আগামী জাতীয় নির্বাচনে ভোট ডাকাতির জন্যই সরকার গণপ্রতিনিধিত্ব আদেশ (আরপিও) সংশোধন করেছে বলে মন্তব্য করেছে গণতন্ত্র মঞ্চ। গতকাল এক সংবাদ সম্মেলনে মঞ্চের নেতারা বলেন, আরপিও সংশোধনের মাধ্যমে নির্বাচন কমিশনকে অকার্যকর ঠুটোঁ জগন্নাথে পরিণত করা হয়েছে। ভোট বাতিলে প্রতিষ্ঠানটির আসল ক্ষমতাই কেড়ে নেওয়া হয়েছে। আরেকটি নীলনকশার নির্বাচন করতেই আরপিওতে এ সংশোধন আনা হয়েছে।

রাষ্ট্র সংস্কার আন্দোলনের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে গণতন্ত্র মঞ্চের সমন্বয়ক ও বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির সাধারণ সম্পাদক সাইফুল হক বলেন, আরপিওর ৯১(ক) ধারা অনুযায়ী নির্বাচন কমিশন (ইসি) আইনানুগভাবে অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচন করতে সক্ষম হবে না মনে করলে নির্বাচনের যে কোনো পর্যায়ে ভোট বন্ধ রাখতে পারে। অর্থাৎ সুষ্ঠু নির্বাচনের জন্য পরিস্থিতি অনুকূল না হলে নির্বাচন কমিশন ভোট গ্রহণের আগেই নির্বাচন বন্ধ করতে পারত। কমিশনের এই ক্ষমতা সীমিত করা হয়েছে।

সংবাদ সম্মেলনে আরও বক্তব্য রাখেন জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল- জেএসডির সভাপতি আ স ম আবদুর রব, নাগরিক ঐক্যের সভাপতি মাহমুদুর রহমান মান্না, গণসংহতি আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়ক জোনায়েদ সাকি, ভাসানী অনুসারী পরিষদের আহ্বায়ক শেখ রফিকুল ইসলাম বাবলু, রাষ্ট্র সংস্কার আন্দোলনের মিডিয়া বিষয়ক সমন্বয়ক হাসিব উদ্দিন হোসেন। আ স ম আবদুর রব বলেন, এই ভোট ডাকাত সরকারকে দেশের মানুষ আর বিশ্বাস করে না। এদেরকে বিদায় করা ছাড়া আমরা ভোটের অধিকারও আদায় করতে পারব না। মাহমুদুর রহমান মান্না বলেন, আরেকটি ভোট ডাকাতির জন্যই আরপিও সংশোধন করা হয়েছে। তবে কোনো কৌশলেই এবার সরকারের রক্ষা হবে না। জোনায়েদ সাকি বলেন, এই সংশোধনীর ফলে সরকারের নির্বাচনী তামাশা নতুন চেহারা নেবে। সব কেন্দ্রে কারচুপি করলেও কয়েকটি কেন্দ্রের ভোট বাতিল করে তারা দেখাতে চাইবে নির্বাচন সুষ্ঠু হয়েছে।