মঙ্গলবার, ১৮ জুলাই, ২০২৩ ০০:০০ টা

আওয়ামী লীগে এক বিএনপিতে একাধিক

ফেনী প্রতিনিধি

আওয়ামী লীগে এক বিএনপিতে একাধিক

আগামী দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের আর মাত্র ছয় মাস বাকি। বিএনপি তত্ত্বাবধায়ক সরকারের দাবিতে মাঠে থাকলেও আওয়ামী লীগ নির্বাচনের জন্য সম্পূর্ণ প্রস্তুত। ফেনীতে জাতীয় সংসদের আসন তিনটি। এর মধ্যে ফেনী-২ (সদর) আসনটি জেলার সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ হিসেবে বিবেচনা করা হয়। মূলত এ আসনের সংসদ সদস্যই জেলার রাজনীতি অনেকটা নিয়ন্ত্রণ করেন।

ফেনী-২ আসনে আওয়ামী লীগের একক প্রার্থী বর্তমান সংসদ সদস্য ও জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক নিজাম উদ্দিন হাজারী। বেশ কয়েকজন ফেসবুক ও স্থানীয় পত্রিকার মাধ্যমে নিজেদের মনোনয়নপ্রত্যাশী দাবি করলেও অনেকেই আবার বলেন, নিজাম হাজারী মনোনয়ন না চাইলেই তারা মনোনয়নের দাবিদার। নির্বাচনী মাঠ পুরো নিজাম হাজারীর নিয়ন্ত্রণে। শুধু ফেনী সদর আসন নয়, পুরো ফেনী জেলা আওয়ামী লীগের নেতৃত্ব তার নিয়ন্ত্রণে।

জানতে চাইলে ফেনী পৌরসভার মেয়র ও পৌর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক নজরুল ইসলাম স্বপন মিয়াজী বলেন, নিজাম উদ্দিন হাজারীর নেতৃত্বে পুরো ফেনী জেলা আওয়ামী লীগ একাট্টা। এ আসনে নিজাম হাজারী ছাড়া অন্য কারও নাম ভাবাই যায় না। ফেনী সদর উপজেলার চেয়ারম্যান ও সদর উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক শুসেন চন্দ্র শীল বলেন, ফেনীতে নিজাম হাজারীর কোনো বিকল্প নেই। কেন্দ্র যখন নাম চাইবে এই আসনের জন্য শুধু নিজাম হাজারীর নামই পাঠানো হবে। আওয়ামী লীগের স্থানীয় নেতা-কর্মীরা মনে করেন, দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনেও দলের মনোনয়ন পাবেন নিজাম হাজারী। এ আসন থেকে জেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক মরহুম জয়নাল আবেদিন হাজারী তিনবার সংসদ সদস্য নির্বাচিত হয়েছিলেন। ফেনী জেলা বিএনপি প্রকাশ্যে প্রচার-প্রচারণায় না নামলেও ভিতরে ভিতরে মাঠ গোছাচ্ছেন। বিএনপির শীর্ষ নেতাদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, বিএনপি নির্বাচনে অংশ নিলে দলটির শীর্ষস্থানীয় ছয় থেকে সাতজন নেতাসহ প্রায় ২৫ জন মনোনয়ন চাইতে পারেন। একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনেও এ আসনে বিএনপির ১৮ জন প্রার্থী মনোনয়ন চেয়েছিলেন। ফেনী-২ (সদর আসন) থেকে এবারও কেন্দ্রীয় বিএনপি দুবারের সংসদ সদস্য বীর মুক্তিযোদ্ধা অধ্যাপক জয়নাল আবেদিনকে (ভিপি) মনোনয়ন দেবে বলে অনেকে মনে করেন। এ আসন থেকে বিএনপি ঘরানা থেকে যাদের নাম শোনা যায় তারা হলেন- জেলা বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক গাজী হাবিব উল্যাহ মানিক, সাবেক সংরক্ষিত আসনের সংসদ সদস্য ও কেন্দ্রীয় নেত্রী রেহানা আক্তার রানু, জেলা বিএনপির সাবেক সভাপতি জিয়া উদ্দিন মিস্টার, মেজবাহ উদ্দিন খান, জেলা বিএনপির আহ্বায়ক শেখ ফরিদ বাহার। জানতে চাইলে জয়নাল আবেদিন (ভিপি জয়নাল) বলেন, আমরা নির্বাচনের দিকে এখনো হাঁটছি না। বিএনপি যদি নির্বাচনে অংশ নেয় তখন তারা যাকে মনোনয়ন দেবে তিনিই নির্বাচন করবেন। এখানে স্থায়ী কমিটির সিদ্ধান্তই মূল। আন্দোলন সংগ্রাম চাঙা হলে বা দল নির্বাচনমুখী হলে কোনো কোন্দল থাকবে না। সবাই আন্দোলন সংগ্রাম বা নির্বাচনে নেমে পড়বে। নির্বাচনকে কেন্দ্র করে ঈদ শুভেচ্ছার পোস্টার ছাপিয়ে নিজেদের অবস্থান জানান দিয়েছে জামায়াতে ইসলামী। এ আসন থেকে জামায়াতের সাবেক জেলা আমির বর্তমান কেন্দ্রীয় শুরা সদস্য অধ্যাপক লিয়াকত আলী ভূঞা নির্বাচন করতে আগ্রহী বলে জানা যায়। এখানে জামায়াতের ৭-৮ শতাংশ ভোট আছে। জাতীয় প্রার্টির এ আসনে তেমন কোনো অবস্থান নেই। তার পরও এ আসনে দলটি প্রার্থী দেবে বলে জানা গেছে।

সর্বশেষ খবর