শনিবার, ১৫ জুলাই, ২০২৩ ০০:০০ টা

পাহাড়ে আমের বাম্পার ফলন

ফাতেমা জান্নাত মুমু, রাঙামাটি

পাহাড়ে আমের বাম্পার ফলন

টসটসে রসালো। দেখতে যেমন আকর্ষণীয়, ঠিক তেমনি খেতেও মজাদার। এমন আমের বাম্পার ফলন হয়েছে পাহাড়ে। এসব আমের হাট এখন দেখা মিলছে রাঙামাটি পথে-প্রান্তরে। স্থানীয় বাজার ছাড়িয়ে রপ্তানি হচ্ছে ঢাকা-চট্টগ্রামসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে। চাহিদা বেশি। তাই দামও একটু বেশি। তবে লাভবান হচ্ছেন কৃষক ও ব্যবসায়ীরা। ফুটেছে তাদের মুখে হাসি। রাঙামাটি জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতর জানায়, রাঙামাটি জেলায় এবার তিন হাজার ৬০০ হেক্টর জমিতে আমের চাষাবাদের লক্ষ্যমাত্রা ছিল। লক্ষ্যমাত্রা অনুযায়ী চাষাবাদও হয়েছে। উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা প্রতি হেক্টরে ১২ টন। তবে এবার উৎপাদন লক্ষ্যমাত্রা ছাড়িয়ে গেছে। বর্তমান সর্বনিম্ন বাজারদরে ২০০ কোটি টাকার অধিক আম বিক্রি হচ্ছে পাহাড়ি বাজারে। এখন বাজারে আছে দেশি জাতের আম। আম্রপালি,  ফজলি, ল্যাংড়া, রাঙ্গুয়াই জাতের আম। এসব আমের সঙ্গে এবার যুক্ত হয়েছে হিমসাগর, মাহালিশা, মল্লিকা, লক্ষ্মণভোগ, হাঁড়িভাঙা, আলতাপেটি ও নাগ ফজলি।

রাঙামাটি কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতরের উপ-পরিচালক তপন কুমার পাল বলেন, রাঙামাটি জেলায় গত বছরের চেয়ে এবার আমের ফলন প্রচুর- যা বাম্পার ফলন বলা যায়। লক্ষ্যমাত্রা অনুযায়ী চাষাবাদ হয়েছে। এ ছাড়া ভালো ফলনের জন্য আমরা মাঠ পর্যায়ে অনেক কাজ করেছি। কৃষকদের বিভিন্ন পরার্মশ দেওয়া হয়েছে। আমের আরও ব্যাপক ফলন পাওয়া যেত যদি তীব্র তাপদাহ না থাকতো। এ ছাড়া বৃষ্টিপাত তেমন ভালো হয়নি। কিন্তু তবুও আমের বাম্পার ফলন হয়েছে। আমরা নতুন আমের বাগান গড়ে তোলার জন্য পরিকল্পনা গ্রহণ করেছি। আগামীতে যাতে রাঙামাটিকে আমের উৎপাদন ভান্ডার বলা যায়।

এই রকম আরও টপিক

সর্বশেষ খবর