বুধবার, ১২ জুলাই, ২০২৩ ০০:০০ টা

পানি বাড়ছে তিন নদীতে ভাঙন টাঙ্গাইল কুড়িগ্রামে

প্রতিদিন ডেস্ক

পানি বাড়ছে তিন নদীতে ভাঙন টাঙ্গাইল কুড়িগ্রামে

টাঙ্গাইলে ভয়াবহ নদী ভাঙন -বাংলাদেশ প্রতিদিন

উজানের ঢলে আবারও লালমনিরহাটে তিস্তা, কুড়িগ্রামে ব্রহ্মপুত্র ও টাঙ্গাইলে যমুনা নদীর পানি বাড়ছে। তিস্তার পানি বিপৎসীমা ছুঁইছুঁই করছে। টাঙ্গাইল ও কুড়িগ্রামে নদী ভাঙন তীব্র আকার ধারণ করেছে। আমাদের প্রতিনিধিরা এসব খবর পাঠিয়েছেন।

লালমনিরহাট : উজানের ঢল ও ভারী বৃষ্টিপাতের কারণে লালমনিরহাটে তিস্তা নদীর পানি আবারও বাড়ছে। তিস্তা ব্যারেজ পয়েন্টে নদীর পানি আবারও বিপৎসীমা ছুঁইছুঁই করছে। পানি নিয়ন্ত্রণে তিস্তা ব্যারেজের ৪৪টি গেট খুলে দিয়েছে কর্তৃপক্ষ। ডালিয়া পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী আসফাউদ্দৌলা বলেন, গতকাল সন্ধ্যা ৬টায় তিস্তা ব্যারেজ  পয়েন্টে তিস্তার পানি বিপৎসীমার ৫ সেন্টিমিটার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হয়। জুন মাসের শুরু থেকে তিস্তার পানি বাড়া-কমার মধ্যে আছে। প্রথম দফা বন্যার পর পানির গতি অনেকটা স্বাভাবিক থাকলেও সোমবার রাত থেকে বাড়তে শুরু করে বিপৎসীমার কাছাকাছি। লালমনিরহাট পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী সুনীল কুমার বলেন, তিস্তার পানি বাড়ায় লালমনিরহাটের পাঁচ উপজেলায় নিম্নাঞ্চলের বন্যার আশঙ্কায় রয়েছে। টাঙ্গাইল : টাঙ্গাইলে বাড়ছে যমুনা নদীর পানি। সেই সঙ্গে জেলার ভূঞাপুর, কালিহাতী, নাগরপুর, দেলদুয়ার ও টাঙ্গাইল সদর উপজেলার অর্ধশত গ্রামে নদী ভাঙন দেখা দিয়েছে। এতে দিশাহারা হয়ে পড়েছেন নদীতীরের হাজারো মানুষ। দ্রুত পানি বাড়ায় চরাঞ্চলে তিল ও পাটসহ নানা ধরনের ফসল পানিতে তলিয়ে যাচ্ছে। চোখের সামনে নিমিষেই যমুনার পেটে চলে যাচ্ছে- বসতভিটা, ঘরবাড়ি ও ফসলি জমিসহ নানা স্থাপনা। ভাঙন কবলিত মানুষ নির্ঘুম রাত কাটাচ্ছে। অনেকে ঘরবাড়ি সরিয়ে নেওয়ার সুযোগটুকুও পাচ্ছেন না। মানবেতর জীবনযাপন করছে ভাঙন কবলিতরা। ভূঞাপুর উপজেলার গোবিন্দাসী, কষ্টাপাড়া, চিতুলিয়াপাড়া, মাটিকাটাসহ ২০টি গ্রামের ভাঙন দেখা দিয়েছে। কালিহাতী উপজেলার আলীপুর ও হাট আলীপুরসহ ১০টি গ্রাম, নাগরপুর উপজেলার সলিমাবাদ, তেবাড়িয়া, খাস ঘুনিপাড়াসহ ২০টি গ্রাম, দেলদুয়ার ও সদর উপজেলার ১০টির বেশি গ্রামে নদী ভাঙন তীব্র আকার ধারণ করেছে। কুড়িগ্রাম : কুড়িগ্রামে গতকাল বিকালে ব্রহ্মপুত্র নদের চিলমারী পয়েন্টে পানি বেড়েছে। তবে তা বিপৎসীমার নিচ দিয়ে বইছে। অন্যান্য নদনদীর পানি কমছে, জানিয়েছে স্থানীয় পাউবো। বিভিন্ন স্থানে নদী ভাঙন তীব্র আকার ধারণ করেছে। ধরলা পাড়ের শুলকুর বাজার এলাকার ঈমান আলী জানান, ধরলার পানি দুদিন ধরে বাড়লেও এখন কমছে। উলিপুর উপজেলার বজরা এলাকার কৃষক নিয়ামত হোসেন জানান, দুই সপ্তাহে আমাদের কিছু জমি নদীতে বিলীন হয়েছে। আরও অনেকের বাড়িঘর ভাঙছে। বন্যার পানিতে আমন বীজতলা, সবজি ও পাট খেতে প্লাবিত হওয়ায় অনেক কৃষক পড়েছেন বিপাকে। অনেকের সবজি খেত পুরো নষ্ট হয়ে গেছে।

সর্বশেষ খবর