শনিবার, ১৫ জুলাই, ২০২৩ ০০:০০ টা

সবজি ও মাছের দাম বাড়তি কমেছে আদা পিঁয়াজ তেলে

বাজার দর

নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা ও চট্টগ্রাম

সবজি ও মাছের দাম বাড়তি কমেছে আদা পিঁয়াজ তেলে

বাজারে বেড়েই চলছে সবজির দাম। ঈদের পর থেকেই  প্রায় সব সবজির দাম ঊর্ধ্বমুখী রয়েছে। এবার তার সঙ্গে যোগ হয়েছে মাছের দাম। কোরবানির ঈদের পর মাছের চাহিদা বাড়তেই দামও বাড়তে শুরু করেছে। মাছ কিনতে গিয়ে বেশি দাম দেখে হতাশা প্রকাশ করেছেন ক্রেতারা। সবজি আর মাছের বাজারে অস্বস্তি বিরাজ করছে। তবে কিছুটা স্বস্তি এসেছে পিঁয়াজ, সয়াবিন তেল, আদা ও আটার মতো নিত্যপণ্যে। গত সপ্তাহের তুলনায় এই পণ্যগুলোর দাম কমেছে। তবে কাঁচা মরিচের দাম এখনো অস্থিতিশীল রয়েছে। কখনো বিক্রি হচ্ছে ২৫০, আবার কখনো ৩০০ টাকায়।

গতকাল শনিরআখড়া বাজার ঘুরে দেখা যায়, ৬০ টাকার নিচে কোনো সবজি নেই। এর মধ্যে লম্বা বেগুনের কেজি ৭০, গোল বেগুন ৮০, শসা ৫০ থেকে ৭০, করল্লা ১০০, উচ্ছে ৮০, পেঁপে ৪০ থেকে ৫০, কাকরোল ৮০, গাজর ১২০, টমেটো ২৫০, মিষ্টি কুমড়া ৪০-৮০,  ঢেঁড়স ৬০, পটোল ৬০-৮০, চিচিঙ্গা ৬০-৮০,  ধুন্দল ৬০-৭০, বরবটি ৮০, কচুরমুখি ৮০ ও ধনেপাতা ২০০ টাকা। এ ছাড়া লাউ ৭০-৮০ ও চাল কুমড়া প্রতিটি ৬০ থেকে ৮০ টাকায় বিক্রি হয়েছে।

কেনাকাটা করতে আসা আলমাস কবির বলেন, ঈদের পর থেকেই দেখছি সবজির দাম বেশি। এখনো তা কমেনি। সবজির দাম অনেক বেড়ে গেছে। বিক্রেতারা বলেছেন, দেশের     অনেক জায়গায় পানি বেড়েছে। বন্যার মতো অবস্থা, তাই সবজির দাম এখন বাড়তি। সবজি বিক্রেতা হানিফ মাহমুদ বলেন, গতকাল কাঁচা মরিচ বিক্রি করেছি ২৬০-২৮০ টাকা। আর এখন বিক্রি করছি ৩৫০ টাকা কেজি। দাম প্রতিদিনই কমছে আর বাড়ছে। এ ছাড়া দেশি পিঁয়াজ ৭০, ভারতীয় ৪৫ ও ক্রস জাতের পিঁয়াজ ৬৫, আদা ২০০-২৪০, দেশি রসুন ১৮০, চীনা রসুন ২২০ ও আলু ৫০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে। আলু এক সপ্তাহ আগেও ৪০ টাকায় বিক্রি হতো।

আদা-রসুন বিক্রেতা শরীফ বলেন, আদার দাম কমেছে। এখন বিক্রি করছি ২০০-২৪০ টাকায়। গত সপ্তাহে ছিল ৩২০-৩৬০ টাকা। পিঁয়াজের দামও কমেছে কিছুটা। এখন প্রতি কেজি দেশি পিঁয়াজ ৭০, ক্রস জাতের পিঁয়াজ ৬৫ ও ভারতীয় পিঁয়াজ ৪৫ টাকায় বিক্রি করছি। যা আগে ছিল দেশি পিঁয়াজ ৮০-৮৫ ও ক্রস জাতের ৭০-৭৫ টাকা। এদিকে সয়াবিন তেল ও আটার দাম কিছুটা কমেছে। বাজারে বোতলজাত সয়াবিন তেলের লিটার ১৭৯ টাকা। যা গত সপ্তাহে ছিল ১৮৯ টাকা। আর আটার দাম (দুই কেজির প্যাকেট) ১২০ টাকা। যা গত সপ্তাহে ছিল ১৩০ টাকা। এ ছাড়া মসুরের ডাল ১৩০, মুগ ডাল ১২০, খেসারি ডাল ৮০, বুটের ডাল ৯৫, ছোলা ৮৫ ও খোলা ময়দার কেজি ৬৩ টাকায় বিক্রি হয়। এ ছাড়া খোলা সরিষার তেল প্রতি লিটার ২৫০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। মাছের বাজারে দেখা যায়, বড় আকারের ইলিশ ১ হাজার ৮০০ থেকে ২ হাজার ৫০০, রুই ৩৫০-৪৫০, কাতল ৪০০-৫০০, চিংড়ি ৯০০, কাঁচকি ৫০০, টেংরা ৮০০, কৈ ২৫০, পাবদা ৫০০-৬০০, শিং ৪০০-৬৫০, বেলে ৯০০-১ হাজার ও কাজলি মাছ ১৪০০ টাকা কেজি বিক্রি হচ্ছে। আর ব্রয়লার মুরগি ১৭০-১৮০, পাকিস্তানি বা কক মুরগি ২৫০-২৬০, দেশি মুরগি ৫৫০ ও গরুর গোশত ৭৮০-৮০০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে।

চট্টগ্রামে দাম কমছে না কাঁচা মরিচের : চট্টগ্রামে ঈদ সামনে রেখে বেড়ে যাওয়া কাঁচা মরিচের দাম কোনোভাবেই নিয়ন্ত্রণে আসছে না। আমদানির খবর শোনা গেলেও বাজারে সরবরাহ কম থাকার অজুহাতে বিক্রি হচ্ছে গত সপ্তাহের চেয়ে বাড়তি দামে। পাশাপাশি দাম বেড়েছে মুরগিসহ নিত্যপ্রয়োজনীয় বেশ কিছু পণ্যের। নগরের চকবাজার ও কাজীর দেউড়ি কাঁচা বাজার ঘুরে দেখা গেছে, প্রতি কেজি কাঁচা মরিচ ৩৫০ থেকে ৪০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। গত সপ্তাহে ৩২০ থেকে ৩৫০ টাকা বিক্রি হয়। এ ছাড়াও বাজারে প্রতি কেজি বাঁধাকপি ৩০, পেঁপে ৫০, ঢেঁড়স ৪০ থেকে ৫০, বরবটি ৬০, কচুরমুখি ১০০, বেগুন ৬০, চিচিঙ্গা ৬০, চাল কুমড়া ৪০, শসা ৫০ ও প্রতি হালি কাঁচা কলা ৪০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। মাছের বাজারে প্রতি কেজি কোরাল ৯০০, রুই ৩৫০, রূপচাঁদা ৯০০ থেকে ১ হাজার, পাবদা ৪৫০, শিং ৪০০, পাঙ্গাশ ২০০, চিংড়ি ৭০০ ও টেংরা মাছ ৬০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। এ ছাড়া চিনি প্রতি কেজি ১৪০ ও প্রতি ডজন লাল ডিম ১৩৫ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। বাজারে ব্রয়লার মুরগি প্রতি কেজি বিক্রি হচ্ছে ১৮০-২০০ টাকায়। তাছাড়া প্রতি কেজি সোনালি মুরগি ৩১০, দেশি মুরগি ৫৮০ ও লেয়ার মুরগি ৩৬০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।

 

সর্বশেষ খবর