বুধবার, ১২ জুলাই, ২০২৩ ০০:০০ টা

বর্ষায় সেজেছে পাহাড়

ফাতেমা জান্নাত মুমু, রাঙামাটি

বর্ষায় সেজেছে পাহাড়

রূপবতী হয়ে উঠেছে পাহাড়। বর্ষায় সেজেছে পাহাড়ের পথপ্রান্তর। এক পশলা বৃষ্টির পর নীল আকাশে ভেসে বেড়ায় শুভ্র মেঘের ভেলা। এ মেঘ দূর থেকে মনে হয় এক একটি বরফের পাহাড়। কাপ্তাই হ্রদের আঁকাবাঁকা শান্ত জলধারা যেন আবারও যৌবন ফিরে পেয়েছে। এমন চিত্রের দেখা মিলছে রাঙামাটির আসামবস্তি-কাপ্তাই সড়কে। প্রকৃতির এমন দিগন্তজোড়া হাসিতে একাকার পাহাড়। এমন বিস্ময়কর সৌন্দর্যের আকর্ষণে ওই সড়কে প্রায় প্রতিদিনই ভিড় জমাচ্ছেন পর্যটক। এক মাস আগেও খরায় পাহাড়ের বৃক্ষে পাতা ছিল না। তীব্র দাবদাহে পরিণত হয়েছিল মরুভূমিতে। সেই পাহাড় এখন রূপ আর বৈচিত্র্যে ভরপুর। পাহাড়ঘেঁষে আসামবস্তি-কাপ্তাই সড়ক যেন পর্যটকদের কাছে রূপকথার গল্পের মতো। বিকাল হলেই ভিড় জমে স্থানীয়সহ পর্যটকের।

এ সড়কে বাড়তি সৌন্দর্য যোগ করতে এরই মধ্যে রাঙামাটি জেলা প্রশাসন তৈরি করেছে আই লাভ রাঙামাটি নামে নীলাম্বরী। অর্থাৎ লাভ পয়েন্ট; যা সব সময় প্রকৃতিপ্রেমীর পদচারণে থাকে মুখরিত।

রাঙামাটিতে বেড়াতে আসা পর্যটক শেফালি জাহান তুলি বলেন, ‘রাঙামাটির পর্যটন করপোরেশন থেকে বেশি সুন্দর রাঙামাটি-আসামবস্তি-কাপ্তাই সড়ক এলাকা। যদিও এটি পর্যটন কেন্দ্র নয়, তবু প্রকৃতিগতভাবে সুন্দর। যদি পর্যটন কেন্দ্র হিসেবে উন্নয়ন করা হয়, তাহলে পর্যটকের ঢল নামবে।’ একইভাবে উচ্ছ্বাস ব্যক্ত করলেন আরেক পর্যটক তুহিন। বলেন, ‘বন্ধুদের সঙ্গে গ্রুপ ট্যুর দিতে রাঙামাটি আসা। যদিও কাপ্তাই হ্রদের পানির স্তর একেবারে কম, তবু প্রকৃতির কারণে পাহাড় অনেক সুন্দর মনে হচ্ছে। পাহাড়ি পথগুলো সত্যি নজরকাড়া।’ রাঙামাটির অতিরিক্ত পুলিশ সুপার সদর সার্কেল মো. জাহিদুল ইসলাম বলেন, ‘পর্যটকদের নিরাপত্তায় রাঙামাটি-আসামবস্তি-কাপ্তাই সড়কে নতুন করে স্থাপন করা হবে ট্যুরিস্ট পুলিশ ক্যাম্প।’ তিনি বলেন, ‘ইদানীং আমরা লক্ষ করছি আসামবস্তি-কাপ্তাই সড়কে পর্যটকের আনাগোনা বেড়েছে। কারণ এখানে একটি নীলাম্বরী তৈরি করা হয়েছে। এ লাভ পয়েন্টে সবাই ছবি তুলতে চায়। তাই এ সড়কে ট্যুরিস্ট পুলিশ ক্যাম্প করার জন্য জেলা পুলিশ সুপারের একটি প্রস্তাব আছে।’ রাঙামাটির জেলা প্রশাসক মো. মিজানুর রহমান বলেন, ‘রাঙামাটি-কাপ্তাই আসামবস্তি সড়কের প্রকৃতির মাঝে বাড়তি সৌন্দর্য যোগ করতে তৈরি করা হয়েছে নীলাম্বরী। এটি পর্যটকদের যেমন আনন্দ দেবে, তেমনি আই লাভ রাঙামাটির নামও ছড়িয়ে পড়বে।’ সংশ্লিষ্টরা বলছেন, প্রাকৃতিক সৌন্দর্য কাজে লাগিয়ে পর্যটন কেন্দ্রগুলো ঢেলে সাজানো গেলে অর্থনৈতিক সম্ভাবনার দুয়ার খুলবে।

এই রকম আরও টপিক

সর্বশেষ খবর