আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, সুষ্ঠু নির্বাচন নিয়ে অনেকে কথা বলছে। আমরা কথা শুনছি, কথা আমরা শুনব। কথা বিনিময় হবে এবং পরামর্শও নেব। কিন্তু আমরা কারও নির্দেশ বা নিয়ন্ত্রণে থাকব, সেটি ভাবার কারণ নেই। কারও প্রেসক্রিপশনে নয়, নির্বাচন হবে সংবিধান অনুযায়ী। অন্যান্য দেশের মতো বাংলাদেশেও নির্বাচনকালীন সরকারের অধীনে নির্বাচন হবে। গতকাল সকালে সচিবালয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে মতবিনিময়কালে তিনি এ কথা বলেন। বিএনপির আন্দোলন মোকাবিলা প্রসঙ্গে ওবায়দুল কাদের বলেন, রাজনীতির বিষয় রাজনৈতিকভাবে মোকাবিলা করা হবে। তবে এতে সহিংসতার উপাদান এরপর পৃষ্ঠা যুক্ত হলে উদ্ভূত পরিস্থিতিই বলে দেবে করণীয় কী হবে। তিনি বলেন, শুনেছি তারা (বিএনপি)  ৩৬ দলের রূপরেখায় একদফা আন্দোলন করবে। আমরা খবর পেয়েছি, ক্ষমতার ভাগাভাগিতে কে কী পাবে- তা নিয়ে ৩৬ পার্টির মধ্যে দরকষাকষি চলছে। আমাদের গণতন্ত্র পুরোপুরি ত্রুটিমুক্ত নয় উল্লেখ করে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, গণতন্ত্রকে প্রাতিষ্ঠানিক রূপ দিতে আরও পথ পাড়ি দিতে হবে। আরও ২/৩টি নির্বাচন করতে হবে। যুক্তরাষ্ট্রের ভিসানীতি ও নিষেধাজ্ঞা প্রসঙ্গে ওবায়দুল কাদের বলেন, সব বিষয়ে তাদের সঙ্গে আমাদের সম্পর্ক অটুট থাকবে। বন্ধুত্ব থাকবে, লেনদেন থাকবে। কিছু কিছু বিষয়ে ভিন্নমত থাকতে পারে, সেটা বন্ধুত্বেরই অংশ।

দ্রব্যমূল্যের সিন্ডিকেট নিয়ে তিনি বলেন, যে সিন্ডিকেটই হোক, সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয় এটা নিয়ে তাদের মতো চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে। আশা করি, এক সময় এটা আর লাগামছাড়া থাকবে না।