মঙ্গলবার, ৪ জুলাই, ২০২৩ ০০:০০ টা

লড়াই হবে একরাম চৌধুরীর সঙ্গে বিএনপির শাহজাহানের

আকবর হোসেন সোহাগ, নোয়াখালী

লড়াই হবে একরাম চৌধুরীর সঙ্গে বিএনপির শাহজাহানের

আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনে নোয়াখালীর সংসদীয় আসন ৬টি। সংসদ নির্বাচনের আর মাত্র ছয় মাস বাকি থাকলেও আওয়ামী লীগ, বিএনপিসহ বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের প্রার্থী সমর্থকরা বিভিন্ন নির্বাচনী গণসংযোগ, সভা-সমাবেশ ও ঈদ-পুনর্মিলনীসহ নানা তৎপরতা চালিয়ে যাচ্ছেন। রাজপথ দখলে রেখে মাঠ নিজেদের দখলে রাখতে দলীয় নেতা-কর্মীদের সঙ্গে নিয়ে ইউনিয়ন ও গ্রামীণ হাট-বাজারে নিজের অবস্থান জানান দিচ্ছেন নোয়াখালী-৪ এর এমপি একরামুল করিম চৌধুরী। পাশাপাশি বিরোধী দল বিএনপি ও জাতীয় পার্টি নির্বাচন ঘিরে কর্মিসভা, ঈদ-পুনর্মিলনীতে যোগদান ও দলীয় নেতা-কর্মীদের সঙ্গে দেখা ও অবাধ নিরপেক্ষ নির্বাচন আদায়ের লক্ষ্যে আন্দোলনের পাশাপাশি প্রস্তুতিও নিচ্ছে।

নোয়াখালী-৪ (সদর-সুবর্ণচর) : এ আসনটি জেলার সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ। এ আসন থেকে একসময় সাবেক স্পিকার ও বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সভাপতি আবদুল মালেক উকিলের মতো শীর্ষ পর্যায়ের নেতা প্রার্থী হতেন। তাঁর মৃত্যুর পর এ আসন বিএনপির দখলে চলে যায়। দীর্ঘ ২১ বছর পর আসনটি বিএনপির হাত থেকে উদ্ধার করে বর্তমান সংসদ সদস্য একরামুল করিম চৌধুরী আওয়ামী লীগের দখলে নিয়েছেন। আওয়ামী লীগের প্রার্থী হিসেবে এ আসন থেকে তিনবার নির্বাচিত হন এমপি একরাম চৌধুরী। সাধারণ তৃণমূল নেতা কর্মীদের মতে, জেলার গুরুত্বপূর্ণ এ আসনে একরামুল করিম চৌধুরীর বিকল্প কেউ এখনো গড়ে ওঠেনি। জেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক একরাম চৌধুরী দলের দুঃসময় থেকে হাল ধরে দলকে সুসংগঠিত করেছেন। বর্তমানে দলের বড় কোনো পদে না থাকলেও মাঠে কাজ করে যাচ্ছেন এবং দলীয় নেতা-কর্মীদের সঙ্গে নিয়ে আওয়ামী লীগের ঘাঁটিতে পরিণত করেছেন। সরকারের উন্নয়নের পাশাপাশি ও ব্যক্তিগত পক্ষ থেকে গরিব অসহায়দের ব্যাপক সহায়তা করে যাচ্ছেন। এ জন্য তাঁকে ‘নগদ চৌধরী’ হিসেবে এলাকায় সবাই চেনেন। এ আসনে বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান ও সাবেক সংসদ সদস্য মো. শাহজাহান শক্ত প্রার্থী রয়েছেন। মো. শাহজাহান ১৯৯১ সাল থেকে ২০০১ সাল পর্যন্ত টানা এমপি ছিলেন। দলের ভিতরে তাঁর প্রভাব রয়েছে। ধারণা করা হচ্ছে তিনি আবার প্রার্থী হবেন। আগামী নির্বাচনে বিএনপি প্রার্থীর সঙ্গে শক্ত প্রতিদ্বন্দ্বিতায় আওয়ামী লীগ প্রার্থী একরাম চৌধুরীর বিকল্প নেই। জেলা বিএনপি নেতা অ্যাডভোকেট শাহাদাত জানান, এ আসনে মো. শাহজাহানের বিকল্প নেই। কারণ তিনি এলাকাটি বিএনপির ঘাঁটিতে পরিণত করেছেন। এ ছাড়া জাতীয় পার্টি থেকে জেলা জাতীয় পার্টির সাধারণ সম্পাদক বোরহান উদ্দিন আহমেদ মিঠুও প্রার্থী হিসেবে রয়েছেন। তিনিও দীর্ঘদিন থেকে দলের জন্য কাজ করছেন। এ ছাড়া জেলা জাসদ থেকে প্রার্থী হিসেবে রহিম উল্যার নামও শোনা যাচ্ছে।

সর্বশেষ খবর