শিরোনাম
সোমবার, ৩ জুলাই, ২০২৩ ০০:০০ টা

নির্বিঘ্নে ঢাকায় ফিরছে মানুষ

নিজস্ব প্রতিবেদক

নির্বিঘ্নে ঢাকায় ফিরছে মানুষ

বৃষ্টি ছাড়া এই ঈদে কোনো ভোগান্তি ছিল না ঢাকা ফেরা মানুষের। বিভিন্ন পরিবহনে বাড়তি ভাড়া নেওয়ার অভিযোগও তেমন মেলেনি। ভোগান্তি পোহাতে হয়নি টিকিট পেতে। মহাসড়কেও ছিল না যানজট। ট্রেনে যারা ফিরেছেন তারাও ছিলেন স্বস্তিতে। চাপ নেই লঞ্চ টার্মিনালেও। সবমিলিয়ে ঈদ শেষে মানুষ নির্বিঘ্নে ঢাকায় ফিরছে। তবে এরমধ্যেও ঢাকা থেকে অনেকেই ছুটি কাটাতে দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে যাচ্ছেন। গতকাল কমলাপুর রেল স্টেশন, গাবতলী বাস টার্মিনাল ও সদরঘাট লঞ্চ টার্মিনালে গিয়ে এমন চিত্র দেখা গেছে। রাজধানীতে ফেরা অনেকের সঙ্গে কথা হয় এ প্রতিবেদকের। অধিকাংশই জানান, কোনোরকম যানজট ও ভোগান্তি ছাড়াই ঢাকায় ফিরে খুব আনন্দিত তারা। তবে সবাই যে ছুটি বা আনন্দ করতে গিয়েছিলেন এমন নয়। অনেকেই জরুরি প্রয়োজনেও ঈদের ছুটিতে বাড়ি গিয়েছিলেন।

বরিশাল থেকে আসা ব্যাংক কর্মকর্তা তোফায়েল আহমেদ বলেছেন, আজ থেকে ব্যাংক খোলা। তাই ভোরেই ঢাকায় ফিরতে হয়েছে। ছেলে-মেয়েদের স্কুল বন্ধ থাকায় পরিবারের কেউ আসেনি। তারা আগামী সপ্তাহে আসবে।

শরীয়তপুর থেকে আসা ফয়সাল বলেছেন, পরিবার নিয়ে ঈদ করতে শরীয়তপুর শ্বশুরবাড়িতে গিয়েছিলাম। ঈদের ছুটির সঙ্গে এক দিন বাড়তি ছুটি নিয়েছিলাম। কাল (সোমবার) থেকে অফিস করব। তবে, ভোগান্তি এড়াতে এক দিন আগেই চলে এসেছি। পরিবহন সংশ্লিষ্টরা বলছেন, গত কয়েকদিন শুধু ঢাকা ছাড়ার যাত্রীর চাপ ছিল। ফেরার পথে গাড়িগুলো একরকম খালি আসত। এখন যাওয়া ও আসায় বেশ ভালো যাত্রী আছে।

ট্রেনেও ফিরছে মানুষ : ঠিক সময়ে অফিসে উপস্থিত হতে গতকাল থেকেই কমলাপুর রেলস্টেশনে চাপ ছিল ঢাকায় ফেরা যাত্রীদের। ফিরতি ট্রেনে গ্রামের বাড়িতে ফেরা যাত্রীদেরও ভিড় রয়েছে। কমলাপুর রেলস্টেশনের তথ্য বলছে, যাত্রী পরিবহনে প্রতিদিন ৭২ জোড়া আন্তনগর, মেইল, কমিউটার ও ঈদ উপলক্ষে গুরুত্বপূর্ণ গন্তব্যে স্পেশাল ট্রেনও চলছে। ট্রেনের শিডিউলে কোনো বিপর্যয় না থাকায় যাত্রীরা নিরাপদ ও স্বাচ্ছন্দ্যে ঢাকায় ফিরতে পারছেন। সরেজমিন দেখা যায়, রংপুর এক্সপ্রেস, দেওয়ানগঞ্জ ঈদ স্পেশাল, তিতাস কমিউটার, একতা এক্সপ্রেস, জামালপুর এক্সপ্রেস, কিশোরগঞ্জ এক্সপ্রেস যাত্রী নেওয়ার জন্য পৃথক প্ল্যাটফরমে দাঁড়িয়ে ছিল। প্ল্যাটফরমের ভিতরে সারিবদ্ধ হয়ে ঢুকছেন যাত্রীরা। এর আগে প্ল্যাটফরমে ঢুকতে প্রত্যেকের টিকিট চেক করছেন রেলের কর্মীরা। ঢাকায় ফেরা যাত্রীদের মধ্যে উল্লেখযোগ্যসংখ্যকই পোশাককর্মী। টানা চার দিন বন্ধের পর পোশাক কারখানাগুলো খুলবে সোমবার থেকে।

কমলাপুর রেলস্টেশনের মাস্টার আফসার উদ্দিন বলেন, প্রতিটি ট্রেন সঠিক সময়ে ছাড়ছে এবং ফিরে আসছে। রবিবার ঢাকামুখী ও ঘরমুখী মানুষের চাপ প্রায় সমান বলা চলে।

চাপ নেই লঞ্চ টার্মিনালে- এখনো ঢাকা ফেরত যাত্রীদের চাপ নেই সদরঘাট লঞ্চ টার্মিনালে। স্বাভাবিক সময়ের মতোই রয়েছে ঢাকামুখী যাত্রীর সংখ্যা। ঢাকা-চাঁদপুরগামী ইমাম হাসান-২ লঞ্চের স্টাফ হুমায়ুনের সঙ্গে কথা হয় এ প্রতিবেদকের। তিনি বলেন, ঢাকায় ফেরা যাত্রী এখনো তেমন হয়নি। গতকাল সকালে ২৫০ জন যাত্রী নিয়ে চাঁদপুর থেকে রওনা হয় লঞ্চটি। যা সাধারণ সময়ের মতো জানান তিনি। তবে কাল (আজ সোমবার) বেশি যাত্রী পাবেন বলে আশা করেন তিনি।

 

 

 

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর