বুধবার, ৫ জুলাই, ২০২৩ ০০:০০ টা

জনবল নিয়োগ দিয়ে যন্ত্র কিনতে হবে

-ড. এ কে আজাদ চৌধুরী

জনবল নিয়োগ দিয়ে যন্ত্র কিনতে হবে

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপাচার্য অধ্যাপক ড. এ কে আজাদ চৌধুরী বলেছেন, ‘দেশের স্বাস্থ্য খাতে অনেক উন্নত যন্ত্র এবং প্রযুক্তি সংযোজিত হয়েছে। এগুলোর সঠিক ব্যবহারে স্বাস্থ্যসেবার মানে উন্নয়ন ঘটবে। কারণ যন্ত্রপাতির সহযোগিতা ছাড়া চিকিৎসকের পক্ষে অসুখ নির্ণয় করা সম্ভব না। কিন্তু অনেক সময় বাক্সবন্দি থেকেই যন্ত্রের মেয়াদ পার হয়ে যায়। তাই যন্ত্র কেনার আগে দক্ষ জনবল নিয়োগ করে জনগণের সেবা নিশ্চিত করতে হবে।’

গতকাল তিনি বাংলাদেশ প্রতিদিনকে বলেন, আগের দিনে নাড়ি টিপে চিকিৎসকদের রোগীর রোগ বুঝতে হতো। এতে সাধারণ সমস্যার রোগী হলে ভালো হতো কিন্তু জটিল রোগাক্রান্তদের বাঁচানো সম্ভব হতো না। এখন চিকিৎসকরা আল্ট্রাসনোগ্রাম, এমআরআই করে জটিল রোগ নির্ণয় করতে পারেন। ক্রিয়েটিনিন টেস্ট করে মানুষের কিডনি পরিস্থিতি জানতে পারেন। ফলে রোগ শনাক্তের হার বেড়েছে। জেনারেল ফিজিশিয়ানরা রক্ত, ইউরিনসহ নানা রকমের টেস্ট করে রোগীর ব্যবস্থাপত্র লিখে দিচ্ছেন। সবকিছুই যন্ত্রের ওপর নির্ভরশীল। স্বাস্থ্য খাতের বাজেটের মধ্যে থেকে এসব যন্ত্রপাতি হাসপাতালের জন্য কেনা হয়। যাতে মানুষ সেবা পায়। কিন্তু অনেক সময় কেনার দুই বছর পার হলেও যন্ত্রের বাক্স খোলাই হয় না। কারণ দেখা যায়, যন্ত্র চালানোর যে জনবল তা নিয়োগ দেওয়া হয় নি। যন্ত্র নষ্ট হলে সেটা মেরামত হয় না। তাই এগুলোর রক্ষণাবেক্ষণে নজর দিতে হবে। বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের সাবেক চেয়ারম্যান ড. এ কে আজাদ চৌধুরী বলেন, দেশের মানুষের ভারত, থাইল্যান্ড, সিঙ্গাপুরসহ বিভিন্ন দেশে চিকিৎসা করতে যাওয়ার একটা প্রবণতা রয়েছে। আমাদের দেশের ডাক্তারদের জ্ঞান এবং দক্ষতায় কোনো ঘাটতি নেই। কিন্তু ওইসব দেশে হাসপাতাল ব্যবস্থাপনা, যন্ত্রপাতি ও প্রযুক্তির ব্যবহারে ভিন্নতা আছে। বেসরকারি হাসপাতাল, ক্লিনিকগুলো যন্ত্রপাতির সর্বোচ্চ ব্যবহার নিশ্চিত করে, সেখানে নষ্ট হওয়ার ঘটনা কম। কিন্তু সরকারি হাসপাতালগুলোতে যন্ত্রপাতি নষ্টের ঘটনা বেশি ঘটে। এগুলো রক্ষণাবেক্ষণে নজর দিলে দেশের স্বাস্থ্য খাত আরও এগিয়ে যাবে। 

 

সর্বশেষ খবর