুলনা, বরিশাল, চট্টগ্রাম ও সিলেট বিভাগের কোথাও কোথাও মাঝারি ধরনের ভারী থেকে অতি ভারী বর্ষণ হতে পারে। এ ছাড়া অন্যান্য বিভাগে হালকা থেকে মাঝারি ধরনের এবং কোথাও কোথাও মাঝারি ধরনের ভারী বৃষ্টি হতে পারে। আর আষাঢ়ের বৃষ্টি প্রায় সারা দিনই থেমে থেমে হতে পারে।’ তিনি আরও বলেন, ‘বর্তমানে সারা দেশে মৌসুমি বায়ু সক্রিয় অবস্থায় রয়েছে। সাগরে একটা লো-প্রেসার এলাকা ছিল। তবে লো- প্রেসার এলাকা বর্তমানে উপকূলে উঠে ভারতের ছত্তিশগড় এলাকায় অবস্থান করছে। আমরা দেশের চার সমুদ্রবন্দরকে ৩ নম্বর স্থানীয় সতর্ক সংকেত দেখিয়ে যেতে বলেছি।’

জুলাই মাসে কেমন থাকবে আবহাওয়া : জুলাই মাসে বঙ্গোপসাগরে ১ থেকে ২টি মৌসুমি নিম্নচাপ সৃষ্টি হতে পারে। ওই মাসে সর্বোচ্চ বৃষ্টিপাতের ধারণা করা হচ্ছে চট্টগ্রাম বিভাগে, ৬৫০ মিলিমিটার থেকে ৭৯০ মিলিমিটার। এরপর সিলেট বিভাগে ৫২০ মিলিমিটার থেকে ৬৩৫ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত হতে পারে। বরিশাল বিভাগে ৪৬৫ মিলিমিটার থেকে ৫৭০ মিলিমিটার, ময়মনসিংহ বিভাগে ৩৮৫ মিলিমিটার থেকে ৪৭০ মিলিমিটার, রংপুর বিভাগে ৩৮৫ মিলিমিটার থেকে ৪৭০ মিলিমিটার, ঢাকায় ৩৩০ মিলিমিটার থেকে ৪০৫ মিলিমিটার, রাজশাহীতে ৩২৫ মিলিমিটার থেকে ৪০০ মিলিমিটার এবং খুলনা বিভাগে ৩০৫ মিলিমিটার থেকে ৩৭৫ মিলিমিটার বৃষ্টিপাতের পূর্বাভাসের কথা জানিয়েছে সংস্থাটি।

সর্বশেষ খবর