সোমবার, ৩ জুলাই, ২০২৩ ০০:০০ টা
বিদেশি জাতে সাফল্য

লবণাক্ত জমিতে বাহারি আম

কলাপাড়া (পটুয়াখালী) প্রতিনিধি

লবণাক্ত জমিতে বাহারি আম

গাছের ডালে ডালে ঝুলছে বিভিন্ন প্রজাতির রং-বেরঙের আম। আর গন্ধে মন্ডম করছে বাগান। আমের ভারে নুয়ে পড়ছে গাছের ডালপালা। লবণাক্ত জমিতে বিদেশি জাতের আম চাষ করে তাক লাগিয়ে দিয়েছেন কলাপাড়া উপজেলার লতাচাপলী ইউনিয়নের মুসুল্লীয়াবাদ গ্রামের জাহাঙ্গীর মুসুল্লী। তিনি পেশায় একজন পুস্তক ব্যবসায়ী। তার প্রায় ৬ একর জমিতে ১৫-১৬ প্রজাতির আম গাছ রয়েছে। শখের বাগান এখন স্বপ্ন দেখাতে শুরু করেছে। তার সফলতা দেখে অনেকেই আম বাগান করার পরিকল্পনা করছেন। বাগান মালিক জানান, বিগত বছরগুলোর তুলনায় এ বছর ফলনও বেশি হয়েছে। ৫০০ গাছে আম উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে ৩০০ মণ। এসব আম যাচ্ছে বরিশালসহ দেশের বেশ কিছু অঞ্চলে। তবে  বেশির ভাগ আম বিক্রি হচ্ছে স্থানীয় বাজারে। আবার অনেকে বাগান থেকে কিনে নিয়ে যাচ্ছেন। কোনো ধরনের ফরমালিন, কেমিক্যাল ব্যবহার না করায় এ আমের বেশ কদর রয়েছে। এ বছর তিনি ৭ লাখ টাকার আম বিক্রি করবেন বলে জানিয়েছেন।

কখন কোন সার, কি পরিমাণ ব্যবহার করতে হবে তা তিনি আয়ত্ত করেছেন চাঁপাইনবাবগঞ্জের আম বাগানিদের সঙ্গে যোগাযোগ করে। মাঝে মধ্যে রোগবালাই দেখা দিলে কৃষি অফিসে যোগাযোগ করেন। তাদের পরামর্শ অনুযায়ী গাছের পরিচর্যা করছেন। মুসুল্লীয়াবাদ ইসলামিয়া সিনিয়র মাদরাসার ইংরেজি প্রভাষক সাইদুর রহমান বলেন, সত্যিই তিনি অত্যন্ত সাহসিকতার পরিচয় দিয়ে সফলতা অর্জন করেছেন। দক্ষিণাঞ্চলের লবণাক্ত জমিতে বিদেশি আমের বাগান করা এক ধরনের চ্যালেঞ্জ। তিনি সবাইকে তাক লাগিয়ে দিয়েছেন। এখন তার বাগানের আম দেখলে প্রাণ জুড়িয়ে যায়।

উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা এ আর এম সাইফুল্লাহ বলেন, কলাপাড়ায় বাণিজ্যিকভাবে আমের বাগান বাড়ছে। এর মধ্যে লতাচাপলী ইউনিয়নের জাহাঙ্গীর মুসুল্লীর বাগানটি অন্যতম। সঠিকভাবে পরিচর্যা করতে পারলে এ অঞ্চলে আমের বাগানের সম্ভাবনা খুবই উজ্জ্বল।

 

এই রকম আরও টপিক

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর