শিরোনাম
রবিবার, ১৬ জুলাই, ২০২৩ ০০:০০ টা
বান্ধবীকে উত্ত্যক্ত

গভীর রাতে সংঘর্ষে রণক্ষেত্র জাবি ক্যাম্পাস

জাবি প্রতিনিধি

বান্ধবীকে উত্ত্যক্তের জেরে বিশ্বকবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর হল ও শহীদ রফিক-জব্বার হলের শিক্ষার্থীদের সংঘর্ষে রণক্ষেত্রে পরিণত হয়েছে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় (জাবি) ক্যাম্পাস।

শুক্রবার দিবাগত রাত সাড়ে ৩টার দিকে এ সংঘর্ষ ঘটে। এ সময় পাল্টাপাল্টি ধাওয়া, ইটপাটকেল নিক্ষেপে দুই হলের অন্তত ২০ জন আহত হয়েছেন। এদের মধ্যে উভয় হলের ১০ জন গুরুতর আহতরা হলেন- দর্শন বিভাগের রবিউল ইসলাম (৪৫ ব্যাচ), ইতিহাস বিভাগের নাফিস ইকবাল (৪৮), প্রাণিবিদ্যা বিভাগের সাফায়েত জামিল (৪৯), পরিবেশ বিজ্ঞান বিভাগের রিয়াদ হোসেন (৪৯), ফার্মেসি বিভাগের নিপাতুল ইসলাম নীরব (৪৯), ম্যানেজমেন্ট স্টাডিজ বিভাগের মেহরাব হোসেন (৫১), আইন ও বিচার বিভাগের নিশাদ (৪৯), ফিন্যান্স অ্যান্ড ব্যাংকিং বিভাগের ইশতিয়াক (৫১), সরকার ও রাজনীতি বিভাগের জাহিদুল ইসলাম (৫০) এবং সাকিব (৫১)। তাদের মধ্যে রবিউল, নাফিস, জামিল, রিয়াদ, নীরব ও মেহরাব সাভারের এনাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন। তারা সবাই বিশ্বকবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর হলের আবাসিক শিক্ষার্থী। প্রত্যক্ষদর্শী শিক্ষার্থী সূত্রে জানা যায়, গত ১২ জুলাই বিশ্বকবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর হলের ৫১ ব্যাচের ছাত্র কাজী মহিউদ্দীন মিরাজ ও তার বান্ধবী বিশ্ববিদ্যালয়ের নতুন কলাভবনের নিচতলার একটি দোকানের কাছে দাঁড়িয়েছিলেন। এ সময়, শহীদ রফিক-জব্বার হলের আবাসিক শিক্ষার্থী মোহাম্মদ রাফি ও তার সঙ্গে থাকা কয়েকজন মিরাজের বান্ধবীকে উত্ত্যক্ত করেন। এ ঘটনার জেরে শুক্রবার রাত সাড়ে ১২টায় মিরাজ ও তার হলের বন্ধুদের সঙ্গে রাফি ও তার বন্ধুদের হাতাহাতি হয়। পরে তা রাত সাড়ে ৩টার দিকে উভয় হলের শিক্ষার্থীদের মধ্যে সংঘর্ষে রূপ নেয়। একপর্যায়ে দুই পক্ষের মধ্যে কয়েক দফায় ধাওয়া-পাল্টাধাওয়া ও ইটপাটকেল নিক্ষেপের ঘটনা ঘটে। এ সময়, কয়েক রাউন্ড ফাঁকা গুলি ছোড়া হয়। এদিকে এ ঘটনায় জড়িতদের শাস্তির দাবি করেছেন উভয় হলের প্রাধ্যক্ষ। এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের সহকারী প্রক্টর রনি হোসাইন বলেন, এ ঘটনায় আমরা দ্রুত একটি প্রাথমিক তদন্ত প্রতিবেদন দেব। পরে অধিকতর তদন্তসাপেক্ষে জড়িতদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

সর্বশেষ খবর