সোমবার, ১০ জুলাই, ২০২৩ ০০:০০ টা

দলীয় প্রার্থী চায় আওয়ামী লীগ তলে তলে প্রস্তুতি বিএনপির

মুহাম্মদ সেলিম, চট্টগ্রাম

দলীয় প্রার্থী চায় আওয়ামী লীগ তলে তলে প্রস্তুতি বিএনপির

ফটিকছড়ি ও ভুজপুর থানা এবং দুটি পৌরসভা নিয়ে চট্টগ্রাম-২ সংসদীয় আসন। মহাজোটের প্রার্থী হিসেবে এ আসন থেকে এমপি হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন তরিকত ফেডারেশনের চেয়ারম্যান নজিবুল বশর মাইজভান্ডারী। তবে আওয়ামী লীগের তৃণমূল এবার এ আসনে দলীয় প্রার্থী চায়।

নির্বাচনী মাঠের প্রধান প্রতিদ্বন্দ্বী বিএনপি দলীয় সরকারের অধীনে নির্বাচনে না যাওয়ার সিদ্ধান্ত নিলেও তলে তলে প্রস্তুতি নিচ্ছে দলটির সম্ভাব্য প্রার্থীরা। এবার এ আসনে বিএনপিতে মনোনয়নপ্রত্যাশীদের সংখ্যাও অনেক।

এ আসনের বর্তমান এমপি তরিকত ফেডারেশনের নজিবুল বশর মাইজভান্ডারী বলেন, ‘আগামী নির্বাচনকে আসনে রেখে সব প্রস্তুতি সম্পন্ন করেছি। সবকিছু ঠিক থাকলে জোটের প্রার্থী হিসেবে এ আসন আবার নির্বাচন করব।’

আওয়ামী লীগের মনোনয়নপ্রত্যাশী এ টি এম পেয়ারুল ইসলাম বলেন, ‘আগামী নির্বাচনে দলীয় প্রধান শেখ হাসিনার সিদ্ধান্তের দিকে থাকিয়ে আছে ফটিকছড়ি আওয়ামী লীগের তৃণমূলের নেতা-কর্মীরা। দল থেকে মনোনয়ন দিলে নির্বাচন করার সব প্রস্তুত আছে।’

বিএনপির মনোনয়নপ্রত্যাশী কর্নেল (অব.) আজিম উল্লাহ বাহার বলেন, ‘বিএনপি এখন আন্দোলনমুখী। তাই নির্বাচন নিয়ে কোনো চিন্তাই নেই আমাদের। তবে দল যদি নির্বাচন করে তাহলে নির্বাচনের প্রস্তুতি আছে আমাদের।’ জানা যায়, এক সময়ের বিএনপি-জামায়াতের ঘাঁটি হিসেবে পরিচিত চট্টগ্রামের এ আসনটিতে পাল্টে গেছে অতীতের ভোট চিত্র। আওয়ামী লীগ টানা তিন মেয়াদে ক্ষমতায় থাকার কারণে সৃষ্টি হয়েছে দলীয় ভোট ব্যাংক। বর্তমান এমপি নজিবুল বশর ২০১৪ ও ২০১৮ সালের নির্বাচনে মহাজোটের প্রার্থী হিসেবে বিজয়ী হন। কিন্তু নজিবুল বশর মাইজভান্ডারী ও তার দুই ছেলের বিরুদ্ধে রয়েছে পাহাড় সমান অভিযোগ। আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীদের সঙ্গে মনোমালিন্যসহ নানা কারণে তিনি এবার অনেকটা বেকায়দায় রয়েছেন। এ আসনের আওয়ামী লীগের অভ্যন্তরীণ কোন্দল বিগত সময়ে আশীর্বাদ হিসেবে এসেছে নজিবুল বশরের জন্য। আওয়ামী লীগের একটি পক্ষ দলীয় মনোনয়ন চাইলে আরেকটি পক্ষ নজিবুল বশর মাইজভান্ডারীর পক্ষে অবস্থান নেয়। তবে এবার দলীয় একজন প্রার্থী দেওয়ার দাবি আওয়ামী লীগের তৃণমূলের। আওয়ামী লীগ নেতাদের মধ্যে মনোনয়ন দৌড়ে আছেন জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান এ টি এম পেয়ারুল ইসলাম, সংরক্ষিত নারী আসনের এমপি খাদিজাতুল আনোয়ার, ফয়সাল কামাল চৌধুরী, উত্তর জেলা আওয়ামী লীগের নেতা ফখরুল আনোয়ার, সাদাত আনোয়ার সাদী প্রমুখ। অপরদিকে রাজপথের বিরোধী দল বিএনপির প্রার্থী হিসেবে যুদ্ধাপরাধী সালাউদ্দীন কাদের চৌধুরীর পরিবারের একটি শক্তিশালী অবস্থান রয়েছে নেতা-কর্মীদের মাঝে। বিএনপির একটি অংশ যুদ্ধাপরাধে ফাঁসি হওয়া সালাউদ্দীন কাদের চৌধুরীর স্ত্রী ফারহাত কাদের চৌধুরীর নাম আলোচনায় আনছে সম্ভাব্য প্রার্থী হিসেবে। এ ছাড়াও মনোনয়ন চাইবেন গত নির্বাচনের পরাজিত প্রার্থী উপজেলা বিএনপির আহ্বায়ক কর্নেল (অব.) আজিম উল্লাহ বাহার, বিএনপির কেন্দ্রীয় তথ্য ও গবেষণা বিষয়ক সহসম্পাদক কাদের গণি চৌধুরী, বিএনপির কেন্দ্রীয় সদস্য বিচারপতি ফয়সাল মাহমুদ ফয়েজী, উত্তর জেলা বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক সরোয়ার আলমগীর, সাবেক সিভিল সার্জন ডা. খুরশিদ জামিল। এ ছাড়া ছোট দলের মধ্যে সুপ্রিম পার্টির চেয়ারম্যান সাইফুদ্দীন আহমদ মাইজভান্ডারী, জাতীয় পার্টি নেতা জহুরুল ইসলাম রেজা, ইসলামিক ফ্রন্টের মীর মুহাম্মদ ফেরদৌস আলম ও ইসলামী আন্দোলনের মোহাম্মদ আতিক নির্বাচন করতে পারেন।

সর্বশেষ খবর