চলতি অর্থবছরে ৭২ বিলিয়ন মার্কিন ডলারের রপ্তানি আয়ের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করেছে সরকার, যার মধ্যে পণ্য খাতে ৬২ বিলিয়ন এবং সেবা খাতে ১০ বিলিয়ন মার্কিন ডলার নির্ধারণ করা হয়েছে। গতকাল বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ে সম্মেলন কক্ষে ২০২৩-২৪ অর্থবছরের রপ্তানি লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ সংক্রান্ত সভা শেষে সাংবাদিকদের এ তথ্য জানান বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি। রপ্তানির এই লক্ষ্যমাত্রা অর্জন করার জন্য গ্যাস-বিদ্যুতের নিশ্চয়তা চেয়েছেন ব্যবসায়ীরা। সভায় জানানো হয়, গত অর্থবছরে পণ্য ও সেবা মিলিয়ে রপ্তানি আয়ের লক্ষ্যমাত্রা ছিল ৬৭ বিলিয়ন মার্কিন ডলার। সাময়িক হিসাব অনুযায়ী লক্ষ্যমাত্রার বিপরীতে আয় হয়েছে ৬৪ দশমিক ৫৬ বিলিয়ন মার্কিন ডলার। এর মধ্যে পণ্য খাতে আয়ের পরিমাণ ছিল ৫৫ দশমিক ৫৫ বিলিয়ন ডলার। পণ্য ও সেবা খাতের এই আয়ের ওপর সামগ্রিকভাবে ১১ দশমিক ৫২ শতাংশ প্রবৃদ্ধি ধরে চলতি অর্থবছরের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে। এতে পণ্য রপ্তানি খাতে প্রবৃদ্ধি ১১ দশমিক ৫৯ শতাংশ এবং সেবা রপ্তানির ১১ দশমিক ১১ শতাংশ প্রবৃদ্ধি ধরা হয়েছে। সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে বাণিজ্যমন্ত্রী বলেন, আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচন স্বাভাবিক প্রক্রিয়া অনুসরণ করে সংবিধান অনুযায়ী হবে। নির্বাচনকে কেন্দ্র করে দেশে কোনো কিছুই বন্ধ থাকবে না। অফিস-আদালত, ব্যাংক-বীমা, ব্যবসা-বাণিজ্য স্বাভাবিকভাবেই চলবে। অতএব, নির্বাচনের বছর উপলক্ষে রপ্তানির লক্ষ্যমাত্রা অর্জনে কোনো বিরূপ প্রভাব পড়ার আশঙ্কা নেই। বিকেএমইএর নির্বাহী সভাপতি মো. হাতেম সাংবাদিকদের বলেন, রপ্তানি লক্ষ্যমাত্রা অর্জনের ক্ষেত্রে সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ গ্যাস ও বিদ্যুৎ। এগুলো না পেলে রপ্তানি ১০ শতাংশ কম হতে পারে। জ্বালানি সংকটের পাশাপাশি কর সমস্যার কথা তুলে ধরে এই ব্যবসায়ী নেতা বলেন, কাস্টমস ও এনবিআরেও সমস্যা আছে। কথা নেই বার্তা নেই মাল আটকে রাখে। ভ্যাটের জ্বালাতনও আছে। বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব তপন কান্তি ঘোষের সঞ্চালনায় সভায় সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়ের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা ও ব্যবসায়ী সংগঠনের নেতারা উপস্থিত ছিলেন।