শিরোনাম
রবিবার, ১৬ জুলাই, ২০২৩ ০০:০০ টা

থার্ড টার্মিনালের গ্রাউন্ড হ্যান্ডলিংয়ের দায়িত্ব পাচ্ছে জাপান

নিজস্ব প্রতিবেদক

হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের থার্ড টার্মিনালের (তৃতীয় টার্মিনাল) গ্রাউন্ড হ্যান্ডলিংয়ের কাজ জাপান করবে বলে জানিয়েছেন বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষের (বেবিচক) চেয়ারম্যান এয়ার ভাইস মার্শাল মো. মফিদুর রহমান। তিনি বলেন, ‘গ্রাউন্ড হ্যান্ডলিংয়ে আগ্রহ দেখিয়েছে জাপান। তাদেরই এ কাজ দেওয়ার নীতিগত সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার। তাদের কাজ দেওয়ার জন্য কী ধরনের শর্ত দেওয়া হবে, সেটি সরকারি-বেসরকারি অংশীদারিত্বের (পিপিপি) মাধ্যমে নির্ধারণ করা হবে।’ গতকাল হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের ‘এটিজেএফবি ডায়ালগে’ এ তথ্য জানানো হয়। ডায়ালগের আয়োজন করে ‘এভিয়েশন অ্যান্ড ট্যুরিজম জার্নালিস্ট ফোরাম অব বাংলাদেশ’। অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনা করেন সংগঠনের সভাপতি তানজিম আনোয়ার। স্বাগত বক্তব্য রাখেন সাধারণ সম্পাদক জিয়াউল হক সবুজ। বিমানের নিউইয়র্ক ফ্লাইট চালুর বিষয়ে এক প্রশ্নের জবাবে বেবিচক চেয়ারম্যান বলেন, ‘আমরা চেয়েছিলাম অক্টোবরের মধ্যে নিউইয়র্কে ফ্লাইট চালু করতে। তবে ফ্লাইটের অনুমতির ক্ষেত্রে এয়ারলাইনস প্রতিষ্ঠানকে আবেদন করতে হয়। বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইনস সময়মতো আবেদন না করায় প্রক্রিয়াটা পিছিয়ে গেছে। আমরা বিমানকে লিখিতভাবে জানিয়েছি এ বিষয়টি। তারা বিলম্বে আবেদন করেছে। করোনার কারণেও কিছুটা পিছিয়েছে এ প্রক্রিয়া। তবে আমি এ বছরই নিউইয়র্ক ফ্লাইট চালুর বিষয়ে আশাবাদী।’ বিমানের উড়োজাহাজ কেনা প্রসঙ্গে বেবিচক চেয়ারম্যান বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বিমানের বহর বাড়ানোর নির্দেশনা দিয়েছেন ও কার্গো সক্ষমতা বাড়াতে বলেছেন। এ কারণেই এয়ারক্রাফট কেনা হবে। তবে শুধু এয়ারবাস কেনা হবে, বোয়িং কেনা হবে না, সেটা নয়। যে আমাদের ভালো অফার দেবে তাকেই বেছে নেবে বিমান। আমাদের সঙ্গে বোয়িংয়ের আগে থেকেই সম্পর্ক আছে, এয়ারবাসের ইস্যুও এসেছে। এয়ারবাস বোয়িং থেকে ভালো অফার দিলে আমরা ওদিকেই যাব।’ হেলিকপ্টার অপারেটরদের হ্যাংগারের ভাড়া নির্ধারণের বিষয়ে মো. মফিদুর রহমান বলেন, ‘হেলিকপ্টার খাত দেশের আর্থ-সামাজিক উন্নয়নে অবদান রাখছে। আমরা তাদের স্বল্প ভাড়া নির্ধারণ করেছি। যেহেতু এটা সরকারি জায়গা, পৃথিবীর কোনো দেশেই এগুলো ফ্রি দেয় না। তাই আমরাও ভাড়া নির্ধারণ করেছি। তবে তাদের ভাড়া অনেক কম ধরা হয়েছে। আমরা প্রস্তাব করেছি, অর্থ মন্ত্রণালয় এই ভাড়া চূড়ান্ত করবে। আমরা তাদের প্রতি সর্বোচ্চ সহানুভূতিশীল হয়ে ভাড়া নির্ধারণ করেছি।’ বিমানবন্দরের কর্মীদের আচরণ নিয়ে এক প্রশ্নের জবাবে বেবিচক চেয়ারম্যান বলেন, ‘আচরণের বিষয়ে বিমানবন্দরে কর্মরতদের এ পর্যন্ত ১৯টি ট্রেনিং দেওয়া হয়েছে। শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের নির্বাহী পরিচালক নিজে দরবার করে তাদের নির্দেশনা দিচ্ছেন। যারা খারাপ ব্যবহার করছে তাদের সরিয়ে দিচ্ছি। পাশাপাশি নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটের মাধ্যমে আর্থিক জরিমানাও করা হচ্ছে।’ সৈয়দপুর বিমানবন্দরকে আঞ্চলিক হাব করা নিয়ে প্রশ্নের জবাবে বেবিচক চেয়ারম্যান বলেন, ‘আমরা মাস্টারপ্ল্যান করে কাজে নেমে গিয়েছিলাম। জায়গা অধিগ্রহণের জন্য জায়গা নির্ধারণ করা হয়েছে। কিন্তু এ জন্য ৫ হাজার কোটি টাকা প্রয়োজন। বর্তমান অর্থনৈতিক পরিস্থিতির কারণে সরকার বিষয়টি প্রায়োরিটিতে রাখতে পারেনি।’ বঙ্গবন্ধু বিমানবন্দর প্রসঙ্গে মফিদুর রহমান বলেন, ‘একটি ফিজিবল স্টাডি করা হয়েছিল, জায়গা নির্বাচন করা হয়েছিল। তবে বর্তমানে এই প্রকল্প সাসপেনশনে আছে। বর্তমান বিমানবন্দরগুলোর সক্ষমতা বাড়ানোর চলমান অনেক প্রকল্প আছে। পরবর্তী সময়ে প্রয়োজন হলে এ প্রকল্প নিয়ে কাজ হবে।’ অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন বেবিচকের সদস্য (পরিকল্পনা) এয়ার কমোডর সাদিকুর রহমান চৌধুরী, সদস্য (এটিএম) শাহ কাউসার আহমেদ চৌধুরী, সদস্য (প্রশাসন) মো. মাহবুব আলম তালুকদার, সদস্য (নিরাপত্তা) গ্রুপ ক্যাপ্টেন আবু সালেহ মাহমুদ মান্নাফী, প্রধান প্রকৌশলী মো. আবদুল মালেক প্রমুখ।

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর