বুধবার, ১২ জুলাই, ২০২৩ ০০:০০ টা

জমি ও কাঁঠাল নিয়ে দুই সংঘর্ষে নিহত বেড়ে ৮

প্রতিদিন ডেস্ক

রাজশাহীতে জমি নিয়ে সংঘর্ষে নিহতের সংখ্যা বেড়ে চার ও সুনামগঞ্জে মসজিদের কাঁঠাল নিয়ে সংঘর্ষের ঘটনায় আরেক বৃদ্ধের মারা গেছেন। দুটি ঘটনায় মোট আটজন নিহত হলেন। নিজস্ব প্রতিবেদক, রাজশাহী জানান, রাজশাহীর গোদাগাড়ী উপজেলার পাকড়ি ইউনিয়নের মুসরাপাড়া ইয়াজপুর গ্রামে জমি নিয়ে বিরোধে দুপক্ষের সংঘর্ষে নিহতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে চারে। সোমবার সন্ধ্যার দিকে হাসপাতালের ৩১ নম্বর ওয়ার্ডে চিকিৎসাধীন মনিরুল ইসলামের (৪৫) মৃত্যু হয়। তিনি উপজেলার পাকড়ীর গোরিসার আবদুল কুদ্দুসের ছেলে। এর আগে সকালে সংঘর্ষের ঘটনায় তিনজন নিহত হয়েছিলেন।

এদিকে চারজন নিহতের ঘটনায় সোমবার রাতে গোদাগাড়ী মডেল থানায় মামলা হয়েছে। গোদাগাড়ী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) কামরুল ইসলাম জানান, মামলায় ২১ জনের নাম উল্লেখ করে আসামি করা হয়েছে ৭১ জনকে। বাকি ৫০ জন অজ্ঞাত আসামি। এ মামলায় সাতজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। গ্রেফতাররা হলেন- ইউনুস আলী, রজব আলী, হায়দার আলী, আতাউর রহমান, মঞ্জুর রহমান, ওমর ফারুক ও আনারুল ইসলাম। সোমবার রাতে গোদাগাড়ী থানায় নিহত সোহেল রানার ভাই হৃদয় বাদী হয়ে মামলাটি করেন। সোমবার সকাল ৯টায় পাকড়ি ইউনিয়নের মুসরাপাড়া ইয়াজপুর গ্রামে সংঘর্ষের ঘটনায় রাজশাহী নগরীর ভাটাপাড়া গ্রামের জিল্লুর রহমানের ছেলে ছোটন (৪৫), গোদাগাড়ীর বড়গাছী কামারপাড়ার মৃত আলিম উদ্দীনের ছেলে মেহের আলী (৭০) ও তার ভাই নাইমুল (৮০) নিহত হন। পরে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মনিরুল ইসলামের (৪৫) মৃত্যু হয়। গোদাগাড়ী থানার ওসি কামরুল ইসলাম জানান, এ ঘটনায় জড়িত অন্য আসামিদের গ্রেফতারে অভিযান চলছে।

উল্লেখ্য, ইয়াজপুর বিলে সোহেল রানার ১৪ বিঘা জমি মেহের আলী ও নাইমুল দুই ভাই বর্গা চাষ করতেন। ওই জমিগুলো কিছুদিন থেকে নিজের দাবি করে আসছেন পাকড়ি গ্রামের আশিক আলী চান। এ ঘটনায় দুপক্ষের সংঘর্ষে ঘটনাস্থলে তিনজন ও হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় একজনের মৃত্যু হয়। সুনামগঞ্জ প্রতিনিধি জানান, মসজিদের কাঁঠাল নিলাম নিয়ে বিরোধের জেরে সুনামগঞ্জের শান্তিগঞ্জ উপজেলার হাসনাবাদ গ্রামে দুপক্ষের সংঘর্ষের ঘটনায় মুখলেছুর (৬০) নামে আরেক আহত বৃদ্ধের মৃত্যু হয়েছে। তিনি ওই গ্রামের আজির মোহাম্মদের ছেলে। এ নিয়ে সংঘর্ষের ঘটনায় মৃত্যুর সংখ্যা দাঁড়িয়েছে চারে। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান আবদুল বাসিত সুজন। জানা যায়, সোমবার সংঘর্ষের পর স্থানীয় বাজারে প্রাথমিক চিকিৎসা নিয়ে পুলিশের ভয়ে আত্মগোপনে ছিলেন আহত বৃদ্ধ মুখলেছুর। সোমবার রাতে আত্মীয়ের বাড়িতে মৃত্যু হয় তার। নিহত বৃদ্ধ মালদার পক্ষের লোক। সোমবার সকালে মসজিদের কাঁঠাল নিলামের বিরোধের জেরে গ্রামে সরাই মড়ল ও মালদার গোষ্ঠীর মধ্যে রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষ হয়। ওইদিনের সংঘর্ষে বাবুল মিয়া, নুরুল হক ও শাহজাহান নিহত হন। এ সময় উভয় পক্ষে অন্তত ৩০ জন আহত হন বলে জানা গেছে। ঘটনার পর থেকে এলাকায় পুলিশ মোতায়েন রয়েছে। অভিযান চালিয়ে উভয় পক্ষের নয়জনকে আটক করেছে পুলিশ। সংঘর্ষের ঘটনায় এখনো কোনো অভিযোগ দায়ের হয়নি। মখলেছুরের লাশ ময়নাতদন্তের জন্য সুনামগঞ্জ সদর হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে বলে জানিয়েছেন শান্তিগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) খালেদ চৌধুরী।

সর্বশেষ খবর