মঙ্গলবার, ১৮ জুলাই, ২০২৩ ০০:০০ টা
অধ্যাপক তাহের হত্যা

আসামিদের মৃত্যুদণ্ড কার্যকরে বাধা নেই

নিজস্ব প্রতিবেদক

রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের (রাবি) ভূ-তত্ত্ব ও খনিবিদ্যা বিভাগের অধ্যাপক ড. এস তাহের হত্যা মামলায় ফাঁসির দণ্ডপ্রাপ্ত আসামি জাহাঙ্গীর আলমের ফাঁসি কার্যকর স্থগিত চেয়ে দায়ের করা রিট খারিজ করে দিয়েছেন হাই কোর্ট। গতকাল বিচারপতি ভীষ্মদেব চক্রবর্তী ও বিচারপতি আলী রেজা রুকুর সমন্বয়ে গঠিত হাই কোর্ট বেঞ্চ এ আদেশ দেন। এর ফলে এ মামলার মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত দুই আসামির ফাঁসি কার্যকর করতে আর কোনো বাধা নেই বলে জানিয়েছেন রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবীরা। আদালত বলেছেন, আপিল বিভাগ আসামিদের রিভিউ খারিজ করে দিয়েছেন। এ মুহূর্তে রিট শোনার সুযোগ নেই। আদালতে রিটের পক্ষে শুনানি করেন জ্যেষ্ঠ আইনজীবী এস এন গোস্বামী। রাষ্ট্রপক্ষে শুনানি করেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল নওরোজ মো. রাসেল চৌধুরী। এর আগে গত সপ্তাহে নিহত ড. তাহেরের বাসার কেয়ারটেকার মো. জাহাঙ্গীর আলমের ফাঁসি কার্যকর স্থগিত চেয়ে রিট করেন তার পরিবারের সদস্যরা। এদিকে বঙ্গভবন সূত্রে জানা গেছে, অধ্যাপক ড. এস তাহের হত্যা মামলায় ফাঁসির দণ্ডপ্রাপ্ত দুই আসামির প্রাণভিক্ষার আবেদন নাকচ করে দেওয়া হয়েছে। গত ৩ মে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের (রাবি) ভূ-তত্ত্ব ও খনিবিদ্যা বিভাগের অধ্যাপক ড. এস তাহের হত্যা মামলায় ফাঁসির দণ্ডপ্রাপ্ত একই বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ড. মিয়া মোহাম্মদ মহিউদ্দিন ও ড. তাহেরের বাসার কেয়ারটেকার জাহাঙ্গীর আলমের রিভিউ আবেদন খারিজের রায় প্রকাশ করে আপিল বিভাগ। প্রধান বিচারপতি হাসান ফয়েজ সিদ্দিকীর নেতৃত্বাধীন আট বিচারপতির আপিল বেঞ্চ গত ২ মার্চ রিভিউ আবেদনটি খারিজ করেছিলেন।

গত বছরের ৫ এপ্রিল অধ্যাপক ড. এস তাহের হত্যা মামলায় অধ্যাপক ড. মিয়া মোহাম্মদ মহিউদ্দিনের ফাঁসি বহাল রাখেন আপিল বিভাগ। একই সঙ্গে কেয়ারটেকার জাহাঙ্গীর আলমের মৃত্যুদণ্ড এবং অন্য দুই আসামির যাবজ্জীবন দণ্ডও বহাল রাখেন আদালত। যাবজ্জীবন সাজা বহাল থাকা দুজন হলেন নাজমুল আলম ও আবদুস সালাম। পরে এ রায়ের বিরুদ্ধে আপিল বিভাগে রিভিউ আবেদন করেন আসামিরা। ২০০৬ সালের ১ ফেব্রুয়ারি রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের আবাসিক এলাকার ম্যানহোল থেকে উদ্ধার করা হয় নৃশংসভাবে হত্যার শিকার অধ্যাপক ড. তাহেরের লাশ। এর দুই দিন পর ওই বছরের ৩ ফেব্রুয়ারি নিহতের ছেলে সানজিদ আলভি আহমেদ রাজশাহী মহানগরীর মতিহার থানায় অজ্ঞাতপরিচয় ব্যক্তিদের আসামি করে একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। অধ্যাপক ড. তাহের হত্যা মামলায় ২০০৮ সালের ২২ মে রাজশাহীর দ্রুতবিচার আদালত চারজনকে মৃত্যুদণ্ড এবং দুজনকে বেকসুর খালাস দেন। পরে আসামিরা এ রায়ের বিরুদ্ধে হাই কোর্টে আপিল করেন। ২০১৩ সালের ২১ এপ্রিল হাই কোর্ট দুই আসামির ফাঁসির দণ্ড বহাল রাখেন এবং অন্য দুই আসামির দণ্ড কমিয়ে যাবজ্জীবন কারাদণ্ডাদেশ দেন। এ রায়ের বিরুদ্ধেও আসামিরা আপিল করেন।

 

 

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর