রবিবার, ২ জুলাই, ২০২৩ ০০:০০ টা

ইউরোপীয় পার্লামেন্টের ছয় সদস্যের চিঠির প্রতিবাদ ৩২১ প্রবাসী বাংলাদেশির

কূটনৈতিক প্রতিবেদক

বাংলাদেশে অবাধ, স্বচ্ছ এবং পক্ষপাতহীন সাধারণ নির্বাচন অনুষ্ঠানে ভূমিকা রাখতে ইউরোপীয় ইউনিয়নের পররাষ্ট্রনীতি-বিষয়ক প্রধান জোসেপ বোরেলকে ইউরোপীয় পার্লামেন্টের ছয় সদস্যের চিঠির প্রতিবাদ করেছেন ইউরোপপ্রবাসী ৩২১ বাংলাদেশি। ‘বাংলাদেশ সিভিল সোসাইটি ইন ইউরোপ’ নামের একটি সংগঠনের নামে চিঠি লিখে প্রতিবাদ করেছেন ইউরোপপ্রবাসী এই বাংলাদেশিরা। ‘বাংলাদেশ সিভিল সোসাইটি ইন ইউরোপ’ নামের সংগঠনটিতে বাংলাদেশি বিজ্ঞানী, শিক্ষক, গবেষক, সাংবাদিক, ব্যবসায়ী, চাকরিজীবীসহ নানা পেশার প্রতিনিধিরা আছেন।

ইইউ পার্লামেন্টের ছয় এমপির চিঠি মিথ্যা তথ্যের ভিত্তিতে লেখা ও বহির্বিশ্বে বাংলাদেশের ভাবমূর্তি নষ্ট করার অপচেষ্টামাত্র উল্লেখ করে চিঠিতে প্রবাসীরা লিখেছেন, চিঠিদাতা ইউরোপীয় পার্লামেন্টের এই ছয় সদস্যের বাংলাদেশের রাজনীতি ও সমসাময়িক পরিস্থিতি নিয়ে কোনো পূর্বাভিজ্ঞতা নেই বলে চিঠিতে উল্লেখ করেছেন ৩২১ বাংলাদেশি। ইউরোপীয় পার্লামেন্টের দক্ষিণ এশিয়ার দেশগুলোর সঙ্গে সম্পর্কের জন্য যে প্রতিনিধি দল রয়েছে, সেসব কমিটির সদস্য না হয়েও তারা বাংলাদেশের ভাবমূর্তি খর্ব করতেই উদ্দেশ্যমূলকভাবে চিঠিটি লিখেছেন।

চিঠিতে তারা লিখেছেন, ১৯৯১-৯৬ ও ২০০১-০৬ সালে প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়ার অধীন বিএনপি-জামায়াত ক্ষমতায় থাকাকালে তারা বিরোধী দলের নেতা-কর্মী, সাংবাদিক, সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের নেতাদের নির্যাতন, অপহরণ ও হত্যার ধারা অব্যাহত রেখেছিল। চিঠিদাতা বাংলাদেশিরা আরও বলেন, ‘২০১৪ সালে দশম জাতীয় সংসদ নির্বাচনের সময় বিএনপি-জামায়াত জোট নির্বাচন প্রতিহত করতে বাংলাদেশে সন্ত্রাসের রাজত্ব কায়েম করে। সে সময় তারা শতাধিক গাড়ি ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগ করে। তাদের পেট্রল বোমা, হাতে তৈরি বোমা ও অন্যান্য ধরনের সহিংসতায় আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর ২০ সদস্যসহ প্রায় ২০০ ব্যক্তি নিহত হয়। ২০১৮ সালের একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বিএনপি-জামায়াত নেতৃত্বাধীন জোট নির্বাচনে অংশ নেয় এবং কয়েকটি আসনে জয়লাভ করে। অন্য সব রাজনৈতিক দল নির্বাচনে অংশ নিয়েছে। মধ্যরাতের নির্বাচনের অভিযোগটি ছিল গুজব ও মিথ্যা তথ্যের কাজ, যা কখনো প্রমাণিত হয়নি। এ ছাড়া বিএনপি-জামায়াতের শাসনামলে, বিশেষ করে ২০০১ থকে ২০০৬ সময়কালের কিছু ঘটনা তুলে ধরা হয়েছে চিঠিতে। বিএনপির লাগামহীন দুর্নীতি ও অর্থ পাচারের কারণে ২০০১ থেকে ২০০৬ সাল পর্যন্ত বাংলাদেশ পরপর পাঁচবার দুর্নীতিতে বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন হয় বলেও চিঠিতে উল্লেখ করে ইউরোপের এই বাংলাদেশিরা।

১২ জুন ইউরোপীয় পার্লামেন্টের ছয় এমপি স্লোভাকিয়ার স্টেফানেক ইভান, চেক প্রজাতন্ত্রের মাইকেলা সোজড্রোভা, বুলগেরিয়ার আন্দ্রে কোভাতচেভ, ডেনমার্কের কারেন মোলচিওর, স্পেনের জেভিয়ের নার্ট ও ফিনল্যান্ডের হেইডি হাউটালা ওই চিঠি দিয়েছিলেন জোসেপ বোরেলকে।

সর্বশেষ খবর