বৃহস্পতিবার, ৬ জুলাই, ২০২৩ ০০:০০ টা

শখের বাগানে বাহারি আম

দীপংকর ভট্টাচার্য লিটন, শ্রীমঙ্গল

শখের বাগানে বাহারি আম

তিন থেকে চার ফুট উঁচু একেকটি আম গাছ। এসব গাছে ঝুলছে বাহারি আম। ছোট ছোট গাছের ডালগুলো নুয়ে পড়েছে আমের ভারে। বাতাসে পাকা আমের মিষ্টি গন্ধ। কোনো গাছে ঝুলছে গোলাকৃতির আর কোনোটিতে লম্বা আকৃতির আম। বিভিন্ন জাতের আমে রয়েছে ভিন্ন ভিন্ন রং। চায়নার কিংআফ চাকাপাত আমের রং লাল। কলার মতো লম্বা সবুজ রঙের ব্যানানা ম্যাংগো। হলুদ বর্ণের ল্যাংড়া। এসব লাল, হলুদ আর সবুজ রঙের আমে দৃষ্টিনন্দন হয়ে আছে বাগানটি। বাহারি এই আম বাগানটির দেখা মেলে মৌলভীবাজারের শ্রীমঙ্গল উপজেলার উত্তর-উত্তরসুর গ্রামে। এই বাগানে রয়েছে ২৬ প্রজাতির ৪ হাজার ৫০০টি বিদেশি ও ৪০ প্রজাতির ৪৫০টি দেশীয় ফলের  গাছ। লন্ডন প্রবাসী কাজী আয়শা মণি শখের বসে এই বাগনটি গড়ে তোলেন। এখানে সাথী সফল হিসেবে উচ্চ ফলনশীল বিভিন্ন সবজির চাষও করা হয়েছে। তার শখের এই বাগান হয়ে উঠেছে এখন অর্থনৈতিক সম্ভাবনাময়। দুই বছর আগে ৭ কেয়ার (১ কেয়ার সমান ৩০ শতাংশ) জমিতে কাজী অ্যান্ড আজাদ এগ্রো ফার্ম নামে এই বাগান করা হয়। এখন তা বেড়ে ২৫ কেয়ারে দাঁড়িয়েছে। বাগানে গিয়ে দেখা যায়, গাছে গাছে ঝুলছে বিদেশি জাতের ব্যানানা ম্যাংগো, ডকমাই, কিংআফ চাকাপাত, কিউজার আম। রয়েছে দেশি জাতের বারি-১১, বারি-৪, ল্যাংড়া, হাঁড়িভাঙা ও আম্রপলি জাতের আম। কোনো গাছের আম পেকে হলুদ হয়ে আছে। কোনোটি পাকা শুরু হয়েছে। বাগানে কোনো সার বা কীটনাশকের ব্যবহার করা হয় না। পুরোপুরি অরগানিক পদ্ধতিতে এখানে ফল চাষ করা হয়। বাগানে রয়েছে ১ হাজারের বেশি আম গাছ। প্রথম বছরে ফলন হয় ২৮০ কেজি (৭ মণ) আম। এ বছর হয়েছে ১ হাজার কেজি। এ বাগানে আরও রয়েছে ২৬ প্রজাতির ৪ হাজার ৫০০টি বিদেশি ফলের গাছ। আছে সাউথ আফ্রিকান হলুদ মালটা, থাই বার মাসি মালটা, থাই কাডিমুন বারমাসি, রেড আইবেরি, ইন্ডিয়ান আলপানস, এমেরিকান পালমার, অগ্নিশ্বর কলা, চাইনিজ কমলা, থাই জামবুরা, দার্জিলিং কমলা, বোম্বাই লিচু, চায়না-৩ লিচু, চায়না টক কুল, বল সুন্দরী কুল, ছফেদা, আনার, একোকেডু, থাই পিংক কাঁঠাল, থাই বারমাসি কাঁঠাল, থাই লংগান, রামভুটান, জি নাইন কলা, মিষ্টি তেঁতুল ও ভীয়েতনামের খাটো নারিকেল। রয়েছে পেঁপে ও পেয়ারাসহ দেশীয় ৪০ প্রজাতির ৪৫০টি ফলের গাছ। বাগানের ভিতর রয়েছে মাছের ও গরুর খামার। কাজী আয়শা মণি বলেন, আমের ফলন দেখে খুব ভালো লেগেছে। বিদেশে কষ্টে উপার্জন করা টাকা দেশে বিনিয়োগ করলে ক্ষতি নেই। আমার এই বাগান এর একটি বড় উদাহরণ।

এই রকম আরও টপিক

সর্বশেষ খবর