বৃহস্পতিবার, ৬ জুলাই, ২০২৩ ০০:০০ টা

অংশগ্রহণমূলক ও সুষ্ঠু নির্বাচন চাই

----- মুফতি ফয়জুল্লাহ, ইসলামী ঐক্যজোট

অংশগ্রহণমূলক ও সুষ্ঠু নির্বাচন চাই

ইসলামী ঐক্যজোটের মহাসচিব মুফতি ফয়জুল্লাহ বলেছেন, ‘একটি অবাধ, সুষ্ঠু, নিরপেক্ষ ও অংশগ্রহণমূলক নির্বাচন চাই।’ তিনি বলেন, ‘যে নির্বাচনে গণমানুষ তাদের মতামত স্বাধীনভাবে প্রকাশ করতে পারবে, কোনো অন্যায় হস্তক্ষেপ থাকবে না, পেশিশক্তি ও কালো টাকার খেলা থাকবে না, আমরা এমন একটি নির্বাচন চাই।’ গতকাল বাংলাদেশ প্রতিদিনের সঙ্গে একান্ত সাক্ষাৎকারে তিনি এসব কথা বলেন। নির্বাচনকালীন সরকার সম্পর্কে জানতে চাইলে হেফাজতে ইসলাম বাংলাদেশের প্রতিষ্ঠাতা যুগ্ম-মহাসচিব মুফতি ফয়জুল্লাহ বলেন, ‘গণতন্ত্রের একটি কালো দিক হচ্ছে ভেলকিবাজি। আদর্শিক লোকেরাই কেবল রাজনীতির এ কঠিন মঞ্চকে সঠিক পথে নিয়ে যেতে পারে। তাই আমরা একটি শক্তিশালী ইমানদার সরকার চাই। নইলে এই দুর্গন্ধযুক্ত প্রচলিত রাজনীতির গহ্বরে হারিয়ে যাবে আমাদের নতুন প্রজন্ম।’ ইসলামী ঐক্যজোট প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘ইসলাম পূর্ণাঙ্গ জীবনবিধান। আকিদা-বিশ্বাস, সামাজিক নীতি-নৈতিকতা, শাসন পদ্ধতি, অর্থনীতি, রাজনীতি প্রভৃতি জীবনের সর্বক্ষেত্রে ইসলামই অকাট্য ও নির্ভুল ঐশী বিধান। এ জন্য আমরা তৌহিদে খালেস, সুন্নতে নববী, আল্লাহর সঙ্গে নিবিড় সম্পর্ক এবং ইলায়ে কালিমাতুল্লাহ- এই চার মৌলিক নীতিকে সামনে রেখে জাতিকে সঙ্গে নিয়ে নৈতিক মূল্যবোধের সড়ক ধরে মহানবীর প্রদর্শিত পথে ইনকিলাবে মুস্তফবি চাই।’ তিনি বলেন, ‘ইসলামী ঐক্যজোটের সাংগঠনিক অবস্থা দুর্দমনীয়। এটি সংগ্রাম-দুর্জয়, আত্মবিশ্বাস, কোরআন ও নবীপ্রেমিক জনতাকে সংঘবদ্ধ শক্তিতে পরিণতকারী দল। সাংগঠনিক ভিত্তি এর অত্যন্ত মজবুত। সারা দেশে আমাদের সাংগঠনিক কমিটি রয়েছে। দেশের শীর্ষস্থানীয় ওলামা-মাশায়েখের নেতৃত্ব ও নির্দেশনায় ইসলামী ঐক্যজোট এগিয়ে যাচ্ছে।’ দেশের সার্বিক পরিস্থিতি সম্পর্কে মুফতি ফয়জুল্লাহ বলেন, ভারসাম্যহীন চিন্তাভাবনা, বিধ্বস্ত আখলাক, পরনির্ভর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি, অপসংস্কৃতিনির্ভর শিল্প-সাহিত্য এবং নানামুখী অপপ্রচার ও তথ্যসন্ত্রাসে দিশাহারা হয়ে পড়েছে জাতি। জাতি আজ বহিঃশত্রুর অবিরাম হামলা ও গৃহশত্রুর আঘাতে ক্ষত-বিক্ষত; আত্মকলহ ও বিরোধে নাকাল-নাজেহাল ও লক্ষভ্রষ্ট। দেশে আইনশৃঙ্খলার অবনতি চরম। দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতিতে মানুষের নাভিশ্বাস উঠেছে। উসকানিমূলক তৎপরতার মাধ্যমে শত্রুর এজেন্ডা বাস্তবায়নে ভূমিকা না রেখে উম্মতের অস্তিত্ব রক্ষা ও নবচেতনায় ঘুরে দাঁড়ানোর লক্ষ্যে সুচিন্তিত পরিকল্পনার আওতায় গঠনমূলক ও দেশ-জাতির জন্য কল্যাণমুখী কর্মসূচি নিয়ে এগিয়ে যাওয়া দরকার। তিনি বলেন, হিংসা, বিদ্বেষ, হানাহানি, কাদা ছোড়াছুড়ি, দুর্নীতি, সন্ত্রাস ও নৈরাজ্যের অনাকাক্সিক্ষত ধারার পরিবর্তে কল্যাণমুখী, মানবিক মর্যাদাসম্পন্ন, সাম্য, ইনসাফ, সতর্কীকরণ ও তওবার রাজনীতির ধারা পুনঃপ্রবর্তন করা দরকার।

সর্বশেষ খবর