শনিবার, ৮ জুলাই, ২০২৩ ০০:০০ টা

পাহাড়ে ড্রাগন ফলের বাম্পার ফলন

ফাতেমা জান্নাত মুমু, রাঙামাটি

পাহাড়ে ড্রাগন ফলের বাম্পার ফলন

পাহাড়ে ড্রাগন ফলের বাম্পার ফলন হয়েছে। তাই প্রায় সময় দেখা মিলছে রাঙামাটির পথ-প্রান্তরে ড্রাগন ফলের হাট। এসব ড্রাগন যতটাই না আকর্ষণীয়, তার চেয়ে বেশি মজাদার। এ ফলের চাহিদা বেশি, দামও বেশি। স্থানীয় বাজারের চাহিদা মিটিয়ে বাণিজ্যিকভাবে বাজারজাত হচ্ছে ঢাকা ও চট্টগ্রামসহ আশপাশের জেলায়। ফেসবুকের মাধ্যমেও বিক্রি করছেন ব্যবসায়ীরা। রাঙামাটি কৃষি বিভাগ বলছে, বিদেশি ফল নয় এখন ড্রাগন। দেশের বিভিন্ন জেলায় উৎপাদন হচ্ছে বাণিজ্যিকভাবে। তার মধ্যে অন্যতম তিন পার্বত্য জেলা রাঙামাটি, খাগড়াছড়ি ও বান্দরবান। অপরূপ সুন্দর লতানো গাছে কাঁচা-পাকা ড্রাগন ফলের ভরপুর এখন পাহাড়। নাইট-কুইন ফুলের মতো মধ্য রাতে ড্রাগন ফলের ফুল ফোটে। সকাল হওয়ার আগেই এ ফুল ফলে রূপান্তরিত হয়ে যায়। তাই সচরাচর ড্রাগন ফলের ফুল দেখার সৌভাগ্য হয় না অনেকের। বিদেশি প্রজাতির এ দুর্লভ ফলের প্রথম উৎপাদন হয়েছে, রাঙামাটি জেলার কাপ্তাই রাইখালী কৃষি গবেষণা কেন্দ্রের বাগানে। আর এখন জেলার সবখানে মিলছে এ ড্রাগন।

ড্রাগন চাষি মিল্টন চাকমা জানান, আমি এতটা আশা করিনি। প্রথমবার পরীক্ষামূলক চাষ করে এমন সফলতা পাব। এক কথা বলা যায় আমার বাগানে বাম্পার ফলন হয়েছে ড্রাগনের। প্রতিটি গাছে ফল ধরেছে। এরই মধ্যে বাজারজাত করেছি ড্রাগনের। ৩৮০ থেকে ৫০০ টাকা পর্যন্ত পাইকারি ও খুচরা দরে বিক্রি করেছি রাঙামাটি বাজারে। আশা করছি বাগানের পেছনে যা খরচ হয়েছে তার চেয়ে বেশি লাভবান হব। একইভাবে নিজের অনুভূতি প্রকাশ করেন স্থানীয় নীল রতন চাকমা ও আনন্দ মনি চাকমা।

 তারা বলেন, মিল্টন চাকমার ড্রাগন বাগানের জন্য অনেক বেকার যুবকের কর্মসংস্থান হয়েছে। রাঙামাটি সাপছড়ি ইউনিয়ন কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতরের ব্লকের উপসহকারী কৃষি কর্মকর্তা মো. মহসিন রহমান জানান, মিল্টন চাকমার ড্রাগন বাগান আমরা প্রায় সময় পর্যবেক্ষণ করেছি। তাকে বিভিন্ন পরামর্শ দিয়ে বাগানের যত্ন আর পরিচর্যা করতে বলেছি। তাই সঠিক সময় ফলন পেয়েছে। রাঙামাটি কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতরের অতিরিক্ত পরিচালক তপন কুমার পাল বলেন, এ বছর রাঙামাটি জেলায় ১৫ হেক্টর জমিতে বাণিজ্যিকভাবে ড্রাগন চাষ হয়েছে। তিন পার্বত্য জেলায় এরই মধ্যে সফলতা পেয়েছে ড্রাগন চাষ। একটা সময় ড্রাগন ফল বাংলাদেশে তেমন একটা দেখা যেত না। বিদেশি জাতের এ ফলটি বাংলাদেশে অনেকটাই দুর্লভ। তবে দুর্লভ এ ফলের সফল উৎপাদন হয়েছে পাহাড়ে। সঠিক পদ্ধতিতে ড্রাগনের আবাদ করলে এ অঞ্চলের কৃষি অনেক সমৃদ্ধ হবে।

সর্বশেষ খবর