শিরোনাম
রবিবার, ১৬ জুলাই, ২০২৩ ০০:০০ টা

বিভিন্ন ঘটনায় রাজধানীতে ৪ মৃত্যু

নিজস্ব প্রতিবেদক

রাজধানীতে বিভিন্ন ঘটনায় ৪ জনের মৃত্যু ঘটেছে। এরমধ্যে ধানমন্ডিতে একটি বহুতল ভবনের বারান্দা থেকে লাফিয়ে পড়ে এক গৃহকর্মীর মৃত্যুর অভিযোগ পাওয়া গেছে। তার নাম নাসিমা আক্তার (১৯)। শুক্রবার রাতে এ ঘটনা ঘটে। এ ছাড়া পুরান ঢাকার বংশালে ইসান নন্দি (১২) নামে এক স্কুল শিক্ষার্থী পুকুরে ডুবে মারা গেছে। অপর দুটি মৃত্যুর ঘটনা ঘটে ডেমরা ও ঢাকা মেডিকেলে। গতকাল ধানমন্ডি মডেল থানার এসআই মুহিত খান বলেন, শুক্রবার রাতে ধানমন্ডি এক নম্বর সড়কের একটি ভবনের ছয়তলার বারান্দা থেকে লাফিয়ে পড়ে মারা যান ওই নারী। খবর পেয়ে আমরা ওই ভবনের সামনে থেকে লাশ উদ্ধার করি।

আইনি প্রক্রিয়া শেষে রাত ৩টায় লাশ ময়নাতদন্তের জন্য ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) মর্গে পাঠানো হয়।

পুকুরে ডুবে স্কুলছাত্রের মৃত্যু : পুরান ঢাকার বংশালে ইসান নন্দি (১২) নামে স্কুল শিক্ষার্থী পুকুরে ডুবে মারা গেছে। সে পোগোজ ল্যাবরেটরি স্কুল অ্যান্ড কলেজের সপ্তম শ্রেণির শিক্ষার্থী। তার চাচাতো ভাই বিজয় নন্দি বলেন, এলাকার কিছু ছেলের সঙ্গে বংশালের পুকুরে গোসল করতে নেমে তলিয়ে যায় ইসান। সঙ্গে থাকা ছেলেদের চিৎকারে স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার করে ঢাকা মেডিকেলে নিলে বিকাল পৌনে ৬টায় কর্তব্যরত চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।

অজ্ঞাত নারীর মৃত্যু : নগর ভবনের সামনের রাস্তা পার হওয়ার সময় প্রাইভেটকারের ধাক্কায় অজ্ঞাত নারীর মৃত্যু হয়েছে। তার বয়স আনুমানিক ৬৫। পরনে ছিল পুরনো শাড়ি। শুক্রবার রাতে ঢাকা মেডিকেলে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়। গত ২৮ জুন নগর ভবনের সামনে দুর্ঘটনায় গুরুতর আহত হন তিনি। 

বিদ্যুৎ স্পৃষ্টে যুবকের মৃত্যু : এ ছাড়া রাজধানীর ডেমরায় বিদ্যুৎস্পৃষ্টে ইলেকট্রিক মিস্ত্রির সহকারীর মৃত্যু হয়েছে। তার নাম ইব্রাহিম প্রধান (২০) গতকাল বিকাল সাড়ে ৫টার দিকে এ ঘটনা ঘটে।

ডেমরা থানার এসআই সাইমুন জানান, ডগাইর এলাকায় ইলেকট্রিক কাজ করার সময় বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে অচেতন হয়ে পড়ে।

 সহকর্মীরা তাকে উদ্ধার করে প্রথমে স্থানীয় একটি ক্লিনিক নিয়ে যান, সেখান থেকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে নিয়ে এলে কর্তব্যরত চিকিৎসক রাত পৌনে ৮টায় মৃত ঘোষণা করেন। পরে লাশ ময়নাতদন্তের জন্য মর্গে পাঠানো হয়।

কুমিল্লা চান্দিনা উপজেলার কৃষ্ণপুর গ্রামের লোকমান প্রধানের ছেলে ইব্রাহিম। ডেমরা ডগাইর এলাকায় থাকতেন তিনি। তার চাচা নাসির জানান, তিনি কয়েক দিন আগে ইলেকট্রিক কাজ  শেখার জন্য সহকারী হিসাবে কাজে আসেন। তিনি আমারই  সঙ্গে  ডগাইর একটি বাসায় বিদ্যুতের সার্কিট ব্রেকার লাগানোর সময় হঠাৎ বিদ্যুৎস্পৃষ্টে অচেতন হয়ে পড়েন। পরে তাকে হাসপাতালে নিয়ে আসি।

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর